এএনআই সংবাদ সংস্থা আমেরিকান প্রতিষ্ঠান ওপেনএআই-এর বিরুদ্ধে কপিরাইট লঙ্ঘনের মামলা দায়ের করেছে। এখন ভারতীয় মিউজিক ইন্ডাস্ট্রি (আইএমআই)ও এই মামলায় যোগদানের পরিকল্পনা করছে। দিল্লি হাইকোর্ট এই মামলায় ওপেনএআই-কে নোটিশ জারি করে আইএমআই-এর আবেদনের জবাব দিতে বলেছে।
এএনআই ওপেনএআই-এর উপর অভিযোগ আনয়ন করেছে যে, প্রতিষ্ঠানটি ছাড়া অনুমতি ছাড়াই তাদের চ্যাটজিপিটি মডেল প্রশিক্ষণের জন্য এএনআই-এর কন্টেন্ট ব্যবহার করেছে। এছাড়াও, আইএমআইও ওপেনএআই-এর উপর অভিযোগ আনয়ন করেছে যে, আমেরিকান প্রতিষ্ঠানটি ছাড়া অনুমতি ছাড়াই তাদের সাউন্ড রেকর্ডিং ব্যবহার করে এআই মডেল প্রশিক্ষণ দিয়েছে। দিল্লি হাইকোর্ট এই মামলায় ওপেনএআই-এর কাছ থেকে জবাব চেয়েছে এবং এখন দেখার বিষয় হলো আমেরিকান প্রতিষ্ঠানটি কী প্রতিক্রিয়া দেয়।
সঙ্গীত প্রতিষ্ঠানগুলির উদ্বেগ
সঙ্গীত প্রতিষ্ঠানগুলি উদ্বিগ্ন যে, ওপেনএআই এবং অন্যান্য এআই প্রতিষ্ঠান ইন্টারনেট থেকে গান, লিরিক্স, সঙ্গীত রচনা এবং সাউন্ড রেকর্ডিং সংগ্রহ করতে পারে, যা সরাসরি কপিরাইট লঙ্ঘন। প্রতিষ্ঠানগুলি বলছে যে, ছাড়া অনুমতি ছাড়াই এই সামগ্রীগুলি ব্যবহার করা হচ্ছে, যার ফলে শিল্পী এবং প্রতিষ্ঠানগুলির অধিকার লঙ্ঘিত হচ্ছে।
এর আগে, ২০২৩ সালের নভেম্বরে জার্মানিতেও ওপেনএআই-এর বিরুদ্ধে একটি মামলা দায়ের করা হয়েছিল, যেখানে প্রতিষ্ঠানটির উপর অভিযোগ আনা হয়েছিল যে, তারা ছাড়া অনুমতি ছাড়াই তাদের এআই মডেল প্রশিক্ষণের জন্য কন্টেন্ট ব্যবহার করেছে। এখন এএনআই এবং আইএমআইও ওপেনএআই-এর উপর একই ধরণের অভিযোগ আনয়ন করেছে, যার পর দিল্লি হাইকোর্ট আমেরিকান প্রতিষ্ঠানটিকে নোটিশ জারি করেছে।
দিল্লি হাইকোর্টের নির্দেশনা
সোমবার দিল্লি হাইকোর্ট ওপেনএআই-এর বিরুদ্ধে চলমান মামলায় গুরুত্বপূর্ণ মন্তব্য করেছে। আদালত বলেছে যে, প্রভাবিত পক্ষগুলিকে তাদের মামলা আলাদাভাবে দায়ের করা উচিত এবং সবাইকে এএনআই-এর মামলায় অন্তর্ভুক্ত করা যাবে না। মামলার পরবর্তী শুনানি ২১ ফেব্রুয়ারী হবে।
এদিকে, এটাও লক্ষণীয় যে, আমেরিকায়ও ওপেনএআই-এর বিরুদ্ধে অনেক মামলা চলছে। দ্য নিউ ইয়র্ক টাইমস এবং অন্যান্য বৃহৎ প্রতিষ্ঠান ওপেনএআই-এর বিরুদ্ধে আইনি পদক্ষেপ নিয়েছে এবং ক্ষতিপূরণ হিসেবে কোটি কোটি টাকার দাবী করেছে।