জেডিইউ নেতা ললন সিংহ লালু ও তেজস্বীকে জাতিগত জনগণনার কৃতিত্ব নেওয়ার জন্য ঘেরাও করেছেন, বলেছেন- সংসদে দাবির কোনও ভিডিও থাকলে দেখান।
বিহার রাজনীতি: বিহারের রাজনীতি আবারও জাতিগত জনগণনাকে কেন্দ্র করে উত্তাল হয়ে উঠেছে। এইবার জনতা দল ইউনাইটেড (জেডিইউ)-এর জ্যেষ্ঠ নেতা এবং কেন্দ্রীয় মন্ত্রী রাজীব রঞ্জন অর্থাৎ ললন সিংহ রাজদ সুপ্রিমো লালু প্রসাদ যাদব এবং বিরোধী দলনেতা তেজস্বী যাদবের উপর তীব্র আক্রমণ করেছেন। ললন সিংহ অভিযোগ করেছেন যে, লালু যাদব কখনো সংসদে জাতিভিত্তিক জনগণনার দাবি করেননি, কিন্তু এখন তিনি এর কৃতিত্ব নিতে চান।
তেজস্বী যাদবকে খোলা চ্যালেঞ্জ
ললন সিংহ তেজস্বী যাদবকে চ্যালেঞ্জ করেছেন যে, তিনি এমন কোনও ভিডিও দেখান যাতে লালু প্রসাদ যাদব সংসদে জাতিভিত্তিক জনগণনার দাবি করেছেন। তিনি বলেছেন যে, নীতীশ কুমার এই বিষয়টি সদা সংসদে তুলে ধরেছেন, যখন লালু যাদব কখনো গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেননি।
নীতীশ কুমারের ২০০১ থেকে দাবি
ললন সিংহ বলেছেন যে, ২০০১ সালে নীতীশ কুমার তৎকালীন প্রধানমন্ত্রী এবং বিপি সিংহের সাথে সাক্ষাৎ করেছিলেন এবং জাতিগত জনগণনার দাবি জানিয়েছিলেন। সেই সময় জনগণনার প্রক্রিয়া শুরু হয়ে গিয়েছিল, তাই দাবিটি তৎক্ষণাৎ কার্যকর করা যায়নি।
২০০৫ সালের ঘটনার উপর গুরুত্বপূর্ণ অভিযোগ
ললন সিংহ ২০০৫ সালের একটি ঘটনার উল্লেখ করে বলেছেন যে, যখন নীতীশ কুমার বিহারে সরকার গঠন করতে যাচ্ছিলেন, সেই সময় লালু যাদব কেন্দ্রে তাঁর ক্ষমতার ব্যবহার করে বিহারে রাষ্ট্রপতি শাসন জারি করেছিলেন। সেই সময় লালু যাদব রেলমন্ত্রী ছিলেন এবং তিনি প্রধানমন্ত্রী মনমোহন সিংহের উপর চাপ প্রয়োগ করেছিলেন।
"কৃতিত্ব নেওয়ার অধিকার শুধুমাত্র নীতীশ কুমারের"
ললন সিংহ প্রশ্ন তুলেছেন যে, এখন যখন কেন্দ্রীয় সরকার জাতিগত জনগণনার সিদ্ধান্ত নিয়েছে, তখন লালু যাদব এবং তেজস্বী যাদব কী ভিত্তিতে এর কৃতিত্ব নিতে চান। তিনি বলেছেন যে, লালু যাদবের এজেন্ডা ছিল শুধুমাত্র পারিবারিকতা, সামাজিক ন্যায় নয়।