কর্ণের জন্মের গল্প Story of Karna's birth
এই গল্পটি এমন এক যোদ্ধার, যাঁকে মানুষ দানবীর কর্ণ নামে চেনে। কর্ণ ছিলেন পাণ্ডবদের মধ্যে জ্যেষ্ঠ এবং এই কথাটি কেবল মাতা কুন্তী জানতেন। কর্ণের জন্ম কুন্তীর বিবাহের আগে হয়েছিল। তাই, লজ্জার ভয়ে কুন্তী কর্ণকে পরিত্যাগ করেছিলেন।
তবে, কর্ণের জন্ম কুন্তীর বিবাহের আগে কীভাবে হল, এর পেছনেও একটি গল্প আছে। ঘটনাটি সেই সময়ের, যখন কুন্তীর বিয়ে হয়নি এবং তিনি ছিলেন কেবল রাজকুমারী। সেই সময়ে ঋষি দুর্বাসা এক বছরের জন্য রাজকুমারী কুন্তীর পিতার
মহলে অতিথি হিসেবে ছিলেন। কুন্তী এক বছর ধরে তাঁর খুব সেবা করেছিলেন। রাজকুমারীর সেবায় ঋষি দুর্বাসা প্রসন্ন হন এবং তিনি কুন্তীকে বর দেন যে, তিনি যেকোনো দেবতাকে আহ্বান করে তাঁর থেকে সন্তান লাভ করতে পারবেন।
একদিন কুন্তীর মনে হল, কেন না বরটির পরীক্ষা করা যাক। এমন ভেবে তিনি সূর্য দেবের প্রার্থনা করে তাঁকে আহ্বান করলেন। সূর্য দেবের আগমন এবং বরদানের প্রভাবে কুন্তী বিবাহের আগেই গর্ভবতী হন। কিছু সময় পরে তিনি এক পুত্র সন্তানের জন্ম দেন,
যে সূর্য দেবের মতোই প্রভাবশালী ছিলেন। এছাড়াও জন্মের সময় থেকেই সেই শিশুর শরীরে কবচ ও কুণ্ডল ছিল। অবিবাহিত অবস্থায় পুত্র পাওয়ায় লজ্জার ভয়ে কুন্তী তাঁকে একটি বাক্সে বন্ধ করে নদীতে ভাসিয়ে দেন। বাক্সটি এক সারথি ও
তাঁর স্ত্রী খুঁজে পান, যাঁদের কোনো সন্তান ছিল না। তাঁরা দুজনেই কর্ণ রূপে পুত্র পেয়ে খুব খুশি হন এবং তাঁর লালন-পালন করতে থাকেন। এই সূর্যপুত্রই পরে দানবীর কর্ণ নামে পরিচিত হন এবং বহু বছর পর কুরুক্ষেত্রের যুদ্ধে পাঁচ পাণ্ডবের সামনে তিনি এক
শক্তিশালী যোদ্ধা হিসেবে দাঁড়ান।