পঞ্জাবের কৃষক আন্দোলন: ২৬শে মার্চ বিধানসভা অভিমুখে বৃহৎ পদযাত্রা

পঞ্জাবের কৃষক আন্দোলন: ২৬শে মার্চ বিধানসভা অভিমুখে বৃহৎ পদযাত্রা
সর্বশেষ আপডেট: 16-03-2025

পঞ্জাবের কৃষক আন্দোলন আবারও তীব্রতর হচ্ছে বলে মনে হচ্ছে। সরকারের সাথে বহু দফা আলোচনার পরও কোনো স্থায়ী সমাধান না হওয়ায় ক্ষুব্ধ কৃষকরা ২৬শে মার্চ বিধানসভা পর্যন্ত পদযাত্রা করবেন। এই বিক্ষোভ বিধানসভার বাজেট অধিবেশনের সময় হবে, যার ফলে রাজনৈতিক উত্তাপ বৃদ্ধির সম্ভাবনা রয়েছে। কৃষকদের দাবি, এটি শুধুমাত্র পদযাত্রা নয়, বরং তাদের অধিকারের লড়াইয়ের এক निर्णायक মোর্চা।

চণ্ডীগড়: পঞ্জাবের কৃষক আন্দোলন আবার জোরদার হয়েছে। সরকারের সাথে আলোচনা ব্যর্থ হওয়ার পর কৃষকরা ২৬শে মার্চ বিধানসভা পর্যন্ত পদযাত্রার ঘোষণা করেছে। এই বিক্ষোভ বাজেট অধিবেশনের সময় হবে, যার ফলে রাজনৈতিক পরিবেশ উত্তপ্ত হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। কৃষকরা এমএসপি-এর গ্যারান্টি এবং ঋণমাফির মতো দাবিতে অটল। বৈঠকে গ্রাম লেলে-এর ঘটনার নিন্দা করে সরকারের উপর দমনমূলক মনোভাবের অভিযোগ আনা হয়েছে। কৃষকরা মহাপঞ্চায়ত এবং জনসচেতনতা অভিযান পরিচালনারও ঘোষণা করেছে। এখন ২৬শে মার্চের দিকে সকলের দৃষ্টি, সরকার কি কোনো স্থায়ী পদক্ষেপ নেবে নাকি আন্দোলন আরও তীব্র হবে।

সরকারের সাথে আলোচনা ব্যর্থ, এবার সরাসরি সংগ্রাম

কৃষক সংগঠনগুলি ১৬শে মার্চ একটি গুরুত্বপূর্ণ বৈঠক করেছিল, যেখানে মুখ্যমন্ত্রী ভগবন্ত মানকে আলোচনার জন্য আমন্ত্রণ জানানোর পরিকল্পনা ছিল। কিন্তু সরকারের পক্ষ থেকে কোনো ইতিবাচক সাড়া না পাওয়ায় কৃষকরা সংগ্রাম তীব্র করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে। এখন ২৬শে মার্চ চণ্ডীগড়ের সেক্টর ৩৪ গ্রাউন্ড থেকে বিধানসভা পর্যন্ত পদযাত্রার ঘোষণা করা হয়েছে।

মহাপঞ্চায়ত এবং জনসচেতনতা অভিযানে আন্দোলন আরও জোরদার হবে

বৈঠকে গ্রাম লেলেতে কৃষকদের সাথে দুর্ব্যবহারের তীব্র নিন্দা করা হয়েছে। কৃষক সংগঠনগুলি এটিকে সরকারের দমনমূলক নীতি বলে অভিহিত করেছে এবং স্পষ্ট করে বলেছে যে তারা কোনও ধরণের অত্যাচার সহ্য করবে না। কৃষক আন্দোলনকে আরও শক্তিশালী করার জন্য বর্নাল, অমৃতসর এবং জালন্ধরে মহাপঞ্চায়তের আয়োজন করা হবে। এছাড়াও, সমগ্র পঞ্জাবে জনসচেতনতা অভিযান চালিয়ে এই সংগ্রামে আরও বেশি সংখ্যক কৃষককে যুক্ত করা হবে।

২৬শে মার্চ কি পঞ্জাবের রাজনীতিতে নতুন মোড় নিয়ে আসবে?

কৃষকরা এমএসপি-এর আইনগত গ্যারান্টি, ঋণমাফি এবং অন্যান্য বিষয় নিয়ে সংগ্রাম করছে, কিন্তু সরকার তাদের দাবি উপেক্ষা করছে। কৃষক নেতারা স্পষ্ট করে দিয়েছেন যে যদি দ্রুত কোনো স্থায়ী পদক্ষেপ না নেওয়া হয়, তাহলে এই আন্দোলন আরও তীব্র হতে পারে। কৃষকদের এই বড় ঘোষণার পর এখন পঞ্জাবের রাজনীতিতে আন্দোলন তীব্র হয়েছে। সরকার কি কৃষকদের মনোযোগ আকর্ষণ করার জন্য কোনো স্থায়ী উদ্যোগ নেবে, নাকি এই আন্দোলন আরও তীব্র হবে? ২৬শে মার্চ রাজনৈতিক কর্মীদের দৃষ্টি চণ্ডীগড়ে থাকবে।

Leave a comment