উত্তরাখণ্ডের দেবভূমিতে অবস্থিত কাঞ্চী ধাম ভক্তদের আস্থার কেন্দ্রবিন্দু। এখানে বিরাজমান নীমকরোলী বাবাকে অলৌকিক সাধু বলে মনে করা হয়, যাঁর কৃপায় জীবনে ইতিবাচক পরিবর্তন আসে। দেশ-বিদেশ থেকে হাজার হাজার ভক্ত এখানে দর্শনার্থে আসেন, যাদের মধ্যে বিরাট কোহলি, মহেন্দ্র সিং ধোনি, স্টিভ জবস এবং মার্ক জুকারবার্গের মতো ব্যক্তিত্বও রয়েছেন।
কথিত আছে, বাবা নিজেই তাঁর ভক্তদের ধামে ডাকেন। যদি আপনার জীবনে কিছু বিশেষ ইঙ্গিত দেখা দেয়, তাহলে বুঝতে পারবেন যে বাবার কৃপা আপনার জন্য দ্বার উন্মোচন করতে চলেছে।
কীভাবে বুঝবেন যে বাবা ডাক দিয়েছেন?
নীমকরোলী বাবার ভক্তদের বিশ্বাস, যখন কারও জীবনে বাবার ডাক আসে, তখন কিছু বিশেষ ইঙ্গিত দেখা দিতে শুরু করে।
• হঠাৎ করে বাবার কথা শোনা যায় – আপনার আশেপাশে লোকেরা বাবার অলৌকিক কীর্তির কথা বলতে শুরু করবে, যদিও আপনি আগে তাঁর সম্পর্কে কিছু জানতেন না।
• স্বপ্নে বাবার দর্শন – অনেক ভক্তের অভিজ্ঞতা হল যে বাবা স্বপ্নে এসে ধামে আসার ইঙ্গিত দেন।
• হঠাৎ করে কাঞ্চী ধামে যাওয়ার ইচ্ছা – কোনো পূর্ব পরিকল্পনা ছাড়াই আপনার মনে সেখানে যাওয়ার তীব্র ইচ্ছা জন্মাতে পারে।
• জীবনে পরিবর্তনের সূচনা – বাবার ডাকের সাথে সাথেই অনেক সমস্যার সমাধান দেখা দিতে শুরু করে এবং আপনার দৃষ্টিভঙ্গি আরও ইতিবাচক হয়ে ওঠে।
সত্যিই কি ভাগ্য বদলে যায়?
কথিত আছে, যে ব্যক্তি একবার নীমকরোলী বাবার দরবারে সত্যি মনে হাজিরা দেয়, তার ভাগ্য বদলাতে শুরু করে। অনেক বিখ্যাত ব্যক্তিত্ব বাবার দর্শনের পর তাদের জীবনে পরিবর্তন অনুভব করেছেন।
• স্টিভ জবস যখন অ্যাপলের প্রাথমিক পর্যায়ে সংগ্রাম করছিলেন, তখন তিনি বাবার কৃপা লাভের জন্য কাঞ্চী ধামে এসেছিলেন।
• মার্ক জুকারবার্গও ফেসবুককে নতুন উচ্চতায় পৌঁছানোর জন্য বাবার অনুপ্রেরণা নিতে এখানে এসেছিলেন।
• ভারতীয় ক্রিকেটার বিরাট কোহলি এবং মহেন্দ্র সিং ধোনিও বাবার প্রতি অপার শ্রদ্ধা রাখেন এবং সময়ে সময়ে দর্শনার্থে আসেন।
বাবাকে কী ভোগ দেওয়া হয়?
নীমকরোলী বাবার কৃপা লাভের জন্য ভক্তরা তাঁকে বিভিন্ন ধরণের প্রসাদ অর্পণ করেন, কিন্তু কিছু জিনিস বিশেষভাবে প্রিয় বলে মনে করা হয়:
• আপেল – বাবা আপেল অত্যন্ত প্রিয় ছিল, এবং ভক্তগণ আপেলের ভোগ দিয়ে তাঁর আশীর্বাদ লাভ করেন।
• জিলিপি – মিষ্টান্নের মধ্যে বাবা জিলিপি খুব পছন্দ করতেন। তাই, যে কোনও ভক্ত কাঞ্চী ধামে যান, তারা বাবাকে প্রেমে জিলিপি অর্পণ করেন।
কাঞ্চী ধামের আধ্যাত্মিক শক্তি
উত্তরাখণ্ডের নৈনিতাল জেলায় অবস্থিত কাঞ্চী ধাম চারিদিকে সবুজ পাহাড়ে ঘেরা। এখানকার পরিবেশ এতই দিব্য এবং শান্তিপূর্ণ যে ব্যক্তি নিজেকে শক্তিময় অনুভব করে। এই পবিত্র স্থানে এসে মনের ব্যাকুলতা শান্ত হয় এবং নেতিবাচকতা স্বয়ংক্রিয়ভাবে দূর হয়।
যদি আপনার জীবনে হঠাৎ করে বাবার দর্শন করার ইচ্ছা জাগ্রত হয়, অথবা কেউ আপনাকে বারবার কাঞ্চী ধামে যাওয়ার পরামর্শ দেয়, তাহলে এটিকে শুধুমাত্র সংযোগ বলে মনে করবেন না। এটি বাবার ডাক হতে পারে।