ছোট পর্দার জনপ্রিয় অভিনেত্রী শিবাঙ্গী যোশী আবারও দর্শকদের মন জয় করতে প্রস্তুত। এইবার তিনি ফিরে এসেছেন তার একদম নতুন ও আলাদা অবতারে, ‘বড়ে অচ্ছে লাগতে হ্যাঁ ফির সে’ টিভি শো-র মাধ্যমে। এই শোটি অত্যন্ত সফল ফ্র্যাঞ্চাইজির পরবর্তী অধ্যায়।
বড়ে অচ্ছে লাগতে হ্যাঁ ফির সে: জনপ্রিয় টিভি শো ‘বড়ে অচ্ছে লাগতে হ্যাঁ’-এর নতুন সিজন দর্শকদের মধ্যে প্রচণ্ড উৎসাহের কারণ হয়ে উঠেছে। এই সিজনে হর্ষদ চোপড়া এবং শিবাঙ্গী যোশী মুখ্য ভূমিকায় অভিনয় করবেন। সম্প্রতি শো-এর প্রোমো প্রকাশিত হয়েছে, যা দর্শকদের কাছ থেকে ইতিবাচক প্রতিক্রিয়া পেয়েছে। এইবারের গল্প দুটি ভিন্ন সংস্কৃতির সংঘাত এবং প্রেমের উপর ভিত্তি করে।
হর্ষদ চোপড়ার চরিত্র ঋষভ, একজন পাঞ্জাবী যুবক, যখন শিবাঙ্গী যোশী ভাগ্যশ্রী নামের একজন তামিলিয় মেয়ের চরিত্রে অভিনয় করছেন। উভয়েরই পটভূমি এবং জীবনশৈলী একেবারে আলাদা, যার ফলে শোতে আকর্ষণীয় সংঘাত এবং ইমোশনাল সংযোগ দেখা যাবে।
ওজন বাড়ানো হয়েছে চ্যালেঞ্জ
এই শো-র জন্য শিবাঙ্গী তার লুক এবং চরিত্রের সাথে গুরুত্বপূর্ণ পরিবর্তন এনেছেন। চরিত্রে সততা আনার জন্য তিনি ৮ কিলো ওজন বাড়িয়েছেন। ‘সাস বাহু অর বেটিয়াঁ’র সাথে কথোপকথনে তিনি বলেছেন, “আমাকে অনেক খেতে হয়েছে। ওজন বাড়ানো সহজ নয়, বিশেষ করে যখন আপনাকে ক্যামেরার সামনে ফিট এবং ফুর্তিলাও দেখাতে হয়। কিন্তু ভাগ্যশ্রীর চরিত্রের প্রয়োজন বুঝে আমি প্রচুর খেয়েছি এবং ৮ কিলো ওজন বাড়িয়েছি। এখন তো খাবার দেখলেও ভয় লাগে।”
ভাষা ও সূক্ষ্মতার উপর পরিশ্রম
‘ভাগ্যশ্রী’ চরিত্রটি অভিনয় করা শুধুমাত্র শারীরিক পরিবর্তনে সীমাবদ্ধ ছিল না। শিবাঙ্গীকে তামিল উচ্চারণ এবং ভাষার উপরও কাজ করতে হয়েছে, কারণ তার চরিত্রটি একটি ঐতিহ্যবাহী তামিল পরিবার থেকে এসেছে এবং বাড়িতে তামিল ভাষাতেই কথা বলে। এই চ্যালেঞ্জ নিয়ে শিবাঙ্গী বলেছেন, “আমি তামিল উচ্চারণ, পারিবারিক রীতিনীতি এবং ভাষার সূক্ষ্মতা বুঝতে ঘণ্টার পর ঘণ্টা অনুশীলন করেছি। ভাগ্যশ্রীর অনুভূতি এবং মূল তার সংস্কৃতির সাথে জড়িত, তাই এটি জরুরি ছিল যে আমি সেই চরিত্রটিকে সঠিকভাবে অভিনয় করতে পারি।”
অন-সেট ঘটনা এবং বন্ধুত্বপূর্ণ পরিবেশ
হর্ষদ চোপড়ার সাথে তাঁর রসায়নও শো-এর একটি প্রধান আকর্ষণ হবে। উভয় অভিনেতাই সাক্ষাৎকারে জানিয়েছেন যে শুটিংয়ের সময় সেটে বেশ মজাদার পরিবেশ থাকে। হর্ষদ ঠাট্টা করে বলেছেন যে ওজন বাড়ানোর চেষ্টায় তিনি ক্রমাগত জাঙ্ক ফুড খেয়ে যান, এবং শিবাঙ্গী হেসে বলেছেন, “হর্ষদকে দেখে আমারও শুরুতে মজা হয়েছিল, কিন্তু এখন অবস্থা এমন যে খাওয়ার ইচ্ছাই করে না। আমরা দুজনেই এই পরিবর্তনের মধ্য দিয়ে যাচ্ছি এবং এটি আমাদের চরিত্রেও দেখা যাবে।”
কুকুর ‘কদম্ব’র সাথে যুক্ত হবে প্রেমের সম্পর্ক
শো-এর গল্পে আরও একটি মজাদার টুইস্ট আছে—ভাগ্যশ্রীর পোষা কুকুর ‘কদম্ব’। কদম্ব শুধু একটি পোষা প্রাণী নয়, বরং গল্পে ‘কামদেব’ এর ভূমিকা পালন করে। এই কুকুরটি ঋষভ এবং ভাগ্যশ্রীকে কাছাকাছি আনতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করবে, যার ফলে শোতে একটি হালকা-ফুলকা এবং মধুর অনুভূতি যুক্ত হয়। ‘বড়ে অচ্ছে লাগতে হ্যাঁ ফির সে’র গল্প ঐতিহ্যগত প্রেমের গল্প থেকে সম্পূর্ণ আলাদা। এটি শুধু একটি দম্পতির গল্প নয়, বরং দুটি সংস্কৃতির মিলন, চিন্তার সংঘাত এবং ধীরে ধীরে উন্মেষিত প্রেমের একটি আবেগময় যাত্রা। শিবাঙ্গী এবং হর্ষদ উভয়েই তাদের তাদের চরিত্রগুলিকে পুরোপুরি আন্তরিকতা এবং পরিশ্রমের সাথে জীবন্ত করে তুলেছেন।
শো-এর প্রোমো প্রকাশিত হয়েছে এবং ফ্যানরা এর গল্প নিয়ে অত্যন্ত উৎসাহিত। সোশ্যাল মিডিয়ায় ‘ভাগ্যশ্রী’ এবং ‘ঋষভ’ জুটি ইতিমধ্যেই আলোচনায় রয়েছে। শিবাঙ্গী যোশীর এই শারীরিক পরিবর্তন এবং সমর্পণ দর্শকদের আশা আরও বাড়িয়ে দিয়েছে।
