ভারতীয় রিজার্ভ ব্যাংক (SBI) প্রোবেশনারি অফিসার (SBI PO) এর চূড়ান্ত ফলাফল ২০২৫ প্রকাশ করেছে। প্রার্থীরা সরকারি ওয়েবসাইট থেকে পিডিএফ ডাউনলোড করতে পারবেন। নির্বাচিত প্রার্থীদের সারা দেশের SBI শাখায় পোস্টিং করা হবে।
সোনম রঘুবংশী পরিকল্পনা: রাজা রঘুবংশী হত্যাকাণ্ডের তদন্তে পুলিশ যতই এগোচ্ছে, ততই চাঞ্চল্যকর তথ্য উঠে আসছে। মূল অভিযুক্ত সোনম রঘুবংশী এবং তার সহযোগীরা যে কোনো মূল্যে রাজাকে হত্যা করতে চেয়েছিলেন। হানিমুন ট্রিপে হত্যার আগে তিনটি ব্যর্থ প্রচেষ্টা হয়েছিল এবং এখন উঠে এসেছে যে, চতুর্থ প্রচেষ্টায়ও যদি হত্যা না হয়, তাহলে আরও একটি প্রাণঘাতী পরিকল্পনা ছিল।
পূর্ব পরিকল্পিত হত্যা
রাজা রঘুবংশীর হত্যা কোনো আকস্মিক ঘটনা ছিল না, বরং পূর্ব পরিকল্পিত ষড়যন্ত্রের অংশ ছিল। সোনম রঘুবংশী তার প্রেমিক রাজ কুশওয়াহা এবং অন্যান্য সহযোগীদের সাথে মিলে এই হত্যার একটি দীর্ঘ পরিকল্পনা তৈরি করেছিল। পুলিশ তদন্তে এখন জানা গেছে যে তারা পাঁচটি ষড়যন্ত্র করেছিল, যার চতুর্থটিতে তারা সফল হয়েছিল।
বিবাহের আগে তিনবার হত্যাচেষ্টা
পুলিশের মতে, সোনম এবং রাজ বিবাহের আগেই রাজাকে হত্যা করার তিনটি ব্যর্থ প্রচেষ্টা করেছিল। এই সকল প্রচেষ্টায় সময়ের অভাব, অনুকূল পরিস্থিতির অভাবে তারা সফল হয়নি। কিন্তু তারা হাল ছাড়েনি এবং প্রতিবার নতুন পরিকল্পনা করেছে।
হানিমুন ট্রিপ চতুর্থ এবং সফল পরিকল্পনা
বিবাহের পর সোনম মেঘালয়ে হানিমুন ট্রিপের পরিকল্পনা করে। এই ট্রিপ আসলে রাজাকে হত্যা করার চতুর্থ প্রচেষ্টা ছিল। সোনম এবং তার সহযোগীরা এবার সফল হয়েছিল এবং রাজার হত্যা করে। পুলিশ জানতে পেরেছে যে এই ট্রিপের পরিকল্পনা কেবল ঘুরতে যাওয়ার জন্য ছিল না, বরং হত্যার একটি পূর্ব পরিকল্পিত চাল ছিল।
যদি না মারা যেত তাহলে ছিল পঞ্চম পরিকল্পনা
এখন পুলিশের জিজ্ঞাসাবাদে জানা গেছে যে যদি রাজা হানিমুন ট্রিপেও বেঁচে যেত, তাহলে সোনম এবং রাজের আরও একটি পরিকল্পনা ছিল। এই পরিকল্পনা অনুযায়ী, রাজাকে শিলং থেকে প্রায় ৮০ কিলোমিটার দূরে ডাওকি নিয়ে গিয়ে উমনগাট নদীতে ফেলে দেওয়ার প্রস্তুতি ছিল। ডাওকি বাংলাদেশ সীমান্তের কাছে অবস্থিত এবং সেখানকার গভীরতা এবং তীব্র স্রোতের সুযোগ নিয়ে অভিযুক্তরা প্রমাণ মুছে ফেলতে চেয়েছিল।
ডাওকিতে হত্যার পূর্ণ পরিকল্পনা
পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, সোনম এবং রাজ আগে থেকেই ডাওকির রেকি করেছিল। তারা এই অঞ্চলের ভৌগোলিক অবস্থার কথা মাথায় রেখে পরিকল্পনা করেছিল। তাদের উদ্দেশ্য ছিল নদীতে ফেলে দেওয়ার পর লাশের সন্ধান পাওয়া কঠিন হবে এবং পুলিশও বিভ্রান্ত হবে।
এসআইটির জিজ্ঞাসাবাদে উঠে এসেছে তথ্য
বিশেষ তদন্ত দল (SIT) সোনম রঘুবংশী এবং তার সকল সহযোগীদের আলাদা আলাদা লকআপে রেখে জিজ্ঞাসাবাদ করেছে। এর উদ্দেশ্য ছিল অভিযুক্তরা পরস্পরের সাথে যোগাযোগ করতে না পারে এবং সত্যি উঠে আসে। এই জিজ্ঞাসাবাদের সময়ই পঞ্চম ষড়যন্ত্রের কথা উঠে আসে।