মণিপুরে বিজেপির ২৩ জন বিধায়ক সরকার গঠন নিয়ে আলোচনা করার জন্য বৈঠক করেছেন। মৈতেই এবং কুকি-জো সম্প্রদায়ের মধ্যে যোগাযোগ বৃদ্ধি, শান্তিদূত নিয়োগ এবং অস্ত্র নিরস্ত্রীকরণের উপর জোর দেওয়া হয়েছে।
মণিপুর: মণিপুরের রাজনীতিতে এক বড় পরিবর্তন দেখা যেতে পারে। শুক্রবার বিজেপির ২৩ জন বিধায়ক ইম্ফালের প্রাক্তন মন্ত্রী থোংগম বিশ্বজিৎ সিংহের বাসভবনে বৈঠক করেছেন, যেখানে সরকার গঠনের সম্ভাবনা এবং রাজ্যে শান্তি পুনঃস্থাপনের বিষয়গুলি নিয়ে বিস্তারিত আলোচনা হয়েছে। এই বৈঠককে রাজ্যের রাজনৈতিক স্থিরতা এবং উন্নয়নের জন্য একটি গুরুত্বপূর্ণ পদক্ষেপ হিসেবে বিবেচনা করা হচ্ছে।
বিজেপি বিধায়করা উত্থাপিত গুরুত্বপূর্ণ বিষয়াবলি
এই বৈঠকে বিধায়করা মনে করেছেন যে রাজ্যে গত কিছুদিন ধরে রাজনৈতিক অচলাবস্থা এবং উত্তেজনা বিরাজ করছে, যা দ্রুত সমাধান করা জরুরি। তারা স্পষ্ট করে বলেছেন যে তারা ব্যক্তিগত স্বার্থের উপরে উঠে মণিপুরের জনগণের স্বার্থে কাজ করবেন। বিজেপি নেতা থোকচোম রাধেশ্যামও বলেছিলেন যে ৪৪ জন বিধায়ক সরকার গঠনের জন্য প্রস্তুত, যদিও এই দলে কিছু বিধায়ক এখনও যোগদান করেননি।
সাম্প্রদায়িক উত্তেজনা দূর করার পরিকল্পনা
বৈঠকে এটিও সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে যে মৈতেই এবং কুকি-জো সম্প্রদায়ের মধ্যে চলমান উত্তেজনার অবসান ঘটানোর জন্য একটি নিরপেক্ষ সংলাপ মঞ্চ তৈরি করা হবে। পাশাপাশি রাজ্যপাল এবং কেন্দ্রীয় সরকারের কাছে শান্তিদূত বা সম্মানিত মধ্যস্থতাকারীদের একটি প্যানেল নিয়োগের দাবি জানানো হয়েছে, যাতে দুটি সম্প্রদায়ের মধ্যে আস্থা ফিরে আসে।
স্থানীয় সম্প্রদায়, ছাত্র সংগঠন, ধর্মীয় গোষ্ঠী এবং নাগরিক সমাজকেও এই সংলাপ প্রক্রিয়ায় যুক্ত করা হবে যাতে স্থানীয় পর্যায়ে শান্তি বজায় থাকে।
শৃঙ্খলা রক্ষা এবং অস্ত্র নিরস্ত্রীকরণের উপর জোর
সুরক্ষার পরিস্থিতি উন্নত করার জন্য বিধায়করা অস্ত্র নিরস্ত্রীকরণ অভিযানকে কার্যকর করার উপর জোর দিয়েছেন। রাজ্যের পাহাড়ি এবং উপত্যকা অঞ্চলে অস্ত্র উদ্ধার এবং নিরাপত্তা বাহিনীর নিরপেক্ষতা অপরিহার্য। তারা কেন্দ্রীয় এবং রাজ্য উভয় সরকারের কাছে অনুরোধ করেছেন যেন তারা আইনশৃঙ্খলাকে আরও কঠোর এবং নিরপেক্ষ করে তোলে যাতে মানুষ নিরাপদ বোধ করে।
মিডিয়া এবং নাগরিক সমাজের সাথে যোগাযোগের প্রয়োজন
২০ মে গোয়ালটাবি-তে সংঘটিত হিংসার পর বিধায়করা বলেছেন যে সরকারকে মিডিয়া এবং নাগরিক সমাজের সাথে যোগাযোগ বাড়াতে হবে। সংলাপের মাধ্যমেই সমস্যার সমাধান সম্ভব। বিজেপি বিধায়করা রাজ্যে স্থিরতা আনার জন্য এই প্রক্রিয়ায় সম্পূর্ণ সহযোগিতার আশ্বাস দিয়েছেন।