চৈত্র নবরাত্রির নবম দিন দেবী সিদ্ধিদাত্রীকে উৎসর্গ করা হয়, যিনি শক্তি ও সিদ্ধির অধিষ্ঠাত্রী দেবী হিসেবে পরিচিত। এই বছর মহানবমী রবিবার, ৬ এপ্রিল পড়ছে এবং এই শুভ উপলক্ষে ভক্তরা পূর্ণ श्रद्धাভরে মা সিদ্ধিদাত্রীর পূজা-অর্চনা করছেন। মা সিদ্ধিদাত্রীকে দেবী দুর্গার নবম রূপ মনে করা হয়। তিনি কমলের আসনে বিরাজমান থাকেন এবং তাঁকে সকল সিদ্ধির দাত্রী বলা হয়। মার্কণ্ডেয় পুরাণ অনুসারে, অণিমা, মহিমা, গরিমা, লঘিমা, প্রাপ্তি, প্রাকাম্য, ঈশিত্ব এবং বশিত্ব – এই আটটি সিদ্ধি তাঁর কৃপায়ই প্রাপ্ত হয়।
শিবও পেয়েছিলেন সিদ্ধি মা সিদ্ধিদাত্রীর কৃপায়
ধর্মীয় বিশ্বাস অনুসারে, ভগবান শিবও মা সিদ্ধিদাত্রীর কৃপায়ই এই আটটি সিদ্ধি লাভ করেছিলেন এবং তাই তিনি অর্ধনারীশ্বর নামে পরিচিত। এই কারণেই মহানবমীর দিন মায়ের বিশেষ আরাধনার মাধ্যমে সাধক আত্মিক শক্তি ও আধ্যাত্মিক উন্নতি লাভ করে।
মায়ের প্রিয় ভোগ
মহানবমীর দিন দেবী সিদ্ধিদাত্রীকে পুড়ি, চনা, হালুয়া, খির, মৌসুমি ফল এবং নারকেলের ভোগ দেওয়া হয়। বিশ্বাস করা হয় এই প্রসাদ মা'র অত্যন্ত প্রিয় এবং এগুলি অর্পণ করলে মনোকামনা পূর্ণ হয়।
মহানবমীর বিশেষ মন্ত্র জপ
ভক্তগণ এই বিশেষ দিনে নিম্নলিখিত মন্ত্রটি ২১ বার জপ করেন, যার ফলে তাঁরা মায়ের পূর্ণ কৃপা লাভ করেন:
"ॐ ऐं ह्रीं क्लीं चामुण्डायै विच्चे।
ॐ ग्लौं हुं क्लीं जूं सः ज्वालय ज्वालय ज्वल ज्वल प्रज्वल प्रज्वल ऐं ह्रीं क्लीं चामुण्डायै विच्चे ज्वल हं सं लं क्षं फट् स्वाहा।"
মহানবমী তিথি ও পূজনের শুভ মুহূর্ত
নবমী তিথি আরম্ভ: ৫ এপ্রিল, শনিবার সন্ধ্যা ৭:২৬ টায়
নবমী তিথি সমাপ্তি: ৬ এপ্রিল, রবিবার সন্ধ্যা ৭:২২ টায়
কন্যা পূজনের শুভ মুহূর্ত
প্রথম মুহূর্ত: সকাল ৭:৪০ টা থেকে ৯:১৪ টা পর্যন্ত
দ্বিতীয় মুহূর্ত: সকাল ১০:৪৯ টা থেকে ১২:২৩ টা পর্যন্ত
নবমীর গুরুত্ব
চৈত্র নবরাত্রির নবমী তিথি শক্তি উপাসনার পূর্ণতা প্রতীক। এই দিন কন্যাদের দেবীর রূপে পূজা করা, তাদের ভোজন করানো এবং উপহার দেওয়া বিশেষ পুণ্যদায়ক বলে মনে করা হয়। এভাবে মহানবমী কেবল উপাসনার দিন নয়, বরং আত্মিক সিদ্ধি ও জীবনের সকল ক্ষেত্রে সাফল্য লাভের উৎসব। মা সিদ্ধিদাত্রীর আরাধনার মাধ্যমে সাধক কেবলমাত্র আত্মশক্তিই পায় না, বরং জীবনে চলমান কঠিন পরিস্থিতির সমাধানও পায়।