মহাকুম্ভে সাধুর বেশে অভিযুক্ত! পুলিশের নিরন্তর অভিযান ও চমকপ্রদ সাফল্য
মধ্যপ্রদেশের ভোপাল পুলিশ একটি উল্লেখযোগ্য অভিযানে বিহারের এক অভিযুক্ত শিক্ষককে গ্রেফতার করেছে। নাবালিকা ছাত্রীকে আত্মহত্যায় প্ররোচিত করার অভিযোগে সাধুর বেশ ধারণ করে পলাতক অভিযুক্তকে কুম্ভ মেলায় খুঁজে পেয়েছে পুলিশ।
সাধুর বেশে অভিযুক্ত: পুলিশের কৌশলী ফাঁদ
বিহারের কৈমুর থেকে পালিয়ে ভোপালে আশ্রয় নেয়া শিক্ষক নীতেশ কুমার দুবে নিজের অপরাধ স্বীকার করেছে। ২৫শে জানুয়ারি ওই নাবালিকাকে নির্যাতনের পর ২৬শে জানুয়ারি ছাত্রী আত্মহত্যা করে। ঘটনার পর পুলিশের তদন্ত শুরু হয় এবং তাদের তদন্ত একটি রহস্যময় ধাঁধার আকার ধারণ করে।
পুলিশের কঠোর তল্লাশি: সাধুর ছদ্মবেশে অভিযুক্ত
পলাতক অভিযুক্তকে গ্রেফতার করার জন্য একটি বিশেষ পুলিশ দল গঠন করা হয়। তারা অভিযুক্তের সন্ধানে কুম্ভ মেলায় যায়, যেখানে সে সাধুর বেশ ধারণ করে লুকিয়ে ছিল। প্রায় এক সপ্তাহ ধরে চলা তল্লাশির পর, মাঘ পূর্ণিমার পুণ্যস্নান শেষে বাড়ি ফেরার সময় পুলিশের হাতে ধরা পড়ে নীতেশ।
এক শিক্ষকের কলঙ্কজনক কাজ: নাবালিকার মর্মান্তিক মৃত্যু
গত ২৫শে জানুয়ারি, ভোপালের সুখিসেওয়ানিয়া থানা এলাকার একটি স্কুলে ইংরেজি শিক্ষক হিসেবে কর্মরত নীতেশ কুমার দুবে ক্লাসের সময় ওই ছাত্রীকে শারীরিক নির্যাতন করে। এর পরই ছাত্রীর আত্মহত্যার ঘটনা ঘটে। ছাত্রীর বাবার অভিযোগের পরই এই ঘটনা প্রকাশ্যে আসে।
পুলিশের অভিযান ও পুরস্কার ঘোষণা: অভিযুক্ত গ্রেফতার
পুলিশ এই ঘটনায় তৎপরতা অবলম্বন করে এবং অভিযুক্তকে গ্রেফতার করার জন্য ১০,০০০ টাকা পুরস্কার ঘোষণা করে। কুম্ভ মেলায় তল্লাশি চালিয়ে এক মাসের মধ্যে পুলিশ সাধুর বেশে লুকানো অভিযুক্তকে গ্রেফতার করে। এটি পুলিশের একটি উল্লেখযোগ্য সাফল্য।
গ্রেফতারির পর স্বীকারোক্তি: পুলিশের সফলতা
গ্রেফতারের পর অভিযুক্ত নীতেশ কুমার দুবে তার অপরাধ স্বীকার করেছে। পুরো ঘটনাটি একটি চমকপ্রদ থ্রিলারের মতো, যেখানে পুলিশের সাহস ও কৌশল উল্লেখযোগ্য ভূমিকা পালন করেছে।
এই প্রতিবেদনটি পুলিশের এক উত্তেজনাপূর্ণ অভিযানের কাহিনী তুলে ধরেছে, যেখানে তাদের অক্লান্ত অনুসন্ধান, গোয়েন্দা কাজ এবং অভিযুক্তের ছদ্মবেশ উন্মোচন প্রশংসার দাবীদার।
