নির্বাচন পরিচালনা বিধি সংশোধনীর বিষয়টি সুপ্রিম কোর্টে পৌঁছেছে। কংগ্রেস কেন্দ্র সরকারের পরিবর্তনের বিরুদ্ধে একটি রিট পিটিশন দাখিল করেছে, অভিযোগ করেছে যে এটি নির্বাচনী স্বচ্ছতাকে প্রভাবিত করবে। বৈদ্যুতিন নথির উপর নিষেধাজ্ঞা জারির প্রতিবাদ চলছে।
দিল্লি সংবাদ: নির্বাচন পরিচালনা বিধি-১৯৬১-এ সংশোধনী নিয়ে কংগ্রেস সুপ্রিম কোর্টে একটি রিট পিটিশন দাখিল করেছে। মঙ্গলবার কংগ্রেস নেতা জয়রাম রমেশ এই সংশোধনীর বিরোধিতা করেন। কংগ্রেস অভিযোগ করেছে যে এই সংশোধনী নির্বাচনী প্রক্রিয়ার স্বচ্ছতাকে প্রভাবিত করে এবং নির্বাচন কমিশনের নিরপেক্ষতা নিয়ে প্রশ্ন তোলে।
কেন্দ্র বৈদ্যুতিন রেকর্ড পরিদর্শনে নিষেধাজ্ঞা জারি করেছে
সম্প্রতি, কেন্দ্র সরকার নির্বাচনী প্রক্রিয়া সম্পর্কিত বৈদ্যুতিন নথিগুলির সর্বজনীন পরিদর্শনের উপর নিষেধাজ্ঞা জারি করেছে। সংশোধনের পর থেকে, সাধারণ জনগণ সিসিটিভি ফুটেজ, ওয়েবকাস্টিং ডেটা এবং প্রার্থীদের ভিডিও রেকর্ডিংয়ের মতো নথিগুলি পরিদর্শন করতে পারবে না। সরকারের দাবি, এই রেকর্ডগুলির সম্ভাব্য অপব্যবহার রোধ করার জন্য এই পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে।
কংগ্রেস সংশোধনীর বিরোধিতা করেছে
কংগ্রেস নেতা জয়রাম রমেশ এই সংশোধনীর বিরোধিতা করে বলেছেন যে এটি নির্বাচনী প্রক্রিয়ার স্বচ্ছতা এবং জবাবদিহিতাকে শেষ করে দেবে। তিনি বলেন, "নির্বাচন কমিশনের মতো একটি সাংবিধানিক সংস্থার স্বাধীন ও নিরপেক্ষ নির্বাচন পরিচালনার দায়িত্ব রয়েছে। কিন্তু এই ধরনের জনপরামর্শ ছাড়াই সংশোধন করা গণতন্ত্রের মূল নীতির পরিপন্থী"|
সুপ্রিম কোর্টের কাছে প্রত্যাশা
কংগ্রেস নির্বাচনী প্রক্রিয়ার ক্রমহ্রাসমান অখণ্ডতা পুনরুদ্ধার করার জন্য সুপ্রিম কোর্টের কাছে আবেদন জানিয়েছে। জয়রাম রমেশ তাঁর বিবৃতিতে বলেছেন, "নির্বাচন কমিশনের নিয়মে পরিবর্তনের ফলে জনগণ প্রয়োজনীয় তথ্য থেকে বঞ্চিত হবে। সুপ্রিম কোর্ট এই সংশোধনী বাতিল করে গণতন্ত্র রক্ষা করুক"।
বিধি ৯৩-এ সংশোধন করা হয়েছে
নির্বাচন পরিচালনা বিধি-১৯৬১ এর বিধি ৯৩(২)(এ)-তে সংশোধন করা হয়েছে। এর অধীনে, এখন থেকে শুধুমাত্র প্রার্থীরা নির্বাচনী নথি পরিদর্শন করার অনুমতি পাবেন। জনগণ এই রেকর্ডগুলি সর্বজনীনভাবে পরিদর্শন করতে পারবে না। ভারত নির্বাচন কমিশনের সুপারিশের ভিত্তিতে কেন্দ্রীয় আইন মন্ত্রক এই সংশোধনী করেছে।
কংগ্রেসের যুক্তি
কংগ্রেস যুক্তি দিয়েছে যে এই সংশোধনী নির্বাচন কমিশনের স্বায়ত্তশাসন এবং নিরপেক্ষতাকে দুর্বল করে। এর ফলে নির্বাচনী প্রক্রিয়ায় স্বচ্ছতা শেষ হয়ে যেতে পারে। কংগ্রেসের বক্তব্য, এই পদক্ষেপ গণতন্ত্রের জন্য ক্ষতিকর এবং এটি প্রত্যাহার করা উচিত।