আইপিএল ২০২৫-এ সানরাইজার্স হায়দ্রাবাদ (SRH) এর জন্য এখন পর্যন্ত মৌসুম আশানুরূপ ফল নিয়ে আসেনি। ৮টি ম্যাচের মধ্যে ৬টি ম্যাচ হেরে তারা পয়েন্ট টেবিলে ৯ নম্বরে নেমে এসেছে। কিন্তু খেলা এখনও শেষ হয়নি।
খেলার খবর: সানরাইজার্স হায়দ্রাবাদের (SRH) এই মৌসুমের পারফরম্যান্সে সমর্থকরা হতাশ হলেও, তাদের প্লেঅফে যাওয়ার সুযোগ এখনও রয়েছে। এখন পর্যন্ত তারা ৮টি ম্যাচ খেলেছে, যার মধ্যে মাত্র ২টি ম্যাচ জিতেছে এবং ৬টি ম্যাচ হেরেছে। তবে, আইপিএলে প্রতি মৌসুমেই কিছু কিছু দলের শেষ সময়ে অসাধারণভাবে ফিরে আসার সুযোগ থাকে, এবং হায়দ্রাবাদের কাছেও সেই সুযোগ এখনও রয়েছে।
প্লেঅফে যাওয়ার জন্য SRH কে বাকি সব ম্যাচে ভালো খেলতে হবে এবং অন্যান্য দলের পারফরম্যান্সের উপরও নির্ভর করতে হবে। যদি হায়দ্রাবাদ তাদের পরবর্তী ম্যাচগুলিতে ধারাবাহিকভাবে জয়লাভ করে এবং অন্যান্য দলগুলির তুলনায় ভালো পারফরম্যান্স করে, তবে তাদের প্লেঅফের সম্ভাবনা বজায় থাকতে পারে।
এখন পর্যন্ত পারফরম্যান্স: হতাশাজনক কিন্তু আশা এখনও রয়েছে
SRH এখন পর্যন্ত ৮টি ম্যাচ খেলেছে যার মধ্যে মাত্র ২টিতেই তারা জয় পেয়েছে। ৬টি হারের সাথে তাদের নেট রান রেট -১.৩৬১, যা অন্যান্য দলগুলির তুলনায় অনেক দুর্বল। এই রান রেট আগামী ম্যাচগুলিতে দলের পথ আরও কঠিন করে তুলতে পারে। কিন্তু ক্রিকেটে অসম্ভব কিছু নেই, বিশেষ করে আইপিএলের মতো উত্তেজনাপূর্ণ টুর্নামেন্টে।
কিভাবে SRH প্লেঅফে যেতে পারে?
সানরাইজার্স হায়দ্রাবাদকে লীগ স্টেজে এখনও ৬টি ম্যাচ খেলতে হবে। যদি তারা এই সব ম্যাচে জয়ী হয়, তাহলে তাদের অ্যাকাউন্টে ১৬ পয়েন্ট হবে। আইপিএলের ইতিহাস দেখলে ১৬ পয়েন্ট সাধারণত প্লেঅফে যাওয়ার জন্য যথেষ্ট। কিন্তু যদি SRH আরও একটি ম্যাচ হারায়, তাহলে তারা সর্বোচ্চ ১৪ পয়েন্ট পেতে পারে।
এই অবস্থায় তাদের প্লেঅফে জায়গা করে নেওয়ার জন্য অন্যান্য দলের ফলাফলের উপর নির্ভর করতে হবে। সাথে সাথে নেট রান রেটও উন্নত করা জরুরি, যাতে টাই হওয়ার অবস্থায় SRH সুবিধা পায়।
নেট রান রেট বড় চিন্তার বিষয়
এই মুহূর্তে SRH-এর নেট রান রেট -১.৩৬১ যা দলের জন্য সবচেয়ে বড় বাধা হতে পারে। যদি তারা ১৬ পয়েন্টেও পৌঁছে যায়, কিন্তু তাদের রান রেট অন্যান্য দলের চেয়ে কমজোর থাকে, তাহলে তাদের যাত্রা এখানেই থেমে যেতে পারে। তাই SRH কে শুধু জিততে হবে না, বড় ব্যবধানে জিততে হবে। হায়দ্রাবাদের দলের পরবর্তী ম্যাচ চেন্নাই সুপার কিংস (CSK) এর বিরুদ্ধে, যা আজ অর্থাৎ ২৫শে এপ্রিল চেন্নাইয়ের এমএ চিদাম্বরম স্টেডিয়ামে অনুষ্ঠিত হবে।
এই ম্যাচ SRH-এর জন্য ‘করো অথবা মরো’র মতো হতে পারে। এর পর দলটির মুখোমুখি হতে হবে গুজরাট টাইটান্স (GT) এর সাথে ২রা মে এবং দিল্লি ক্যাপিটালস (DC) এর সাথে ৫ই মে। বাকি মোট ৬টি ম্যাচের মধ্যে SRH কে ২টি ম্যাচ তাদের নিজেদের মাঠে খেলতে হবে এবং বাকি ৪টি বাইরে। তাই দলকে পরিস্থিতি অনুযায়ী কৌশল তৈরি করতে হবে এবং প্রতিটি খেলোয়াড়কে তাদের ভূমিকা পালন করতে হবে।
কামিন্সের উপর দায়িত্ব, ব্যাটসম্যানদের কাছ থেকে দৃঢ় প্রদর্শন প্রয়োজন
প্যাট কামিন্সের অধিনায়কত্বে SRH থেকে সমর্থকরা অনেক আশা করেছিল, কিন্তু এখন পর্যন্ত তিনি দলকে স্থায়িত্ব দিতে ব্যর্থ হয়েছেন। এখন তাকে সামনে থেকে নেতৃত্ব দিয়ে বোলিং এবং ফিল্ডিংয়ে শৃঙ্খলা আনতে হবে। সাথে সাথে ব্যাটসম্যানদেরও এখন দায়িত্ব নিতে হবে। টপ অর্ডারের খেলোয়াড় যেমন অভিষেক শর্মা, রাহুল ত্রিপাঠী এবং ক্লাসেনকে এখন তাদের অভিজ্ঞতা প্রদর্শন করতে হবে।
যদিও পরিস্থিতি কঠিন, কিন্তু আইপিএলের ইতিহাস সাক্ষী যে শেষ মুহূর্তে অনেক দল চমৎকারভাবে ফিরে এসেছে। সানরাইজার্স হায়দ্রাবাদকেও এখন এমন কোনও অলৌকিক ঘটনা ঘটাতে হবে। যদি দল সংযম, আত্মবিশ্বাস এবং আক্রমণাত্মক কৌশল নিয়ে এগিয়ে যায়, তাহলে এই মৌসুমেও SRH-এর সমর্থকদের আশার আলো দেখা যেতে পারে। এখন সবার দৃষ্টি আজ, ২৫শে এপ্রিলের ম্যাচের উপর, যেখানে SRH কে তাদের নতুন গল্পের সূচনা করতে হবে।