আইসিসি-র টি-টোয়েন্টি ক্রিকেটে পাওয়ার প্লে-এর নিয়মে পরিবর্তন

আইসিসি-র টি-টোয়েন্টি ক্রিকেটে পাওয়ার প্লে-এর নিয়মে পরিবর্তন
সর্বশেষ আপডেট: 7 ঘণ্টা আগে

ইন্টারন্যাশনাল ক্রিকেট কাউন্সিল (আইসিসি) টি-টোয়েন্টি ইন্টারন্যাশনালের পাওয়ার প্লে সহ তিনটি ফরম্যাটের কিছু নিয়মে পরিবর্তনের ঘোষণা করেছে।

স্পোর্টস নিউজ: ইন্টারন্যাশনাল ক্রিকেট কাউন্সিল (আইসিসি) টি-টোয়েন্টি ইন্টারন্যাশনাল ফরম্যাটে বড় পরিবর্তন এনে পাওয়ার প্লে নিয়ে নতুন নিয়ম চালু করেছে। আসলে, বৃষ্টি অথবা অন্য কোনো কারণে ওভার কম হলে, এখন পাওয়ার প্লে-এর সময়সীমা নতুনভাবে নির্ধারণ করা হবে। আইসিসি এই বিষয়ে আনুষ্ঠানিক ঘোষণা করে জানিয়েছে যে, ওভার কম হলে ফিক্সড পাওয়ার প্লে-এর পরিবর্তে ওভারের অনুপাতে পাওয়ার প্লে ওভার নির্ধারণ করা হবে।

উল্লেখ্য যে, স্বাভাবিক পরিস্থিতিতে ২০ ওভারের টি-টোয়েন্টি ম্যাচে পাওয়ার প্লে ৬ ওভারের হয়, যেখানে ফিল্ডিং দল কেবল ২ জন খেলোয়াড়কে ৩০ গজের বাইরে দাঁড়াতে পারে। কিন্তু যখন ম্যাচের ওভার কমিয়ে দেওয়া হয়, তখন নতুন ফর্মুলা অনুসারে পাওয়ার প্লে ওভারও কমবে বা বাড়বে।

আইসিসি নতুন তালিকা প্রকাশ করেছে

আইসিসি এই নতুন নিয়মের অধীনে একটি তালিকা প্রকাশ করেছে, যেখানে প্রতিটি ওভারের পরিস্থিতিতে পাওয়ার প্লে-এর স্পষ্ট সীমা নির্ধারণ করা হয়েছে। উদাহরণস্বরূপ, যদি কোনো টি-টোয়েন্টি ইন্টারন্যাশনালে ইনিংস ১৯ ওভারে নামিয়ে আনা হয়, তাহলে সেখানে পাওয়ার প্লে ৫.৪ ওভার পর্যন্ত থাকবে। একইভাবে, ১০ ওভারের ম্যাচে পাওয়ার প্লে ৩ ওভার হবে, যেখানে ৫ ওভারের ম্যাচ হলে শুধুমাত্র ১.৩ ওভারের পাওয়ার প্লে কার্যকর থাকবে।

আইসিসির নতুন নিয়ম অনুযায়ী ওভার কমলে পাওয়ার প্লে এইরকম হবে

ওভারের সংখ্যা পাওয়ার প্লে ওভার
১.৩
১.৫
২.১
২.২
২.৪
১০
১১ ৩.২
১২ ৩.৪
১৩ ৩.৫
১৪ ৪.১
১৫ ৪.৩
১৬ ৪.৫
১৭ ৫.১
১৮ ৫.২
১৯ ৫.৪

 

টি-টোয়েন্টি ব্লাস্টে এটি আগে থেকেই কার্যকর ছিল

আশ্চর্য্যের বিষয় হল, ইংল্যান্ডে খেলা জনপ্রিয় ঘরোয়া টি-টোয়েন্টি প্রতিযোগিতা টি-টোয়েন্টি ব্লাস্টে এই নিয়মটি আগে থেকেই কার্যকর ছিল। সেখানে গত কয়েক বছর ধরে এই মডেলটি ব্যবহার করা হচ্ছিল, যেখানে ওভার কমলে এই অনুপাত থেকে পাওয়ার প্লে নির্ধারণ করা হতো। আইসিসি এখন এই ফর্মুলাকে আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে প্রয়োগ করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে, যাতে খেলায় আরও স্বচ্ছতা ও সামঞ্জস্য বজায় থাকে।

কেন এই পরিবর্তন প্রয়োজন ছিল?

আসলে, পুরনো নিয়মে যখন ওভার কম হতো, তখন পাওয়ার প্লে-এর সময়সীমা নির্ধারণ করতে বিভ্রান্তি সৃষ্টি হতো এবং অনেক সময় উভয় দল সঠিক তথ্য পেতে দেরি করত। এর ফলে কৌশলগুলির উপরও প্রভাব পড়ত। নতুন নিয়মে ওভার প্রতি সুস্পষ্ট গণনা উপলব্ধ হওয়ায় ফিল্ডিং এবং ব্যাটিং উভয় দলই স্বচ্ছতা পাবে এবং ফিল্ড আম্পায়াররাও সঠিক সময়ে ফিল্ড সেটিং সম্পর্কে ইঙ্গিত দিতে পারবেন।

আইসিসি বলেছে যে, এখন পাওয়ার প্লে শেষ হওয়ার পরে ফিল্ড আম্পায়ার ফিল্ডিং দলকে সংকেত দেবেন যে স্বাভাবিক ফিল্ডিং বিধিনিষেধগুলি ফিরে এসেছে। এর ফলে খেলার গতি আরও ভালো হবে এবং দর্শকদেরও নিয়মগুলি বুঝতে সুবিধা হবে।

ক্রিকেট প্রেমীরা উপকৃত হবেন

ক্রিকেট প্রেমীদের জন্যও এই নতুন নিয়ম স্বস্তিদায়ক, কারণ অনেক সময় বৃষ্টিতে ওভার কম হলে টিভিতে পাওয়ার প্লে নিয়ে জটিলতা দেখা দিত। এখন নতুন তালিকার কারণে, দর্শকরাও জানতে পারবে যে ৯ ওভারের ম্যাচ হলে ২.৪ ওভারের পাওয়ার প্লে হবে, যেখানে ১৫ ওভারের ম্যাচ হলে ৪.৩ ওভার পর্যন্ত পাওয়ার প্লে চলবে।

সব মিলিয়ে আইসিসির এই পদক্ষেপ খেলাকে আরও স্বচ্ছ এবং সুসংগঠিত করার দিকে গুরুত্বপূর্ণ বলে মনে করা হচ্ছে, যার প্রভাব আসন্ন টি-টোয়েন্টি আন্তর্জাতিক ম্যাচগুলিতে স্পষ্টভাবে দেখা যাবে।

Leave a comment