২০২৫ সালের ১৭ থেকে ২০ জুলাই সিঙ্গাপুরে অনুষ্ঠিতব্য আন্তর্জাতিক ক্রিকেট কাউন্সিল (আইসিসি)-এর বার্ষিক সম্মেলনে ভারত ও পাকিস্তানের মধ্যকার ক্রিকেট ম্যাচের ভবিষ্যৎ নিয়ে গুরুত্বপূর্ণ আলোচনা হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে।
ICC Meeting: আন্তর্জাতিক ক্রিকেট কাউন্সিল (আইসিসি)-এর বার্ষিক সম্মেলন ১৭ থেকে ২০ জুলাই সিঙ্গাপুরে অনুষ্ঠিত হবে, এবং সেখানে ভারত-পাকিস্তান ক্রিকেট সম্পর্ক নিয়ে গুরুত্বপূর্ণ আলোচনা হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। বর্তমানে দুই দেশের মধ্যে দ্বিপাক্ষিক ক্রিকেট হয় না, এবং তারা কেবলমাত্র বহুপাক্ষিক আইসিসি বা এশিয়া কাপের মতো প্রতিযোগিতায় একে অপরের বিরুদ্ধে খেলে। সাম্প্রতিক সামরিক উত্তেজনার জেরে দুই দেশের মধ্যে ভবিষ্যতে ম্যাচ হওয়া নিয়ে অনেক অনুমান-কল্পনা করা হচ্ছে।
এমন পরিস্থিতিতে আগামী বছর ভারত ও শ্রীলঙ্কার যৌথ আয়োজনে অনুষ্ঠিতব্য টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে ভারত-পাকিস্তান ম্যাচের দিকে বিশেষ নজর থাকবে। এই সম্মেলনে সিদ্ধান্ত হতে পারে যে এই দুটি ক্রিকেট শক্তির মধ্যে ভবিষ্যতে আইসিসি টুর্নামেন্টে ম্যাচ সম্ভব হবে কি না।
হাইব্রিড মডেল নিয়ে সমঝোতা হতে পারে
আইসিসি ২০২৪ সালের ডিসেম্বরে ঘোষণা করেছিল যে ২০২৪ থেকে ২০২৭ সালের মধ্যে ভারত ও পাকিস্তান আয়োজিত আইসিসি টুর্নামেন্টে দুই দেশের মধ্যকার ম্যাচ নিরপেক্ষ স্থানে অনুষ্ঠিত হবে। এই সিদ্ধান্ত ২০২৫ সালে পাকিস্তানে অনুষ্ঠিতব্য চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফি, ২০২৫ সালে ভারতে অনুষ্ঠিতব্য মহিলা ওয়ানডে বিশ্বকাপ এবং ২০২৬ সালে ভারত ও শ্রীলঙ্কার যৌথ আয়োজনে অনুষ্ঠিতব্য পুরুষ টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের ক্ষেত্রে প্রযোজ্য হবে।
এই হাইব্রিড মডেল অনুযায়ী, ২০২৫ চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফিতে ভারতের সব ম্যাচ দুবাইয়ে অনুষ্ঠিত হবে, আর পাকিস্তান তাদের দেশীয় ম্যাচের আয়োজন করবে। যদি ভারত টুর্নামেন্টের ফাইনালে পৌঁছায়, তাহলে ফাইনালও দুবাইতে অনুষ্ঠিত হবে; অন্যথায়, এটি পাকিস্তানে হবে।
ভারতের ACC টুর্নামেন্ট থেকে সম্ভাব্য সরে যাওয়া
২০২৫ সালের মে মাসে, মিডিয়া রিপোর্টে দাবি করা হয়েছিল যে ভারতীয় ক্রিকেট কন্ট্রোল বোর্ড (বিসিসিআই) এশিয়ান ক্রিকেট কাউন্সিল (এসিসি)-এর সকল আগামী টুর্নামেন্ট থেকে সরে যাওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে, যার মধ্যে ২০২৫ এশিয়া কাপও অন্তর্ভুক্ত। তবে বিসিসিআই সচিব দেবজিৎ সাকিয়া এই রিপোর্ট অস্বীকার করে বলেছেন যে বোর্ড এমন কোনও সিদ্ধান্ত নেয়নি।
আইসিসি-এর আগামী সম্মেলনে ভারত ও পাকিস্তানের মধ্যকার ম্যাচের আয়োজন, নিরাপত্তা উদ্বেগ এবং রাজনৈতিক উত্তেজনার মধ্যে ক্রিকেটের ধারাবাহিকতা নিশ্চিত করার উপায় নিয়ে আলোচনা করা হবে। হাইব্রিড মডেলকে স্থায়ী সমাধান হিসেবে গ্রহণ করা, সম্প্রচার অধিকারের সুরক্ষা এবং দুই দেশের ক্রিকেট বোর্ডের মধ্যে যোগাযোগ বৃদ্ধি করা—এই বিষয়গুলি সম্মেলনের প্রধান এজেন্ডায় অন্তর্ভুক্ত থাকবে।