কেরল সরকার গভীর সমুদ্রে খননবিরোধী প্রস্তাব পাস করল। মৎস্যজীবীরা ২৪ ঘণ্টার ধর্মঘট পালন করেছে, আগামী ১২ই মার্চ সংসদ অভিযানের পরিকল্পনা রয়েছে। কেন্দ্র-রাষ্ট্র সংঘাত আরও তীব্র হতে পারে।
Kerala Politics: কেরল বিধানসভায় মঙ্গলবার (৪ই মার্চ, ২০২৫) কেন্দ্রীয় সরকারের গভীর সমুদ্রে খনিজ খননের অনুমতি দেওয়ার সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে একটি প্রস্তাব পাস করা হয়। মুখ্যমন্ত্রী পিনারাই বিজয়ন কর্তৃক উত্থাপিত এই প্রস্তাবে কেন্দ্রকে তাদের সিদ্ধান্ত প্রত্যাহার করার আহ্বান জানানো হয়।
হইচইয়ের মধ্য দিয়ে প্রস্তাব পাস
বিরোধী যুক্ত জাতীয়তাবাদী ফ্রন্ট (ইউডিএফ) বিধায়কদের প্রতিবাদ ও হইচইয়ের মধ্য দিয়ে এই প্রস্তাব পাস করা হয়। ইউডিএফ বিধানসভা অধ্যক্ষের উপর পক্ষপাতিত্বের অভিযোগ আনেন এবং সদনে প্রতিবাদ করেন। হইচইয়ের কারণে কোনও বিস্তারিত আলোচনা ছাড়াই প্রস্তাবটি পাস করা হয়।
মৎস্যজীবীদের সমর্থনে কেরল সরকার
কেরল সরকার আগেই স্পষ্ট করে দিয়েছিল যে তারা রাজ্যের উপকূলে গভীর সমুদ্রে খনন কখনোই অনুমতি দেবে না। সরকারের দাবি, এই সিদ্ধান্তের ফলে রাজ্যের মৎস্যজীবী সম্প্রদায়ের উপর গুরুতর প্রভাব পড়বে এবং এই বিষয়ে কেন্দ্রের কাছে বারবার আপত্তি জানানো হয়েছে।
বিরোধী দল সরকারের উপর দ্বৈত নীতি অবলম্বনের অভিযোগ
ইউডিএফ প্রস্তাব সমর্থনে যোগদান করতে অস্বীকার করে এবং দাবি করে যে বাম সরকার নিজেই খনন নীতি সমর্থন করছে। কংগ্রেস নেতৃত্বাধীন ইউডিএফ জানায় যে তারা কেন্দ্রীয় সরকারের এই সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে পৃথকভাবে প্রতিবাদ করবে।
মৎস্যজীবীদের বড় প্রতিবাদ
কেন্দ্রীয় সরকারের এই সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে মৎস্যজীবী সংগঠনগুলিও মোকাবেলা করেছে। শেষ সময় কেরল মৎস্য সমন্বয় কমিটির ব্যানারে মৎস্যজীবীরা ২৪ ঘণ্টার ধর্মঘট পালন করে, যার ফলে উপকূলীয় এলাকার মাছের বাজার এবং মৎস্য ব্যবসায় প্রভাব পড়ে।
মৎস্যজীবী সংগঠনগুলির মতে, কেন্দ্রীয় সরকার পাঁচটি এলাকা—কোল্লম দক্ষিণ, কোল্লম উত্তর, আলাপ্পুঝা, পোন্নানি এবং চবক্কড়—তে অফশোর খননের জন্য বালি ব্লক নিলাম করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে। এই প্রতিবাদ আরও তীব্র করতে কমিটি ১২ই মার্চ সংসদ অভিযানের ঘোষণা করেছে।