মুম্বইতে ১২ দিন আগে আসল মৌসুমি বৃষ্টি। ঝাপসা বৃষ্টিতে শহরে জলাবদ্ধতা। বিএমসি ৯৬টি দুর্বল ভবন খালি করাল। আইএমডি ইলো অ্যালার্ট জারি করল। বিদ্যুৎপাতের আশঙ্কা, প্রশাসন সতর্ক থাকার পরামর্শ দিল।
মুম্বই: মুম্বইতে এ বছর মৌসুমি বৃষ্টি নির্ধারিত সময়ের ১২ দিন আগেই আসে। এর সাথে সাথেই শহরে ভারী বৃষ্টির ধারা শুরু হয়েছে। মাত্র কয়েক ঘন্টার মধ্যে ঝাপসা বৃষ্টি মুম্বইকে পানিতে ডুবিয়ে দিয়েছে। অনেক এলাকায় জলাবদ্ধতার অবস্থা তৈরি হয়েছে। যার ফলে জনজীবনে প্রভাব পড়েছে। ভারতীয় আবহাওয়া দপ্তর (আইএমডি) মুম্বই এবং আশপাশের জেলাগুলির জন্য ইলো অ্যালার্ট জারি করেছে। এটি স্পষ্ট ইঙ্গিত দেয় যে আগামী কয়েক দিন ধরে ভারী বৃষ্টিপাত অব্যাহত থাকতে পারে। মুম্বই, থানে এবং পালঘরের মতো উপকূলীয় জেলাগুলির জন্যও সতর্কতা জারি করা হয়েছে। আবহাওয়া দপ্তর জানিয়েছে, বৃষ্টির সাথে সাথে বৃষ্টির সাথে প্রবল বাতাস বয়ে যাওয়ার এবং বিদ্যুৎপাতের আশঙ্কাও রয়েছে।
মুম্বইতে জলাবদ্ধতা এবং যানজটের সমস্যা
মুম্বইয়ে বৃষ্টি শুরু হতেই জলাবদ্ধতার পুরোনো সমস্যা আবার দেখা দিয়েছে। রাস্তায় পানি জমে যাওয়ার ফলে অনেক জায়গায় যানজটের অবস্থা তৈরি হয়েছে। অন্ধেরী, সায়ান, দাদার, কুরলা, মালাদ এবং বান্দ্রার মতো এলাকায় রাস্তায় গাড়িগুলি ধীরগতিতে চলতে দেখা গেছে। লোকাল ট্রেন পরিষেবাগুলিতেও প্রভাব পড়েছে। রেলপথে পানি জমে যাওয়ার ফলে অনেক লোকাল ট্রেনের গতি কমে গেছে। বিএমসি জলাবদ্ধ এলাকায় পাম্পিং মেশিন স্থাপন করেছে। নালার পরিষ্কার এবং ড্রেনেজ সিস্টেম সচল রাখার জন্য দলগুলি ক্রমাগত কাজ করছে।
আইএমডি ইলো অ্যালার্ট জারি করল
আবহাওয়া দপ্তর মুম্বইসহ মহারাষ্ট্রের উপকূলীয় জেলাগুলির জন্য ইলো অ্যালার্ট জারি করেছে। এর অর্থ হল আগামী সময়ে মাঝারি থেকে ভারী বৃষ্টিপাতের সম্ভাবনা রয়েছে। আইএমডি নাগরিকদের অনুরোধ করেছে যে তারা অযথা বাড়ির বাইরে না যান এবং প্রশাসনের নির্দেশাবলী অনুসরণ করুন। ভারী বৃষ্টিপাতের সময় সমুদ্রের ঢেউয়ের প্রবল বাতাস এবং বিদ্যুৎপাতের ঘটনার আশঙ্কাও রয়েছে। এটি বিবেচনা করে স্থানীয় প্রশাসন জনগণকে সতর্ক থাকার জন্য বলেছে।
বিএমসির প্রস্তুতি। দুর্বল ভবন থেকে মানুষদের সরিয়ে নেওয়া হয়েছে
বিএমসি এবং এমএইচএডিএ যৌথভাবে শহরের দুর্বল ভবনগুলি চিহ্নিত করেছে। এখন পর্যন্ত ৯৬টি ভবনকে বিপজ্জনক ঘোষণা করা হয়েছে। এখানে বসবাসকারী প্রায় ৩১০০ জনকে নিরাপদ স্থানে স্থানান্তরের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। বিএমসির কর্মকর্তারা বৃষ্টির প্রভাবে ক্ষতিগ্রস্ত এলাকাগুলির निরীক্ষণ করছেন। নিয়ন্ত্রণ কক্ষ ২৪ ঘন্টা কাজ করছে। জরুরি অবস্থায় মানুষের সাহায্যের জন্য হেল্পলাইন নম্বর জারি করা হয়েছে। জলাবদ্ধতার সমস্যার সমাধান করার জন্য বিএমসি নালার পরিষ্কার, পাম্পিং স্টেশনের মেরামত এবং ট্রাফিক নিয়ন্ত্রণের ব্যবস্থা শক্তিশালী করেছে।
বিদ্যুৎপাতের আশঙ্কা। প্রশাসনের আবেদন
উপকূলীয় এলাকায় বিদ্যুৎপাতের আশঙ্কা সবচেয়ে বেশি। সমুদ্রের বাতাসের বেগও বেশি থাকছে। প্রশাসন মৎস্যজীবী এবং সমুদ্রের তীরে বসবাসকারীদের সতর্ক থাকার আবেদন জানিয়েছে। মৎস্যজীবীদের সমুদ্রে না যাওয়ার পরামর্শ দেওয়া হয়েছে। বিদ্যুৎপাতের ঘটনার হাত থেকে বাঁচার জন্য মানুষকে বাড়ির ভেতরে থাকার, মোবাইল ব্যবহার সীমিত করার এবং খোলা মাঠ থেকে দূরে থাকার পরামর্শ দেওয়া হয়েছে।