সীমান্তে BSF-এর সাথে বাংলাদেশী অনুপ্রবেশকারীদের সংঘর্ষ

সীমান্তে BSF-এর সাথে বাংলাদেশী অনুপ্রবেশকারীদের সংঘর্ষ
সর্বশেষ আপডেট: 05-02-2025

৪ ফেব্রুয়ারির রাতে বাংলাদেশীরা ভারতের সীমান্তে ডাকাতি করতে ঢুকে পড়ে, BSF তাদের বের করে দেয়। সকালে ধারালো অস্ত্র নিয়ে ফিরে আসে এবং BSF জওয়ানদের ঘেরাও করে।

পশ্চিমবঙ্গ: ভারত-বাংলাদেশ সীমান্তে বাংলাদেশি চোরাচালানকারী ও অপরাধীদের দুটি আক্রমণ সীমান্ত সুরক্ষা বাহিনী (BSF) কে সতর্ক করে তুলেছে। ৪ ও ৫ ফেব্রুয়ারির মধ্যরাতে পশ্চিমবঙ্গের দক্ষিণ দিনাজপুর জেলার মালিকপুর গ্রামে এই আক্রমণগুলি ঘটে। বাংলাদেশি আক্রমণকারীরা চোরাচালান এবং ডাকাতির উদ্দেশ্যে ভারতের সীমান্তে ঢুকে পড়ার চেষ্টা করেছিল।

প্রথম আক্রমণ – তলোয়ার ও দা দিয়ে সজ্জিত আক্রমণকারী

৪ ফেব্রুয়ারির রাতে যখন বাংলাদেশি অনুপ্রবেশকারীরা ভারতীয় সীমান্তে ঢুকে পড়ে, BSF জওয়ানরা তাদের চ্যালেঞ্জ করে। এরপর এই বাংলাদেশীরা BSF জওয়ানদের উপর আক্রমণ করে এবং ধারালো অস্ত্র ব্যবহার করে জওয়ানদের ঘেরাও করে। BSF আত্মরক্ষার্থে গুলি চালায়, যার ফলে কিছু আক্রমণকারী পিছিয়ে যায়, কিন্তু একজন বাংলাদেশি অনুপ্রবেশকারী ধরা পড়ে।

দ্বিতীয় আক্রমণ – অস্ত্রসহ আক্রমণ

রিপোর্ট অনুসারে, ৫ ফেব্রুয়ারির ভোরে বাংলাদেশীরা আবারও ভারী অস্ত্র নিয়ে সীমান্ত পার হয়ে ভারতে ঢুকে পড়ে। এবার তারা কাটার, দা এবং লাঠি নিয়ে এসেছিল। এছাড়াও, বাংলাদেশীরা কাঁটাতারও নিয়ে এসেছিল। BSF যখন তাদের উপর গুলি চালায়, বাংলাদেশীরা আক্রমণ শুরু করে।

BSF জওয়ানদের উপর আক্রমণ এবং অস্ত্র ছিনতাইয়ের চেষ্টা

আক্রমণকারীরা BSF জওয়ানদের চারপাশ থেকে ঘেরাও করে এবং তাদের কাছ থেকে অস্ত্র ছিনতাইয়ের চেষ্টা করে। এরপর BSF আত্মরক্ষার্থে বাস্তব গুলি ব্যবহার করে। গুলি চালানোর পর বাংলাদেশীরা প্রাণ বাঁচাতে পালিয়ে যায়।

আহত বাংলাদেশি অনুপ্রবেশকারী ধরা পড়ে

ঘটনাকালীন, ঘন কুয়াশার সুযোগ নিয়ে বাংলাদেশি অনুপ্রবেশকারীরা ভারতীয় সীমান্তে ঢুকে পড়েছিল। সকালের আলোয় BSF এলাকাটি তল্লাশি শুরু করে এবং একজন আহত বাংলাদেশিকে গঙ্গারামপুর হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। BSF ঘটনাস্থল থেকে বেশ কিছু অস্ত্রও জব্দ করে।

এই সময়, BSF-এর একজন জওয়ানও আহত হয়, যার চিকিৎসা চলছে।

সীমান্ত সুরক্ষা নিয়ে উদ্বেগ বৃদ্ধি

এই ঘটনাগুলি ভারত-বাংলাদেশ সীমান্তে সুরক্ষা উদ্বেগ আরও বাড়িয়ে তুলছে, বিশেষ করে যখন বাংলাদেশি অনুপ্রবেশকারীদের আক্রমণ এবং আক্রমণের চেষ্টা বৃদ্ধি পাচ্ছে। BSF-কে প্রত্যেক পরিস্থিতিতে শক্তিশালী এবং সতর্ক থাকতে হবে যাতে দেশের সীমান্তের সুরক্ষা নিশ্চিত করা যায়।

Leave a comment