কালকাজীতে DDA আদালতের নির্দেশে ১২০০টি অবৈধ বস্তি উচ্ছেদ করেছে। পুনর্বাসন নিয়ে বিতর্ক। বাটলা হাউসে পরবর্তী পদক্ষেপের প্রস্তুতি।
দিল্লি সংবাদ: দিল্লির কালকাজী এলাকার ভূমিহীন ক্যাম্পে DDA (দিল্লি উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ) একটি বড় অবৈধ দখল উচ্ছেদ অভিযান পরিচালনা করেছে। এই অভিযানে প্রায় ১২০০টি অবৈধ ঝুপড়ি এবং দুই-তিন তলা বিশিষ্ট অবৈধ নির্মাণ ধ্বংস করা হয়েছে। এই পদক্ষেপটি দিল্লি হাইকোর্টের নির্দেশ অনুযায়ী নেওয়া হয়েছে।
হাইকোর্টের নির্দেশের পরেই পদক্ষেপ
কালকাজীতে অবস্থিত ভূমিহীন ক্যাম্প এলাকা বহু বছর ধরে অবৈধ দখলের আখড়া হিসেবে পরিচিত ছিল। DDA-র দাবি, এই জমি সরকারি এবং এখানে অনুমতি ছাড়াই ঝুপড়ি এবং বহুতলা ভবন নির্মাণ করা হয়েছিল। এই মামলা প্রায় ১০ বছর ধরে আদালতে চলে আসছে এবং অবশেষে হাইকোর্ট DDA-কে অবৈধ দখল উচ্ছেদের অনুমতি দিয়েছে।
নোটিশের পর শুরু হল বুলডোজার অভিযান
৯ জুন DDA এই এলাকার বাসিন্দাদের নোটিশ জারি করে জানিয়েছে যে আদালতের নির্দেশ অনুযায়ী তাদের ঘর ছেড়ে দিতে হবে। বাসিন্দাদের জানানো হয়েছে যে ১২০০-এর বেশি অবৈধ ঝুপড়ি ধ্বংস করা হবে। ভোর ৫টায় অবৈধ দখল উচ্ছেদ অভিযান শুরু হয়। পাঁচটি বুলডোজার মোতায়েন করা হয় এবং পুলিশের ভারী বলের উপস্থিতিতে অভিযান সম্পন্ন করা হয়।
পুনর্বাসনের জন্য দেওয়া ফ্ল্যাট
স্থানীয় বাসিন্দাদের দাবি, তারা আগে থেকেই জানত যে যেকোনো সময় এই পদক্ষেপ নিতে পারে। কিছু লোককে পুনর্বাসনের অধীনে ফ্ল্যাট ও আবণ্টন করা হয়েছে। তবে অনেক লোক এই দাবি করেছে যে পুনর্বাসনের প্রক্রিয়া স্বচ্ছ ছিল না এবং তাদের কোন বিকল্প ব্যবস্থা মিলেনি।
JJ ক্লাস্টারে দুই-তিন তলা ভবন তৈরি করা হয়েছিল
ভূমিহীন ক্যাম্পে অনেক এমন অবৈধ নির্মাণ ছিল যা JJ ক্লাস্টারের সীমানার মধ্যে পড়ে। কিছু ঝুপড়িকে স্থায়ী নির্মাণে পরিণত করা হয়েছিল, যার মধ্যে দুই-তিন তলা ভবনও ছিল। DDA-র মতে, এগুলি কোনও বৈধ অনুমতি ছাড়াই নির্মিত হয়েছিল এবং এটি জনসাধারণের জমিতে অবৈধ দখল ছিল।
অবৈধ দখল বিরোধী অভিযানের অংশ
এই সম্পূর্ণ পদক্ষেপটি DDA দ্বারা পরিচালিত ব্যাপক অবৈধ দখল বিরোধী অভিযানের অংশ। DDA-র দাবি, দিল্লিতে অনেক জায়গায় সরকারি জমিতে অবৈধ দখল করা হয়েছে, যা পর্যায়ক্রমে উচ্ছেদ করা হচ্ছে। কালকাজীর পর অন্যান্য এলাকায় ও এই রকম পদক্ষেপ নেওয়া হবে।
বাটলা হাউসে পরবর্তী বুলডোজার অভিযান
কালকাজীর পর DDA-র পরবর্তী পদক্ষেপ দক্ষিণ দিল্লীর ওখলা এলাকার বাটলা হাউস क्षेत्रে নিতে চলেছে। এখানে ও মুরাদি রোড এবং খিজির বাবা কলোনিতে অবৈধ নির্মাণ চিহ্নিত করা হয়েছে। ২৬ মে DDA এখানকার বাসিন্দাদের নোটিশ জারি করে ৫ দিনের মধ্যে ঘর খালি করার সময় দিয়েছিল। কিছু বাড়িতে লাল চিহ্ন ও লাগানো হয়েছে।
তবে খিজির বাবা কলোনিতে আদালতের থেকে স্থগিতাদেশ মিলছে, যার ফলে এখনই সেখানে বুলডোজার চলবে না। হাইকোর্টে এই মামলার শুনানি আজ হবে, যার পর পরবর্তী পদক্ষেপ নির্ধারণ করা হবে।
স্থানীয় লোকদের প্রতিক্রিয়া
অনেক স্থানীয় বাসিন্দা এই পদক্ষেপের বিরোধিতা করেছে। তাদের দাবি, তাদের পর্যাপ্ত সময় এবং বিকল্প দেওয়া হয়নি। অনেক পরিবারের থাকার অন্য কোনও জায়গা নেই এবং এখন তারা খোলা আকাশের নিচে থাকতে বাধ্য। অন্যদিকে কিছু লোকের দাবি, তারা পুনর্বাসন योजनाয় ফ্ল্যাটের জন্য আবেদন করেছিল কিন্তু প্রক্রিয়ায় গड़বড়ির কারণে তাদের ফ্ল্যাট মেলেনি।