মধ্যপ্রদেশ পরিবহন বিভাগের প্রাক্তন আরক্ষক সৌরভ শর্মার ওপর ইডি-র হানা। ৬টি ठिकाানা থেকে কোটি কোটি টাকা উদ্ধার। এর আগে লোকায়ুক্ত এবং আয়কর বিভাগও ব্যবস্থা নিয়েছিল। মানি লন্ডারিংয়ের তদন্ত চলছে।
এমপি নিউজ: মধ্যপ্রদেশ পরিবহন বিভাগের প্রাক্তন আরক্ষক সৌরভ শর্মা এবং তাঁর ঘনিষ্ঠদের ঠিকানায় মানি লন্ডারিং মামলায় বড় পদক্ষেপ নিয়েছে এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেট (ইডি)। ভোপাল, গোয়ালিয়র, জবলপুর সহ ৬টি স্থানে এই অভিযান চালানো হয়। এর আগে সৌরভ শর্মার ওপর লোকায়ুক্ত এবং আয়কর বিভাগও কড়া পদক্ষেপ নিয়েছিল। ইডি-র তদন্তে একটি এসইউভি থেকে ৫২ কোটি টাকা মূল্যের সোনা ও নগদ উদ্ধারের বিষয়টিও খতিয়ে দেখা হচ্ছে।
ভোপালে বড় উদ্ধার
গত সপ্তাহে ভোপালে সৌরভ শর্মার বাসভবনে অভিযান চালিয়েছিল লোকায়ুক্ত পুলিশ। সেখান থেকে ২.৮৫ কোটি টাকা নগদ উদ্ধার করা হয়েছিল। এরপর ২০শে ডিসেম্বর আয়কর বিভাগ ভোপালে একটি এসইউভি থেকে ৫৪ কেজি সোনা এবং ১০ কোটি টাকা নগদ জব্দ করে। সোনার আনুমানিক মূল্য প্রায় ৪০ কোটি টাকা। এছাড়াও ১১ কোটি টাকা নগদও উদ্ধার করা হয়েছে। এই এসইউভিটি সৌরভ শর্মার ঘনিষ্ঠ চেতন সিং গৌরের নামে রেজিস্টার করা আছে।
জবলপুরে ইডি-র পদক্ষেপ
ইডি জবলপুরের শাস্ত্রী নগরে বিল্ডার রোহিত তিওয়ারির বাড়িতে অভিযান চালায়। দল সকাল ৫টায় প্রেস লেখা একটি গাড়ি নিয়ে তার বাড়িতে পৌঁছায়। জানা গেছে, বিল্ডার রোহিত তিওয়ারির প্রাক্তন অর্থমন্ত্রী তরুণ ভানোতের সঙ্গে ঘনিষ্ঠতা রয়েছে। তথ্য অনুযায়ী, সৌরভ শর্মা তিওয়ারির কোম্পানি ওমেগা রিয়েলকন প্রাইভেট লিমিটেডে বড় অঙ্কের টাকা বিনিয়োগ করেছিলেন। তারা একে অপরের আত্মীয় বলেও জানা গেছে।
অ্যারেরা কলোনিতে হানা
ভোপালের অ্যারেরা কলোনিতে সৌরভ শর্মার অফিসেও ইডি হানা দিয়েছে। সূত্রের খবর, এই মামলাটি আয় বহির্ভূত সম্পত্তি এবং মানি লন্ডারিং সংক্রান্ত হতে পারে। উভয় ঘটনার তথ্য খতিয়ে দেখা হচ্ছে। তিন দিন আগে লোকায়ুক্ত পুলিশ আয় বহির্ভূত সম্পত্তির মামলায় এফআইআর দায়ের করেছিল, যার ভিত্তিতে ইডি সৌরভ শর্মার বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করে।
রোহিত তিওয়ারির নির্মীয়মাণ কলোনি
রোহিত তিওয়ারির বলপুরের গঢ়া ও ভেদাঘাট এলাকায় নির্মীয়মাণ কলোনিগুলিতে বেশ কয়েকজন প্রভাবশালী ব্যক্তির অংশীদারিত্ব থাকার কথা জানা গেছে। তদন্তকারী সংস্থাগুলি এই প্রকল্পগুলির সঙ্গে জড়িত সমস্ত আর্থিক লেনদেন খতিয়ে দেখছে।
আদালতে জামিনের আবেদন খারিজ
ভোপাল জেলা আদালত সৌরভ শর্মার আগাম জামিনের আবেদন খারিজ করেছে। আদালত অপরাধের গুরুত্ব বিবেচনা করে এই সিদ্ধান্ত নিয়েছে। সৌরভ শর্মার আইনজীবী যুক্তি দিয়েছিলেন যে, যে গাড়ি থেকে সোনা ও নগদ উদ্ধার করা হয়েছে, সেটি সৌরভ শর্মার ছিল না। এছাড়াও, অভিযানের সময় সৌরভ সরকারি কর্মচারী ছিলেন না, কারণ তিনি এক বছর আগে স্বেচ্ছায় অবসর নিয়েছিলেন।
আয় বহির্ভূত সম্পত্তির মামলা
সৌরভ শর্মার বিরুদ্ধে আয় বহির্ভূত সম্পত্তির মামলায় এফআইআর দায়ের করেছিল লোকায়ুক্ত পুলিশ। এই এফআইআর-এর ভিত্তিতেই ইডি ব্যবস্থা নেওয়া শুরু করেছে। জানা গেছে, সৌরভ শর্মা তার সম্পত্তি লুকানোর জন্য তার ঘনিষ্ঠ এবং আত্মীয়দের নাম ব্যবহার করেছেন।
