অজয় দেবগনের ছবি ‘রেড ২’ মুক্তির ২২তম দিনেও বক্স অফিসে চমৎকার সাফল্য অব্যাহত রেখেছে। ১ মে ২০২৫-এ মুক্তিপ্রাপ্ত এই ছবিটি এখন পর্যন্ত ভারতে প্রায় ১৫৮.২৫ কোটি টাকা আয় করেছে।
রেড ২ বক্স অফিস সংগ্রহ ২২তম দিন: বলিউডে যখন দমদার অভিনয় এবং শক্তিশালী গল্পের কথা আসে, তখন অজয় দেবগনের নাম স্বয়ংক্রিয়ভাবেই উঠে আসে। তার সর্বশেষ ছবি ‘রেড ২’ আবারও প্রমাণ করেছে যে অতিরিক্ত কোলাহল এবং অতিরিক্ত প্রচার ছাড়াই একটি ছবি কেবলমাত্র তার কন্টেন্টের উপর নির্ভর করে দর্শকদের মনে জায়গা করে নিতে পারে এবং বক্স অফিসে ঝড় তুলতে পারে।
২২তম দিনেও থেমে নেই ‘রেড ২’ -এর গতি
১ মে ২০২৫-এ মুক্তিপ্রাপ্ত ‘রেড ২’ এখন তার তৃতীয় সপ্তাহেও দমদার সাফল্য অর্জন করছে। যেখানে বেশিরভাগ ছবি তৃতীয় সপ্তাহে আসতে আসতে বক্স অফিসে ধীরে ধীরে নেমে আসে, সেখানে অজয় দেবগনের এই ছবিটি এখনও কোটি কোটি টাকা আয় করছে। ২২তম দিনের প্রাথমিক হিসেব অনুযায়ী ছবিটি প্রায় ০.৫৮ কোটি টাকা আয় করেছে এবং এর মোট সংগ্রহ এখন ১৫৮.২৫ কোটি টাকায় পৌঁছেছে। এই সংখ্যা এখনও প্রাথমিক এবং দিনের শেষে এতে আরও বৃদ্ধি হতে পারে।
প্রথম তিন সপ্তাহে চমৎকার যাত্রা
রেড ২ মুক্তির প্রথম সপ্তাহেই দারুণ উদ্বোধন করেছিল। ছবিটি ৭ দিনে ৮৫ কোটি টাকার বেশি ব্যবসা করেছিল। দ্বিতীয় সপ্তাহে এই সংখ্যা ৫০ কোটি টাকা ছাড়িয়ে গিয়েছিল এবং তৃতীয় সপ্তাহে এখনও প্রতিদিন এক থেকে দেড় কোটি টাকা আয় অব্যাহত রয়েছে। ১৯তম দিনে ছবিটি ১৫৩.৬৭ কোটি টাকার সংগ্রহ করেছিল। ২০তম দিনে এটি ২.২৫ কোটি টাকা, ২১তম দিনে ১.৭৫ কোটি টাকা আয় করে। এই হিসেবে তৃতীয় সপ্তাহের শুরুতেও দর্শকদের ভালোবাসা অব্যাহত রয়েছে।
২০২৫ সালে এখন পর্যন্ত বেশ কয়েকটি বড় ছবি মুক্তি পেয়েছে যেমন সালমান খানের সিকান্দর, সানি দেওলের জাট এবং অক্ষয় কুমারের স্কাই ফোর্স। কিন্তু এই ছবিগুলির তুলনায় রেড ২ না কেবল বেশি আয় করেছে, বরং দর্শকদের কাছ থেকেও ভালো সাড়া পেয়েছে। ২২তম দিনের তুলনা করলে:
- জাট-এর আয় মাত্র ২২ লক্ষ টাকা
- স্কাই ফোর্স-এর আয় ২০ লক্ষ টাকা
- সিকান্দর-এর আয় মাত্র ১০ লক্ষ টাকা
- অন্যদিকে রেড ২ এখনও প্রায় ৬০ লক্ষ টাকা প্রতিদিন আয় করছে, যা এই সব ছবির তুলনায় অনেক বেশি।
কেন সফল হচ্ছে রেড ২?
‘রেড ২’ -এর সাফল্যের সবচেয়ে বড় কারণ হল এর গল্পের সত্যতা এবং অজয় দেবগনের দমদার অভিনয়। প্রথম ছবির মতো এবারও অজয় দেবগন আয়কর কর্মকর্তা অময় পট্টনায়কের ভূমিকায় অভিনয় করেছেন, কিন্তু এবার তার মুখোমুখি রিতেশ দেশমুখ, যিনি একজন দুর্নীতিগ্রস্ত কিন্তু চালাক নেতার চরিত্রে অভিনয় করেছেন।
ছবির গল্পে সমাজের বাস্তবতা এবং ব্যবস্থার অভ্যন্তরীণ জটিলতাগুলি সুন্দরভাবে দেখানো হয়েছে। এছাড়াও বাণী কাপুর এবং সৌরভ শুক্লা-র মতো অভিজ্ঞ অভিনেতাদের উপস্থিতি এটিকে আরও কার্যকর করে তুলেছে।
ছবিটি পরিচালনা করেছেন রাজকুমার গুপ্তা, যিনি প্রথম পর্বটিও পরিচালনা করেছিলেন। এবার তিনি গল্পটিকে আরও তীব্র এবং রহস্যময় করে তুলেছেন। প্রতিটি দৃশ্যেই বাস্তবতার ছায়া রয়েছে, এবং এটাই কারণ যে দর্শকরা এটি বারবার দেখতে যাচ্ছেন।