রাজৌরিতে রহস্যময় রোগে মৃতের সংখ্যা বৃদ্ধি পেয়ে ১৪

রাজৌরিতে রহস্যময় রোগে মৃতের সংখ্যা বৃদ্ধি পেয়ে ১৪
সর্বশেষ আপডেট: 16-01-2025

জম্মু-কাশ্মীরের রাজৌরি জেলার বাদাল গ্রামে রহস্যময় রোগে আক্রান্ত হয়ে মৃতের সংখ্যা বেড়ে ১৪ হয়েছে। নমুনা পরীক্ষায় নিউরোটক্সিন পাওয়া গেলেও ভাইরাল সংক্রমণের সম্ভাবনা নাকচ করা হয়েছে।

Jammu-Kashmir: জম্মু-কাশ্মীরের রাজৌরি জেলার বাদাল গ্রামে রহস্যময় রোগে এখন পর্যন্ত ১৪ জনের মৃত্যু হয়েছে। মঙ্গলবার আরও এক শিশুর মৃত্যু হয়, যার ফলে মৃতের সংখ্যা বাড়ছে। এই রোগটি চারটি পরিবারকে বিশেষভাবে প্রভাবিত করেছে, যেখানে এক মাসের মধ্যে সকল সদস্যই মারা গেছে।

খাবার খাওয়ার পর শুরু হয়েছিল সমস্যা

মুহম্মদ আসলামের ছয় সন্তান শুক্রবার রাতে খাবার খাওয়ার পর মারাত্মক অসুস্থ হয়ে পড়েছিল। তাদের রাজৌরি থেকে জিএমসি জম্মুতে পাঠানো হয়, কিন্তু সেখানে রবিবার দুই শিশুর, সোমবার এক শিশুর এবং মঙ্গলবার ছয় বছরের সাফিনা কৌসারের মৃত্যু হয়। সোমবার আসলামের মামারও একই রোগে মৃত্যু হয়।

বিশেষজ্ঞদের রিপোর্টে নিউরোটক্সিনের সন্ধান

বিশেষজ্ঞরা যে কোনও ধরণের ভাইরাল বা ব্যাকটেরিয়াল সংক্রমণ অস্বীকার করেছেন। তবে, আক্রান্তদের নমুনায় নিউরোটক্সিনের উপস্থিতি পাওয়া গেছে। নিউরোটক্সিন স্নায়ুতন্ত্রকে প্রভাবিত করে এবং খাদ্য বা অন্যান্য মাধ্যমে শরীরে প্রবেশ করতে পারে। এই রোগের কারণগুলি খুঁজে বের করার জন্য স্বাস্থ্য বিভাগ এবং পুলিশের দল তদন্ত করছে।

প্রশাসনের উদ্যোগ

মুখ্য সচিব অতুল দুল্লু কর্তৃক একটা বৈঠক ডাকা হয়েছিল, যেখানে পিজিআই চণ্ডীগড়, জাতীয় ভাইরোলজি ইনস্টিটিউট, সিএসআইআর এবং এনসিডিসির বিশেষজ্ঞরা উপস্থিত ছিলেন। এই বিশেষজ্ঞরা নিউরোটক্সিনের বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন, কিন্তু রোগের উৎস এখনও খুঁজে পাওয়া যায়নি। মুখ্য সচিব পুলিশ ও স্বাস্থ্য বিভাগকে একসাথে কাজ করার নির্দেশ দিয়েছেন।

গ্রামবাসীদের মধ্যে আতঙ্ক

গ্রামের মানুষ তাদের বাচ্চাদের বাড়ির বাইরে বের হতে দিচ্ছে না এবং জনসমাবেশ এড়িয়ে চলছে। কর্তৃপক্ষ পরিস্থিতির উপর নজর রাখছে এবং মানুষকে স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলার পরামর্শ দিচ্ছে।

নিউরোটক্সিন কী?

নিউরোটক্সিন হল এমন কিছু রাসায়নিক পদার্থ যা স্নায়ুতন্ত্রকে দুর্বল করে দেয়। এগুলি খাবার, দূষিত জল বা প্রাণীর কামড়ের মাধ্যমে শরীরে প্রবেশ করতে পারে। এর প্রভাব মস্তিষ্ক এবং শরীরের স্নায়ুতে পড়ে, যার ফলে গুরুতর স্বাস্থ্য সমস্যা দেখা দিতে পারে।

প্রদেশ সরকার এই সমস্যার সমাধানের জন্য উচ্চ পর্যায়ের দল মোতায়েন করেছে। গ্রামে সচেতনতামূলক অভিযান চালানো হচ্ছে এবং মানুষকে কোনও অস্বাভাবিক লক্ষণের কথা অবিলম্বে জানানোর আহ্বান জানানো হয়েছে।

Leave a comment