রাজ্যসভায় হইচই, নতুন শিক্ষানীতিকে কেন্দ্র করে খড়গের আপত্তি। উপসভাপতির বাধার পর ক্ষুব্ধ হয়ে বললেন, "যা যা পেটানো দরকার, আমরা ঠিকমতো পেটাব, সরকারকে পেটাব।"
সংসদের বাজেট অধিবেশন: সংসদের বাজেট অধিবেশনে নতুন শিক্ষানীতি (NEP) কে কেন্দ্র করে সরকার এবং বিরোধীদের মধ্যে তীব্র বাকবিতণ্ডা চলছে। মঙ্গলবার রাজ্যসভায় এই বিষয়ে নেতা বিরোধী মল্লিকার্জুন খড়গের এমন একটি বক্তব্য দিলেন যার ফলে সদনে তুমুল হইচই শুরু হয়। শাসক দল খড়গের মন্তব্যের তীব্র প্রতিবাদ জানায়, যার পরে পরিস্থিতি আরও উত্তপ্ত হয়।
খড়গের বক্তব্যে হইচই
রাজ্যসভায় শিক্ষামন্ত্রী ধর্মেন্দ্র প্রধান যখন নতুন শিক্ষানীতি সম্পর্কে নিজের মতামত ব্যক্ত করছিলেন, তখন খড়গ তার বক্তব্যের নিন্দা করেন। উপসভাপতি যখন তাকে থামানোর চেষ্টা করেন, তখন তিনি ক্ষিপ্ত হয়ে বলেন যে, "এখানে একনায়কতন্ত্র চলছে।" এর পরে যখন তাকে আবার বলা হয় বক্তব্য দেওয়া বন্ধ করতে, তখন তিনি বলেন, "যা যা পেটানো দরকার, আমরা ঠিকমতো পেটাব। সরকারকে পেটাব।"
খড়গের এই বক্তব্যের প্রতিবাদে শাসকদল ক্ষোভ প্রকাশ করে এবং তাঁর কাছে ক্ষমা প্রার্থনা করার দাবি জানায়।
শাসকদল আপত্তি জানায়, খড়গ ক্ষমা চান
সংসদে নেতা সদন জেপি নড্ডা খড়গের বক্তব্যকে অগ্রহণযোগ্য বলে উল্লেখ করেন এবং ক্ষমা প্রার্থনার দাবি জানান। তিনি বলেন যে, বিরোধী দলের নেতার এ ধরনের ভাষা ব্যবহার করা উচিত নয়।
এরপর খড়গ বলেন, "যদি আমার কথায় কারোর মনে আঘাত লেগে থাকে তাহলে আমি ক্ষমা প্রার্থনা করছি। কিন্তু আমি সরকারের কাছে ক্ষমা প্রার্থনা করব না।"
শিক্ষামন্ত্রী ধর্মেন্দ্র প্রধানের বক্তব্য
রাজ্যসভায় বক্তব্য রাখার সময় শিক্ষামন্ত্রী ধর্মেন্দ্র প্রধান ডিএমকে (DMK) কে "অলোকতান্ত্রিক এবং অভদ্র" দল বলে অভিহিত করেন। এতে ক্ষুব্ধ হন ডিএমকে সাংসদ কনিমোঝি করুণানিধি এবং এটাকে তামিলনাড়ুর জনগণের অপমান বলে উল্লেখ করেন।
তিনি স্পষ্ট করে বলেন যে, তামিলনাড়ু নতুন শিক্ষানীতি (NEP) এবং ত্রিভাষা নীতিকে কোনো মূল্যেই গ্রহণ করবে না।
বিরোধী সাংসদরাও প্রধানের বক্তব্যের তীব্র প্রতিবাদ জানান। এ বিষয়ে খড়গ বলেন,
"যদি আপনি দেশের একটি অংশের জনগণকে অভদ্র ও অসংস্কৃত বলেন, তাহলে তা দেশ ভাঙার চেষ্টা। মোদী সরকার দেশকে ভাগ করার কথা বলছে।"
কনিমোঝি শিক্ষামন্ত্রীর বিরুদ্ধে নোটিশ দেন
ডিএমকে সাংসদ কনিমোঝি করুণানিধি শিক্ষামন্ত্রী ধর্মেন্দ্র প্রধানের বিরুদ্ধে সংসদীয় বিশেষাধিকার লঙ্ঘনের নোটিশ জমা দিয়েছেন। তিনি বলেন যে, প্রধানের বক্তব্য কেবলমাত্র ডিএমকে নয়, তামিলনাড়ুর জনগণেরও অপমান।
