শ্রীশৈলম সুড়ঙ্গে ধস: ৮ শ্রমিক আটকা, উদ্ধার অভিযান অব্যাহত

শ্রীশৈলম সুড়ঙ্গে ধস: ৮ শ্রমিক আটকা, উদ্ধার অভিযান অব্যাহত
সর্বশেষ আপডেট: 23-02-2025

তেলঙ্গানার নাগরকুর্নুল জেলায় শ্রীশৈলম সুড়ঙ্গ নালার নির্মাণাধীন সুড়ঙ্গের একটি অংশ ধসে পড়ায় আটজন লোক আটকা পড়েছে। তাদেরকে নিরাপদে বের করে আনার জন্য ব্যাপক উদ্ধার অভিযান চালানো হচ্ছে।

হায়দ্রাবাদ: তেলঙ্গানার নাগরকুর্নুল জেলায় শ্রীশৈলম সুড়ঙ্গ নালার নির্মাণাধীন সুড়ঙ্গের একটি অংশ ধসে পড়ায় আটজন লোক আটকা পড়েছে। তাদেরকে নিরাপদে বের করে আনার জন্য ব্যাপক উদ্ধার অভিযান চলছে। রাজ্য সরকার, সেনা, NDRF, এবং বিশেষজ্ঞদের দল অবিরত উদ্ধার অভিযানে নিয়োজিত রয়েছে। দুর্ঘটনার পর থেকে এখনও পর্যন্ত আটকা পড়া লোকদের সাথে কোনো যোগাযোগ করা সম্ভব হয়নি, যার ফলে উদ্ধারকারী দলের উদ্বেগ বেড়েছে।

সুড়ঙ্গ দুর্ঘটনার সাথে জড়িত ১০টি প্রধান আপডেট

* দুর্ঘটনার সময় এবং স্থান – এই ঘটনা নাগরকুর্নুল জেলায় শ্রীশৈলম সুড়ঙ্গ নালার অধীনে ঘটেছে, যখন ৫০ জনের বেশি শ্রমিক সুড়ঙ্গে কাজ করছিল।

* কারা ভিতরে আটকা পড়েছে? – আটকা পড়া ব্যক্তিদের মধ্যে দুইজন ইঞ্জিনিয়ার, দুইজন অপারেটর এবং চারজন শ্রমিক রয়েছে। তারা সকলেই উত্তরপ্রদেশ, ঝাড়খণ্ড, পাঞ্জাব এবং জম্মু-কাশ্মীরের বাসিন্দা বলে জানা গেছে।

* কিভাবে দুর্ঘটনা ঘটেছে? – সুড়ঙ্গে কাজ করার সময় হঠাৎ করে ছাদ ধসে পড়ে, যার ফলে ১৩.৫ কিমি ভিতরে থাকা ৮ জন আটকা পড়ে, আর ৪২ জন কোনোভাবে বেরিয়ে আসতে সক্ষম হয়।

* উদ্ধার কাজের জটিলতা – উদ্ধারকারী দলের মতে, সুড়ঙ্গের ভিতরে ধ্বংসাবশেষ জমে গেছে এবং পানি জমে আছে, যা বের করে নেওয়ার পরেই পরবর্তী পদক্ষেপ সম্ভব হবে।

* NDRF এবং SDRF দলের মোতায়েন – NDRF, SDRF, সেনা এবং খনি বিশেষজ্ঞদের সাহায্যে ধ্বংসাবশেষ সরানো এবং আটকা পড়া ব্যক্তিদের কাছে পৌঁছানোর চেষ্টা চলছে।

* ড্রোন এবং অন্যান্য প্রযুক্তির ব্যবহার – উদ্ধার কাজে ড্রোনের ব্যবহার করা হচ্ছে যাতে সুড়ঙ্গের ভিতরের অবস্থার মূল্যায়ন করা যায়।

* বিশেষজ্ঞদের সাহায্য নেওয়া হচ্ছে – উত্তরাখণ্ডের সিলকিরা সুড়ঙ্গ দুর্ঘটনার উদ্ধার অভিযানে অংশ নেওয়া বিশেষজ্ঞদের ডাকা হয়েছে।

* মুখ্যমন্ত্রী এবং প্রধানমন্ত্রীর তত্ত্বাবধান – মুখ্যমন্ত্রী A. রেভন্ত রেড্ডী প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর সাথে কথা বলে কেন্দ্রীয় সরকারের কাছ থেকে সাহায্য চেয়েছেন। প্রধানমন্ত্রী মোদী সর্বাত্মক সহায়তার আশ্বাস দিয়েছেন।

* দল ভিতরে যাওয়ার ক্ষেত্রে দ্বিধাগ্রস্ত – সুড়ঙ্গ থেকে এখনও তীব্র শব্দ আসছে, যার ফলে উদ্ধারকারী দল সম্পূর্ণ সতর্কতা অবলম্বন করছে।

* স্থানীয় প্রশাসনের সতর্কতা – রাজ্যের সেচমন্ত্রী N. উত্তম কুমার রেড্ডী জানিয়েছেন যে সরকার উদ্ধার কাজে কোনও ধরনের দেরি হতে দেবে না এবং বিশেষজ্ঞদের সাহায্যে দ্রুত লোকদের নিরাপদে বের করে আনার চেষ্টা করছে।

উদ্ধার অভিযানে এখন পর্যন্ত সবচেয়ে বড় চ্যালেঞ্জ

উদ্ধার অভিযানে সবচেয়ে বড় সমস্যা হল সুড়ঙ্গে জমে থাকা পানি এবং প্রচুর ধ্বংসাবশেষ। NDRF-এর ডেপুটি কমান্ডার সুখেন্দু-এর মতে, ধ্বংসাবশেষে ভরা ২০০ মিটারের একটি অংশ রয়েছে, যা পরিষ্কার করতে সময় লাগবে। যতক্ষণ না এটি সরানো হয়, ততক্ষণ আটকা পড়া শ্রমিকদের সঠিক অবস্থান জানা যাবে না। দল আটকা পড়া শ্রমিকদের নাম ধরে ডেকে যোগাযোগ করার চেষ্টা করেছে, কিন্তু কোনও প্রতিক্রিয়া পায়নি। এতে উদ্ধারকারী দলের উদ্বেগ আরও বেড়েছে।

আগামী কৌশল কি হবে?

এখনকার জন্য, প্রাথমিক অগ্রাধিকার হল সুড়ঙ্গে জমে থাকা পানি বের করা এবং তারপরে ধ্বংসাবশেষ সরানো। এর পরেই ভিতরে আটকা পড়া লোকদের কাছে পৌঁছানো সম্ভব হবে। সরকার এই দুর্যোগের বিরুদ্ধে সম্ভাব্য সকল পদক্ষেপ নেওয়ার আশ্বাস দিয়েছে এবং উদ্ধার কাজ ত্বরান্বিত করার নির্দেশ দিয়েছে। এখন সকলের দৃষ্টি এই উদ্ধার অভিযানের উপর, কখন আটকা পড়া লোকদের কাছে পৌঁছানো যাবে এবং তাদেরকে নিরাপদে বের করে আনা যাবে।

Leave a comment