ঝাড়খণ্ডের প্রাক্তন আবগারী সচিব গ্রেপ্তার: মদ কেলেঙ্কারিতে বড় ধাক্কা

ঝাড়খণ্ডের প্রাক্তন আবগারী সচিব গ্রেপ্তার: মদ কেলেঙ্কারিতে বড় ধাক্কা
সর্বশেষ আপডেট: 20-05-2025

ঝাড়খণ্ডের প্রাক্তন আবগারী সচিব বিনয় কুমার চৌবেকে মদ কেলেঙ্কারির অভিযোগে দুর্নীতি দমন বিভাগ গ্রেপ্তার করেছে। ছত্তীসগড়-ঝাড়খণ্ড আবগারী নীতিতে দুর্নীতির তদন্ত চলছে।

ঝাড়খণ্ড: ঝাড়খণ্ডের প্রাক্তন আবগারী সচিব এবং আইএএস কর্মকর্তা বিনয় কুমার চৌবেকে দুর্নীতি দমন বিভাগ (এসিবি) গ্রেপ্তার করেছে। ঝাড়খণ্ডে চলমান মদ কেলেঙ্কারির ঘটনায় এই গ্রেপ্তারি হয়, যেখানে বহু উচ্চপদস্থ কর্মকর্তার নাম উঠে এসেছে। এই ঘটনায় রাজ্যের রাজনীতি ও প্রশাসনিক মহলে তীব্র চাঞ্চল্যের সৃষ্টি হয়েছে। আসুন জেনে নেওয়া যাক এই ঘটনার সম্পূর্ণ কাহিনী সহজ ভাষায়।

কী ঘটেছে?

এই ঘটনা ঝাড়খণ্ডের নতুন আবগারী নীতির সাথে জড়িত, যা ৩১শে মার্চ ২০২২ থেকে কার্যকর হয়েছিল। অভিযোগ উঠেছে যে, এই নীতি পরিবর্তনের জন্য ২০২২ সালের জানুয়ারিতে ছত্তীসগড়ের কর্মকর্তাদের সাথে মিলে প্রাক্তন আবগারী সচিব বিনয় কুমার চৌবে এবং অন্যান্য কর্মকর্তারা ষড়যন্ত্র করেছিলেন। এই ষড়যন্ত্রের উদ্দেশ্য ছিল জাল হলোগ্রাম ব্যবহার করে অবৈধ মদের সরবরাহ করা এবং রাজ্যকে কোটি কোটি টাকার ক্ষতি করা।

গ্রেপ্তারির পর কী হলো?

দুর্নীতি দমন বিভাগের দল বিনয় চৌবে এবং আবগারী বিভাগের যুগ্ম আয়ুক্ত গজেন্দ্র সিংহকে গ্রেপ্তার করেছে। দুই কর্মকর্তাকে দীর্ঘ জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়, এরপর আদালত তাদের হেফাজতে নেয়। এর আগে, ইডি তাদের বাসস্থানেও অভিযান চালিয়ে মোবাইল ফোন ও নথি জব্দ করেছিল।

মদ কেলেঙ্কারির গভীরতা

এই কেলেঙ্কারি কেবল ঝাড়খণ্ডেই সীমাবদ্ধ নয়, ছত্তীসগড়ের রায়পুরেও এই বিষয়ে মামলা দায়ের করা হয়েছে। ছত্তীসগড়ের অর্থনৈতিক অপরাধ শাখা (ইওডব্লিউ) তদন্ত করে দেখেছে যে ছত্তীসগড়ের বেশ কিছু উচ্চপদস্থ কর্মকর্তা ঝাড়খণ্ডের কর্মকর্তাদের সাথে মিলে আবগারী নীতিতে পরিবর্তন আনছিলেন। এর মধ্যে ছিলেন ছত্তীসগড়ের বাণিজ্য ও শিল্প বিভাগের সচিব এবং রাজ্য বিপণন সংস্থার ব্যবস্থাপনা পরিচালক।

অভিযোগ উঠেছে যে, এই ষড়যন্ত্রের মাধ্যমে ঝাড়খণ্ডে জাল হলোগ্রামযুক্ত মদের বিক্রি হয়েছে এবং বিদেশি মদের সরবরাহের নামে কমিশন নেওয়া হয়েছে। এই সম্পূর্ণ কেলেঙ্কারিতে একটি সিন্ডিকেটের ভূমিকাও উঠে এসেছে, যারা প্রতারণার মাধ্যমে ঝাড়খণ্ড সরকারকে বিরাট আর্থিক ক্ষতি করেছে।

এই মামলা অরগোড়া निवासी विकास सिंह-এর অভিযোগের উপর ভিত্তি করে দায়ের করা হয়েছিল। তিনি অভিযোগ করেছিলেন যে ছত্তীসগড় ও ঝাড়খণ্ডের কর্মকর্তারা মিলে আবগারী নীতিতে পরিবর্তন আনছেন যাতে সিন্ডিকেটের লোকদের ঠিকা দেওয়া যায়। এই প্রতারণার ফলে রাজ্যকে কোটি কোটি টাকার ক্ষতি হয়েছে।

Leave a comment