মহারাষ্ট্রে পওয়ার পরিবারের দীপাবলি উৎসব: আলাদা আলাদা পালন

মহারাষ্ট্রে পওয়ার পরিবারের দীপাবলি উৎসব: আলাদা আলাদা পালন
সর্বশেষ আপডেট: 17-02-2025

মহারাষ্ট্রে প্রথমবার পওয়ার পরিবার দীপাবলি ‘পড়ওয়া’ উৎসব আলাদা আলাদা ভাবে পালন করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে। শরদ পওয়ার তার নাতি ও বারামতি থেকে এনসিপি প্রার্থী যুগেন্দ্র পওয়ারের প্রচারের সময় গোবিন্দ বাগে উৎসব পালন করেছেন, অন্যদিকে উপ-মুখ্যমন্ত্রী ও এনসিপি নেতা অজিত পওয়ার তার স্ত্রী সাংসদ সুনেত্রা পওয়ার এবং ছেলে পার্থ ও জয়ের সাথে কটয়াচি বাড়িতে উৎসব পালন করেছেন।

বারামতি: Maharashtra Politics মহারাষ্ট্রের রাজনীতিতে কাকা শরদ পওয়ার ও ভাতিজা অজিত পওয়ারের মধ্যে রাজনৈতিক বিভাজনের পর এবার পারিবারিক স্তরেও ফাটল দেখা দিয়েছে। দুই পরিবারই প্রথমবার দীপাবলি ‘পড়ওয়া’ আলাদা আলাদা ভাবে পালনের সিদ্ধান্ত নিয়েছে, যার ফলে পরিবারে পরিস্থিতি আরও উত্তেজনাপূর্ণ হয়ে উঠেছে।

আলাদা-আলাদা পালিত পওয়ার পরিবার দীপাবলি পড়ওয়া

কাকা শরদ পওয়ার তার নাতি ও বারামতি থেকে এনসিপি (SCP) প্রার্থী যুগেন্দ্র পওয়ারের প্রচার করতে গিয়ে গোবিন্দ বাগে দীপাবলি পড়ওয়া পালন করেছেন। অন্যদিকে, উপ-মুখ্যমন্ত্রী ও এনসিপি নেতা অজিত পওয়ার তার স্ত্রী সাংসদ সুনেত্রা পওয়ার এবং দুই ছেলে পার্থ ও জয়ের সাথে কটয়াচি বাড়িতে উৎসব পালনে উপস্থিত ছিলেন।

বারামতি বাসিন্দাদের সমস্যা

পরম্পরাগত ভাবে শরদ পওয়ার ও অজিত পওয়ার দীপাবলি পড়ওয়ার সময় গোবিন্দ বাগে মানুষের সাথে দেখা করতেন। বারামতির মানুষের জন্য এবারের সময়টা কঠিন ছিল, কারণ তাদের শরদ পওয়ার অথবা অজিত পওয়ারের মধ্যে কাউকে একজনকে বেছে নিতে হচ্ছিল। তবে কিছু মানুষ দুই নেতার সাথেই দেখা করে তাদের শুভেচ্ছা জানিয়েছেন।

এক-অন্যের সমালোচনা

পওয়ার পরিবারে বিভিন্ন উৎসব আলাদা ভাবে পালন করা ইঙ্গিত দিচ্ছে যে শরদ পওয়ার ও অজিত পওয়ারের সম্পর্ক ভালো নয়। দুজনেই পরস্পরের সমালোচনা করে নিজ নিজ নির্বাচনী প্রচার শুরু করেছে। অজিত পওয়ারের ছেলে পার্থ পওয়ার স্পষ্ট করে দিয়েছে যে দীপাবলি ও পড়ওয়া এবার থেকে আলাদা আলাদা ভাবে পালন করা হবে।

ভবিষ্যতেও আলাদা পালন: পার্থ পওয়ার

পার্থ পওয়ার জানিয়েছেন যে কর্মীরা অনুভব করেছে দীপাবলি পড়ওয়া আলাদা ভাবে পালনের প্রয়োজন আছে এবং অজিত দাদাও সেই মতো সিদ্ধান্ত নিয়েছেন। তিনি বলেছেন ভবিষ্যতেও এই প্রথা বজায় থাকবে। যদি দীপাবলি পড়ওয়া একসাথে পালিত হতো তাহলে চলমান বিধানসভা নির্বাচনী প্রচারের সময় জনসাধারণের মধ্যে বিভ্রান্তি তৈরি হতে পারত।

```

Leave a comment