সন্ত প্রেমানন্দ শ্রীরাধাকেলিকুঞ্জে সাধকদের সাথে হোলি খেলেছেন। শ্রীরাধাজুকে অবীর ভেটো করেছেন এবং ভক্তদের সাথে নাচে মেতে উঠেছেন। বৃন্দাবনের মন্দিরগুলিতেও হোলির আনন্দ দেখা গেছে।
সন্ত প্রেমানন্দ: ফুলেরা দুজ উপলক্ষে ব্রজে হোলির উৎসব চরমে পৌঁছেছে। যখন ঠাকুর রাধাবল্লভলাল কমরে রঙের ফেঁটা বেঁধে অবীরের হোলি খেলেছেন, তখন ভক্তদের উৎসাহ দ্বিগুণ বেড়ে গেছে। এই উৎসবে সন্ত প্রেমানন্দও শ্রীরাধাকেলিকুঞ্জে নিজের আশ্রমের সাধকদের সাথে রঙের বর্ষণ করে হোলির আনন্দ উপভোগ করেছেন।
সন্ত প্রেমানন্দ ভক্তদের উপর রঙ ছিটিয়েছেন
রমণরেতীস্থিত শ্রীরাধাকেলিকুঞ্জে শনিবার সকালে একান্ত আলাপের পর সন্ত প্রেমানন্দ শ্রীরাধাজুকে অবীর ভেটো করে ভক্তির রঙে ডুবে যাওয়ার আহ্বান জানিয়েছেন। এরপর তিনি সন্ত ও সাধকদের সাথে হোলি শুরু করেছেন। ‘আয়ো নন্দ গ্রাম থেকে হোরি খেলন নটবর নন্দ কিশোর’ এর মতো রাসলীলা গান গেয়ে উঠেছে, এবং সকলেই ভক্তিরসে মেতে উঠেছে।
পিচকারি দিয়ে রঙের বৃষ্টি, উমঙ্গে মেতে উঠেছেন ভক্তরা
সন্ত প্রেমানন্দ যখন পিচকারি দিয়ে সাধক ও সন্তদের উপর টেসুর রঙের বৃষ্টি করেছেন, তখন পুরো পরিবেশ রঙিন হয়ে উঠেছে। তিনি নিজেও রঙে ভেসে ভক্তদের সাথে নৃত্য করেছেন। পুরো আশ্রমে আনন্দ ও উল্লাসের ঢেউ ছড়িয়ে পড়েছে, এবং ভক্তরা ভক্তির এই রঙে রঞ্জিত হয়েছেন।
বৃন্দাবনের মন্দিরগুলিতে গूঞ্জিত হয়েছে হোলির রাসলীলা
বৃন্দাবনের প্রধান মন্দিরগুলিতে—রাধাবল্লভ, রাধারমণ এবং নিধিবন রাজেও হোলির আনন্দ দেখা গেছে। ভক্তরা সকাল থেকেই অবীর ছিটিয়ে বেড়াচ্ছেন, এবং সর্বত্র ‘জগ হোরি, ব্রজ হোরা’ এর ধ্বনি শোনা যাচ্ছিল। মন্দিরগুলিতে অবীরের বর্ষণের মাঝে ভক্তরা ভক্তিতে মগ্ন হয়ে নৃত্য করছিলেন।
হোলির রঙে ডুবে গেছেন ভক্তরা
দেশজুড়ে হাজার হাজার ভক্ত বৃন্দাবনের হোলির আনন্দ উপভোগ করতে এসেছেন। সোনিপতের বাসিন্দা দীক্ষা রস্তোগী তার মহিলা দলের সাথে রাধাবল্লভ মন্দিরে এসেছেন, যেখানে অবীর উড়ছে এবং পদগানের সাথে ভক্তরা নাচছেন। মহিলারা ঘণ্টার পর ঘণ্টা ভক্তিগীতে নৃত্য করেছেন এবং নিজেদের এই আধ্যাত্মিক রঙে রঞ্জিত করেছেন।
হোলির উল্লাস চরমে
রবিবার সকালে ‘উড়ত গুলাল লাল ভেয়ে বদরা’ এর মতো ভজনের ধ্বনিতে মন্দিরগুলিতে ভক্তরা জমে জমে হোলি খেলেছেন। আরতির সময় রঙের হোলি শুরু হয় এবং পুরো ব্রজে প্রেম, ভক্তি ও উল্লাসের ঢেউ ছড়িয়ে পড়ে। বৃন্দাবনে হোলির এই অলৌকিক আনন্দ উপভোগ করার জন্য দেশ-বিদেশ থেকে ভক্তরা জড়ো হচ্ছেন, যার ফলে পুরো ব্রজধাম ভক্তি ও প্রেমের রঙে রঞ্জিত হয়ে উঠেছে।