বিশ্বের সবচেয়ে শুষ্ক সাহারা মরুভূমিতে গত দুই দিন ধরে অবিরত বৃষ্টিপাত হচ্ছে। এই বৃষ্টির ফলে বন্যা দেখা দিয়েছে, যার ফলে খেজুর গাছ এবং বালুর টিলার মাঝে নীল জলের ল্যাগুন সৃষ্টি হয়েছে। আবহাওয়াবিদদের মতে, গত ৫০ বছরে সাহারা মরুভূমিতে এত কম সময়ে এত বেশি বৃষ্টিপাত কখনো হয়নি।
Africa: আফ্রিকার সাহারা মরুভূমিতে ৫০ বছর পর এক অসাধারণ ঘটনা ঘটেছে। বিশ্বের সবচেয়ে শুষ্ক বলে পরিচিত এই মরুভূমিতে গত দুই দিন ধরে অবিরত বৃষ্টিপাত হচ্ছে। এই বৃষ্টির ফলে এলাকায় বন্যা দেখা দিয়েছে। বন্যার জলে খেজুর গাছ এবং বালুর টিলার মাঝে নীল জলের ল্যাগুন দেখা যাচ্ছে। আবহাওয়াবিদদের মতে, গত ৫০ বছরে সাহারা মরুভূমিতে এত কম সময়ে এত বেশি বৃষ্টিপাত কখনো দেখা যায়নি।
দুই দিন অবিরত বৃষ্টি থেকে আসা বন্যা
পৃথিবীর সবচেয়ে বড় গরম মরুভূমি, উত্তর আফ্রিকার অঞ্চলে অবস্থিত, বিশ্বের সবচেয়ে শুষ্ক স্থানগুলির মধ্যে একটি এবং গ্রীষ্মের শেষে এখানে বৃষ্টিপাত অত্যন্ত বিরল। মরক্কো সরকার জানিয়েছে, সেপ্টেম্বর মাসে দুই দিনের বৃষ্টিপাত অনেক এলাকায় বার্ষিক গড় বৃষ্টিপাতের পরিমাণ ছাড়িয়ে গেছে, যেখানে প্রতি বছর ১০ ইঞ্চিরও কম বৃষ্টিপাত হয়। এর মধ্যে একটি এলাকা হল টাটা, যেখানে এই বৃষ্টিপাতের ফলে বন্যা দেখা দিয়েছে।
বৃষ্টি সাথে আসা ঝড়
২৪ ঘণ্টার মধ্যে ৩.৯ ইঞ্চিরও বেশি বৃষ্টিপাত সাহারা মরুভূমিতে এই সময় ভারী বৃষ্টিপাত হচ্ছে। মালি এবং মরিতানিয়ায় বৃষ্টিপাতের মাত্রা অস্বাভাবিকভাবে বেশি। এছাড়াও, আটলান্টিকে ঝড়ের সংখ্যা কম হওয়াও এর একটি কারণ হতে পারে। এই ঢেউগুলি প্রায়শই ঝড়ে রূপান্তরিত হয়, তবে এই সময় এর সম্ভাবনা খুব কম।
রাজধানী রাবাত থেকে প্রায় ৪৫০ কিলোমিটার দক্ষিণে অবস্থিত টাগোনাইট গ্রামে ২৪ ঘণ্টার মধ্যে ৩.৯ ইঞ্চিরও বেশি বৃষ্টিপাত রেকর্ড করা হয়েছে। ঝড়ের ফলে প্রাসাদ এবং মরু উদ্ভিদের মাঝে সাহারার বালুতে বহমান জলের অসাধারণ ছবি তৈরি হয়েছে। একইসাথে, নাসার উপগ্রহ ইরকি লেকের ছবিও তুলেছে। গত ৫০ বছর ধরে শুষ্ক থাকা এই লেকটি এখন আবার জলে ভরে উঠেছে।
ঝড় বৃদ্ধির উপর হুমকি
বুধবার, ২ অক্টোবর, ২০২৪-এ দক্ষিণ-পূর্ব মরক্কোর রাচিদিয়ার কাছে মার্জৌগার মরুভূমি শহরে ভারী বৃষ্টিপাতের ফলে খেজুর গাছের কাছে বন্যা দেখা দিয়েছে। ইউএইবি জানিয়েছে, এই ধরণের বৃষ্টিপাত, যাকে আবহাওয়াবিদরা ঝড় হিসেবে বর্ণনা করছেন, আগামী মাস এবং বছরগুলিতে এ অঞ্চলের আবহাওয়ার ধারা প্রভাবিত করতে পারে।
এতে পরিবেশে অধিক আর্দ্রতা বজায় থাকবে, যার ফলে অধিক ঝড়ের আগমন সম্ভব। ছয় বছর ধরে চলা দীর্ঘমেয়াদী খরা মরক্কোর বেশিরভাগ এলাকায় বহু চ্যালেঞ্জ তৈরি করেছে। এই অবস্থা কৃষকদের তাদের জমি পরিত্যাগ করতে এবং শহর ও গ্রামে জলের সরবরাহ কমে যাওয়ার সম্মুখীন হতে বাধ্য করেছে।
