ঝিন্ড জেলায় এখন থেকে কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তার (AI) সাহায্যে ক্ষয় রোগের রোগীদের শনাক্ত করা হবে। স্বাস্থ্য বিভাগের দল এই মেশিনের মাধ্যমে মাত্র 30 সেকেন্ডের মধ্যে এক্স-রে করে রোগীদের শনাক্ত করবে এবং হাসপাতালে পরবর্তী প্রক্রিয়া শুরু করবে।
ঝিন্ড: হরিয়ানার ঝিন্ড জেলায় স্বাস্থ্য বিভাগ ক্ষয় রোগের রোগীদের শনাক্ত করার জন্য এখন কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা (AI - Artificial Intelligence) ব্যবহার করবে। ক্ষয় বিভাগে AI-ভিত্তিক উন্নত এক্স-রে মেশিন স্থাপন করা হয়েছে। এই পোর্টেবল মেশিনের মাধ্যমে এক্স-রে করে মাত্র 30 সেকেন্ডের মধ্যে রোগীর শনাক্তকরণ সম্ভব হবে। নতুন এক্স-রে মেশিনটি ল্যাপটপের সাথে সংযুক্ত করা হবে এবং একটি ক্যামেরাও যুক্ত করা হবে। ক্যামেরার সাহায্যে ফুসফুসের এক্স-রে করে অবিলম্বে রিপোর্ট পাওয়া যাবে।
ক্ষয় রোগের রোগীদের সনাক্তকরণে সহজতর হবে
একজন কর্মকর্তা Subkuz.com কে জানিয়েছেন, নতুন মেশিনের মাধ্যমে দ্রুত রিপোর্ট পাওয়ার ফলে রোগী ক্ষয় রোগে আক্রান্ত কিনা তা নিশ্চিত করা যাবে। যদি রোগীর পরীক্ষা পজিটিভ আসে, তাহলে তাকে হাসপাতালে নিয়ে গিয়ে পরবর্তী পরীক্ষার প্রক্রিয়া শুরু করা হবে। কর্মকর্তা জানিয়েছেন, প্রথম ধাপে লোকেদের পরীক্ষা করানোর জন্য হাসপাতালে যাওয়ার প্রয়োজন হবে না, কারণ চিকিৎসা বিভাগের কর্মীরা নিজেরাই জেলার গ্রাম ও শহরগুলিতে ঘরে ঘরে গিয়ে লোকেদের এক্স-রে করে সংক্রমণ শনাক্ত করবে। এভাবে সময় বাঁচবে এবং রোগীদের দ্রুত শনাক্ত করা যাবে। সাধারণ এক্স-রে মেশিনের তুলনায় এই মেশিন বেশি কার্যকর হবে। জানা গেছে, মঙ্গলবার সিভিল সার্জন ডাঃ গোপাল কুমার গোয়েল, ডেপুটি সিভিল সার্জন ডাঃ পালেরাম সিংহ, ডেপুটি সিভিল সার্জন ডাঃ বিজেন্দ্র কুমার ঢাণ্ডা জেলা ক্ষয় রোগ বিভাগ পরিদর্শন করেছেন।
মেশিন থেকে রেডিয়েশনের কোনো ঝুঁকি নেই
সিভিল সার্জন ডাঃ গোপাল গোয়েল সাংবাদিকদের সাথে কথা বলার সময় জানিয়েছেন যে, কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা ভিত্তিক উন্নত এক্স-রে মেশিন ক্ষয় (টুবারকুলোসিস ব্যাকটেরিয়া) রোগীদের খুঁজে পেতে সহায়তা করবে। এই মেশিন সাধারণ মেশিনের চেয়ে কম রেডিয়েশনে কাজ করবে এবং বিদ্যুৎ সংযোগ ছাড়াও এক্স-রে করতে পারবে। এই মেশিনের মাধ্যমে যেকোনো এলাকায় গিয়ে এক্স-রে করে ক্ষয় রোগীদের শনাক্ত করার সুবিধা হবে।