গতদিন কাপুর পরিবার প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর সঙ্গে সাক্ষাৎ করেন, এবং এই বিশেষ মুহূর্তটির ছবি কারিনা কাপুর তার ইনস্টাগ্রাম অ্যাকাউন্টে শেয়ার করেন। এই সাক্ষাৎকালে পুরো কাপুর পরিবার একসাথে দেখা গেছে, যার মধ্যে সৈফ আলী খান, কারিনা কাপুর, করিশ্মা কাপুর, রণবীর কাপুর এবং আলিয়া ভট্টের মতো বলিউডের বড় তারকা উপস্থিত ছিলেন।
১৪ ডিসেম্বর বলিউডের বিখ্যাত অভিনেতা রাজ কাপুরের ১০০তম জন্মবার্ষিকী উপলক্ষে ‘রাজ কাপুর ফিল্ম ফেস্টিভ্যাল’ অনুষ্ঠিত হতে চলেছে, এবং এই উৎসবের জন্য কাপুর পরিবার প্রধানমন্ত্রী মোদীর সঙ্গে সাক্ষাৎ করেন। প্রধানমন্ত্রী এই বিশেষ মুহূর্তে কাপুর পরিবারকে তাঁর সমর্থন এবং আশীর্বাদ দেন।
কারিনা কাপুর এই সাক্ষাৎকালের ছবি সোশ্যাল মিডিয়ায় শেয়ার করে একটা সুন্দর ক্যাপশন লিখেন। তিনি লিখেন, "আমরা খুব সম্মানিত ও বিশিষ্ট বোধ করছি যে আমাদের দাদা, মহান রাজ কাপুরের অসাধারণ জীবন ও ঐতিহ্য উদযাপন করার জন্য প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীকে আমন্ত্রিত করা হয়েছে। এই বিশেষ দিনের জন্য প্রধানমন্ত্রী মোদীজীর ধন্যবাদ, যিনি আমাদের সাক্ষাৎকে আরও বিশেষ করে তুলে ধরেছেন।"
ছবিগুলিতে দেখা গেছে প্রধানমন্ত্রী মোদী কাপুর পরিবারের সঙ্গে কথা বলছেন। এই সময় সৈফ আলী খান, কারিনা কাপুর, করিশ্মা কাপুর, রণবীর কাপুর এবং নিতু সিংহ ছাড়াও অনেক পরিবারের সদস্য প্রধানমন্ত্রী মোদীর সাথে কথা বলতে দেখা যাচ্ছে। কারিনা এবং সৈফ প্রধানমন্ত্রী মোদীর সাথে একটি ছবিও তোলেন, যেখানে কারিনা লাল রঙের ফুলের ছাপযুক্ত পোশাক পরেছেন এবং সৈফ আলী খান সাদা কুর্তা-পায়জামা এবং নেহরু জ্যাকেট পরেছেন।
কারিনার দুই ছেলে তৈমুর এবং জেহও এই সাক্ষাৎকালে উপস্থিত ছিলেন, এবং প্রধানমন্ত্রী মোদী তাদের জন্য একটি বিশেষ উপহারও দেন। প্রধানমন্ত্রী মোদী কারিনা এবং সৈফের দুই সন্তানের জন্য তাঁর স্বাক্ষর পাঠিয়েছিলেন, যা কাপুর পরিবারের জন্য একটি অসাধারণ উপহার ছিল।
রণবীর কাপুরও সাক্ষাৎকালের পর তার কিছু ছবি শেয়ার করেছেন, যেখানে কাপুর পরিবারের উল্লাস ও আনন্দ স্পষ্টভাবে দেখা যাচ্ছে। এই ছবিতে রণবীর কাপুর এবং সৈফ আলী খান প্রধানমন্ত্রী মোদীর সাথে কথা বলতে দেখা যাচ্ছে, এবং কাপুর পরিবারের পুরো দল এই বিশেষ মুহূর্ত উপভোগ করছিলেন।
এই সাক্ষাৎ কাপুর পরিবার এবং প্রধানমন্ত্রী মোদীর মধ্যকার বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্ককে নতুন দিক দিয়েছে। চলচ্চিত্র শিল্প এবং রাজ কাপুরের অসামান্য ঐতিহ্যের প্রতি শ্রদ্ধা জানিয়ে এই সাক্ষাৎ একবারে আরও প্রমাণ করেছে যে ভারতীয় চলচ্চিত্রের গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তিত্ব এবং রাজনীতির মধ্যে সবসময়ই ঘনিষ্ঠ সম্পর্ক বজায় রয়েছে।
