মহারাষ্ট্রের রাজনীতিতে ব্যাপক পরিবর্তন আসতে চলেছে। রাজ্যের খাদ্য ও জনসাধারণ সরবরাহ মন্ত্রী ধনঞ্জয় মুন্ডে পদত্যাগের প্রস্তুতি নিয়েছেন। মুখ্যমন্ত্রী দেবেন্দ্র ফড়নবিস कथিতভাবে মুন্ডেকে পদত্যাগ করার অনুরোধ করেছেন, যার ফলে পরিস্থিতি আরও উত্তপ্ত হয়েছে।
মুম্বই: মহারাষ্ট্রের রাজনীতিতে ব্যাপক পরিবর্তন আসতে চলেছে। রাজ্যের খাদ্য ও জনসাধারণ সরবরাহ মন্ত্রী ধনঞ্জয় মুন্ডে পদত্যাগের প্রস্তুতি নিয়েছেন। মুখ্যমন্ত্রী দেবেন্দ্র ফড়নবিস कथিতভাবে মুন্ডেকে পদত্যাগ করার অনুরোধ করেছেন, যার ফলে পরিস্থিতি আরও উত্তপ্ত হয়েছে। বিড় জেলার পারলি থেকে এনসিপি (অজিত পवार গোষ্ঠী) এর বিধায়ক ধনঞ্জয় মুন্ডে গত কয়েকদিন ধরে বিতর্কে জড়িয়ে আছেন।
বিড় জেলার মাসাজোগ গ্রামের প্রধান সন্তোষ দেশমুখের হত্যাকাণ্ডে তাঁর ঘনিষ্ঠ সহযোগী বল্মিক কড়াড়কে অভিযুক্ত করা হয়েছে। হত্যাকাণ্ডের ঘটনা প্রকাশ্যে আসার পর থেকেই বিরোধীরা সরকারের উপর পদত্যাগের চাপ প্রয়োগ করছিল।
মুন্ডে অসুস্থতার কথা বলেছেন
পুলিশ তদন্ত এবং চার্জশিটে হত্যাকাণ্ডের সাথে জড়িত বেশ কিছু চাঞ্চল্যকর তথ্য উঠে এসেছে। সোশ্যাল মিডিয়ায় ফাঁস হওয়া নথিগুলিতে দাবি করা হয়েছে যে, প্রধান দেশমুখের হত্যার সময় তাঁর ভিডিও করা হয়েছিল এবং তাঁকে অমানবিক নির্যাতন করা হয়েছিল। এর পর জনতার ক্ষোভ আরও বেড়ে যায় এবং সরকারের উপর কঠোর ব্যবস্থা নেওয়ার চাপ পড়ে।
রাজনৈতিক মহলে আলোচনা চলছে যে, ধনঞ্জয় মুন্ডে স্বাস্থ্যগত কারণ দেখিয়ে পদত্যাগ করতে পারেন। বলা হচ্ছে, তিনি বেলস পালসি নামক রোগে আক্রান্ত, যার ফলে তাঁর কথা বলায় অসুবিধা হচ্ছে। তবে বিরোধী দল এটিকে মাত্র একটি অজুহাত বলে দাবি করছে এবং হত্যাকাণ্ডের সাথে জড়িতদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়ার দাবি জানাচ্ছে।
ফড়নবিস-অজিত পवारের বৈঠকের পর বড় সিদ্ধান্ত
সোমবার রাতে উপ-মুখ্যমন্ত্রী অজিত পवार এবং মুখ্যমন্ত্রী ফড়নবিসের মধ্যে একটি গুরুত্বপূর্ণ বৈঠক হয়েছিল। সূত্রের খবর, এই বৈঠকে ধনঞ্জয় মুন্ডের পদত্যাগ নিয়ে আলোচনা হয়েছিল এবং ফড়নবিস স্পষ্ট করে দিয়েছেন যে, সরকারের ভাবমূর্তি রক্ষার জন্য মুন্ডেকে পদত্যাগ করতে হবে। এর পর এনসিপির কোর কমিটির বৈঠক হয়, যেখানে তাঁর পদত্যাগ নিয়ে সম্মতি হয়।
ধনঞ্জয় মুন্ডের পদত্যাগের ফলে মহারাষ্ট্রের মহাযুতি সরকারের ভেতরে অসন্তোষ দেখা দিতে পারে। এনসিপি (অজিত পवार গোষ্ঠী) এর অনেক নেতা এই ঘটনাক্রমে অস্বস্তি বোধ করছেন। ধারণা করা হচ্ছে, এই বিষয়ে বিরোধী দলও আক্রমণাত্মক থাকবে এবং আসন্ন বিধানসভা নির্বাচনে এটিকে একটি বড় রাজনৈতিক ইস্যু হিসেবে তুলে ধরবে।
প্রধানের হত্যাকাণ্ড নিয়ে সরকারের ব্যবস্থা নিয়ে জনসাধারণেরও নজর রয়েছে। বেশ কিছু সামাজিক সংগঠন এবং গ্রামীণ অঞ্চলের নেতারা এই ঘটনার নিরপেক্ষ তদন্তের দাবি করেছেন। যদি সরকার এই বিষয়ে কঠোর ব্যবস্থা না নেয়, তাহলে এটি আসন্ন নির্বাচনে মহাযুতির জন্য ক্ষতিকর হতে পারে।