মহারাষ্ট্রে আওরঙ্গজেবের মাজার সরানোর দাবিতে মুখ্যমন্ত্রীর বক্তব্য

মহারাষ্ট্রে আওরঙ্গজেবের মাজার সরানোর দাবিতে মুখ্যমন্ত্রীর বক্তব্য
সর্বশেষ আপডেট: 10-03-2025

মহারাষ্ট্রের ছত্রপতি সম্ভাজীনগরে অবস্থিত মোগল শাসক আওরঙ্গজেবের মাজার সরানোর দাবিতে উত্তাল হয়ে উঠেছে রাজ্য। এই বিষয়ে এবার রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী দেবেন্দ্র ফড়নবিসের বক্তব্য সামনে এসেছে। তিনি বলেছেন, সকলেই এই দাবিকে সমর্থন করছেন, কিন্তু এই কাজ আইনের আওতায়ই সম্পন্ন হতে হবে।

মুম্বই: মহারাষ্ট্রের রাজনীতিতে মোগল শাসক আওরঙ্গজেবকে কেন্দ্র করে বিতর্ক থামার নাম নেই। বিবাদ এখন ছত্রপতি সম্ভাজীনগরে অবস্থিত আওরঙ্গজেবের মাজার সরানোর দাবিতে গিয়ে পৌঁছেছে। এই বিষয়ে মুখ্যমন্ত্রী দেবেন্দ্র ফড়নবিসও প্রতিক্রিয়া দিয়েছেন। ফড়নবিস বলেছেন, রাজ্যের বিপুল সংখ্যক মানুষ মনে করেন ছত্রপতি সম্ভাজীনগরে অবস্থিত আওরঙ্গজেবের মাজার সরানো উচিত, কিন্তু এ কাজ আইনের আওতায়ই হবে। তিনি আরও স্পষ্ট করে বলেছেন যে, সরকার এই বিষয়ে সাংবিধানিক ও আইনগত প্রক্রিয়া অনুসরণ করবে।

ছত্রপতি শিবাজীর বংশধরের দাবি

বিজেপি সাংসদ এবং ছত্রপতি শিবাজী মহারাজের বংশধর উদয়নরাজে ভোঁসলে সম্প্রতি এই মাজার সরানোর দাবি তুলেছিলেন। এর প্রতিক্রিয়া জানিয়ে মুখ্যমন্ত্রী ফড়নবিস বলেছেন, “আমরা সকলেই এই বিষয়ে একমত, কিন্তু আইনগত প্রক্রিয়ার মাধ্যমেই কার্যকরী ব্যবস্থা নেওয়া হবে। এই স্থান আগে কংগ্রেস সরকারের আমলে ভারতীয় পুরাতত্ত্ব জরিপ (ASI) এর তত্ত্বাবধানে দেওয়া হয়েছিল।”

কীভাবে শুরু হলো বিতর্ক?

এই বিতর্কের সূত্রপাত হয় যখন মহারাষ্ট্র সমাজবাদী পার্টির নেতা এবং বিধায়ক আবু আসিম আজমি আওরঙ্গজেবের প্রশংসা করে বিতর্কিত বক্তব্য দেন। তিনি বলেছিলেন, "আওরঙ্গজেব অনেক মন্দির নির্মাণ করেছিলেন এবং তিনি একজন ন্যায়পরায়ণ শাসক ছিলেন।" তার এই বক্তব্যের পর মহারাষ্ট্রের রাজনীতি উত্তাল হয়ে ওঠে এবং বিজেপি সহ অন্যান্য সংগঠন তীব্র প্রতিবাদ জানায়।

আবু আজমির বিরুদ্ধে ব্যবস্থা

আবু আজমির বক্তব্যের জন্য তার বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করা হয় এবং তাকে ২৬শে মার্চ পর্যন্ত মহারাষ্ট্র বিধানসভা থেকে স্থগিত করা হয়। তবে, বর্ধমান প্রতিবাদের পর তিনি তার বক্তব্য প্রত্যাহার করে বলেছেন, “যদি আমার মন্তব্যে কারও ক্ষতি হয়, তবে আমি তা প্রত্যাহার করছি।” রাজনৈতিক বিশ্লেষকদের মতে, এই বিষয়টি আগামী দিনে আরও জটিল রূপ নিতে পারে।

রাজ্য সরকারকে এই বিষয়ে একটি বড় সিদ্ধান্ত নিতে হবে, কারণ অনেক সংগঠন আওরঙ্গজেবের মাজার সরানোর দাবিতে প্রতিবাদ করছে। অন্যদিকে, বিরোধী দল বিজেপি সরকারকে ঘেরাও করার কৌশল তৈরি করছে।

Leave a comment