লখনউতে বিদ্যুৎ কর্মবিরতি: পানি সরবরাহ নিশ্চিত করতে জলকলের প্রস্তুতি

লখনউতে বিদ্যুৎ কর্মবিরতি: পানি সরবরাহ নিশ্চিত করতে জলকলের প্রস্তুতি
সর্বশেষ আপডেট: 26-05-2025

২৯শে মে থেকে বিদ্যুৎ কর্মচারী যুক্ত সংগ্রাম সমিতির কর্মবিরতি ঘোষণার ফলে লখনউতে বিদ্যুৎ সংকটের আশঙ্কা বেড়েছে। পানির সরবরাহে কোনও ব্যাঘাত না ঘটে, সেজন্য জলকল বিভাগ সকল পাম্পিং স্টেশনে ডিজেল জেনারেটরের ব্যবস্থা করেছে।

উত্তর প্রদেশ: লখনউতে ২৯শে মে থেকে শুরু হতে চলা বিদ্যুৎ কর্মচারী যুক্ত সংগ্রাম সমিতির কর্মবিরতির ঘোষণার মধ্যেই শহরে বিদ্যুৎ সংকটের সম্ভাবনা জনগণের উদ্বেগ বৃদ্ধি করেছে। এই কর্মবিরতির প্রতিবাদে জলকল বিভাগ শহরের পাম্পিং স্টেশন এবং জলকল প্ল্যান্টগুলিতে ডিজেল জেনারেটর (ডিজি) স্থাপন করে পানির সরবরাহ অব্যাহত রাখার জন্য কঠোর পদক্ষেপ গ্রহণ করেছে। ফলে বিদ্যুৎ কাটায় সৃষ্ট সম্ভাব্য জল সংকট রোধ করার জন্য জলকল বিভাগ সম্পূর্ণ সতর্ক অবস্থায় রয়েছে।

ডিজি জেনারেটর থেকে পানির সরবরাহ নিশ্চিত হবে

জলকল বিভাগের মহাপরিচালক কুলদীপ সিংহ জানিয়েছেন, কর্মবিরতির সময় বিদ্যুতের সরবরাহ ব্যাহত হলে পানির সরবরাহ যাতে প্রভাবিত না হয়, সেজন্য জলকলের প্রায় সকল পাম্পিং স্টেশনে ৭০ টিরও বেশি ডিজেল জেনারেটর ভাড়া নেওয়া হয়েছে। এছাড়াও জলকলের চারটি প্রধান প্ল্যান্টে অতিরিক্ত ডিজি সেট স্থাপন করা হয়েছে যাতে কোনও ধরণের বিদ্যুৎ কাটার প্রভাব পানির সরবরাহে না পড়ে। পাশাপাশি বিভাগটি পানির ট্যাংকারেরও বিশেষ ব্যবস্থা করেছে যাতে প্রয়োজন হলে পানির সরবরাহ করা যায়।

বিদ্যুৎ ত্রুটির আগেই সংকটের ছায়া

শহরে বিদ্যুৎ সরবরাহ কিছু এলাকায় ইতিমধ্যেই ত্রুটি এবং কাটার কারণে ব্যাহত হয়েছে। রবিবার সকালে গোমতীনগরের বিরাম খণ্ডে আন্ডারগ্রাউন্ড কেবলে কারিগরি ত্রুটির কারণে প্রায় দুই ঘণ্টা বিদ্যুৎ সরবরাহ বন্ধ ছিল। এই ত্রুটি মেরামত করতে লেসা দলকে বেশ সময় লেগেছে, যার ফলে রাত ৮ টার পরেই বিদ্যুৎ পুরোপুরি সচল হতে পেরেছে।

এইভাবেই গরমের সময় শহরের অন্যান্য এলাকা যেমন সিংগারনগর, ভিআইপি রোড, বাংলা বাজার, আশিয়ানা সেক্টর জে এবং অম্বিকা বিহারে সকাল থেকে দুপুর পর্যন্ত বিদ্যুৎ কাটার সমস্যা সাধারণ জনগণকে চরম দুর্ভোগে ফেলেছে। শনিবার রাতে রাজাবাজার এলাকায় এলটি ওভারহেড লাইনে তাপের কারণে এক-দুই ঘণ্টা বিদ্যুৎ সরবরাহ বন্ধ ছিল, যা শহরের খারাপ হয়ে যাওয়া বিদ্যুৎ ব্যবস্থার অবস্থার ইঙ্গিত দেয়।

বিদ্যুৎ কর্মচারীদের প্রতিবাদ: নিজীকরণের বিরুদ্ধে সংগ্রাম

বিদ্যুৎ কর্মচারী যুক্ত সংগ্রাম সমিতি পূর্বাঞ্চল ও দক্ষিণাঞ্চল বিদ্যুৎ বিতরণ নিগমের নিজীকরণের বিরোধিতা করে ২৯শে মে থেকে কর্মবিরতি ঘোষণা করেছে। কর্মচারীরা নিজীকরণের বিরুদ্ধে সংগঠিত হয়ে তাদের দাবি নিয়ে সরকারকে সতর্ক করে দিচ্ছেন। তাদের দাবি, নিজীকরণের ফলে কর্মচারীদের নিরাপত্তা এবং গ্রাহকদের সেবা উভয়ই ক্ষতিগ্রস্ত হবে।

এই কর্মবিরতি বিদ্যুৎ বিভাগের বিভিন্ন সেবার উপর প্রভাব ফেলতে পারে, যার ফলে বিদ্যুৎ সরবরাহে ব্যাঘাত ঘটার সম্ভাবনা রয়েছে। এই কারণেই জলকল বিভাগ পানির সরবরাহ অবিচ্ছিন্ন রাখার জন্য বিশেষ ব্যবস্থা করেছে।

শহরবাসীর জন্য স্বস্তির খবর

বিদ্যুৎ সংকটের আশঙ্কার মধ্যেই জলকল বিভাগের প্রস্তুতি শহরবাসীদের কিছুটা স্বস্তি দিয়েছে। কুলদীপ সিংহ স্পষ্ট করে বলেছেন, পানির সরবরাহে কোনও ধরণের ঘাটতি থাকতে দেওয়া হবে না। সকল পাম্পিং স্টেশন এবং প্ল্যান্টে ডিজি সেটের ব্যবস্থার সাথে সাথে ট্যাংকারগুলিকেও সতর্ক অবস্থায় রাখা হয়েছে যাতে কোনও জরুরী অবস্থায় পানির সরবরাহ অব্যাহত থাকে।

তিনি জানিয়েছেন, বিভাগ কর্মচারীদেরও নির্দেশ দিয়েছে যে তারা কর্মবিরতির সময়ও জলকল সেবা সুचारু রাখার জন্য প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নেবে। জলকল বিভাগের সম্পূর্ণ জোর জল সংকট থেকে বাঁচার উপর নির্ভরশীল।

Leave a comment