হর্ষবর্ধন রাণে আবারও রোমান্টিক গল্প নিয়ে বড় পর্দায় দর্শকদের মন জয় করতে চলেছেন। ‘সনম তেরি কসম’-এর পুনঃমুক্তির পর তার জনপ্রিয়তায় ব্যাপক বৃদ্ধি হয়েছে।
মনোরঞ্জন: চলচ্চিত্রপ্রেমীদের জন্য একটি আনন্দের খবর এসেছে। হর্ষবর্ধন রাণে এবং সোনম বাজওয়ার অতি প্রতীক্ষিত রোমান্টিক ড্রামা ‘এক দিওয়ানে কি দিওয়ানিয়ত’ (Ek Deewane Ki Deewaniyat) ছবির মুক্তির তারিখ ঘোষণা করা হয়েছে। ছবিটি ২০২৫ সালের ২ অক্টোবর গান্ধী জয়ন্তী এবং দশেরার দিন বড় পর্দায় মুক্তি পাবে। ছবির প্রথম পোস্টারও প্রকাশিত হয়েছে, যেখানে দুই অভিনেতার রসায়ন এবং আবেগগত গভীরতা দর্শকদের মনোযোগ আকর্ষণ করেছে।
পোস্টারে দেখা গেছে তীব্র রসায়ন
ছবির পোস্টারে একটি দৃশ্য দেখানো হয়েছে যা সরাসরি দর্শকদের অন্তরে ছুঁয়ে যাবে। সোনম বাজওয়া হাতে লাইটার নিয়ে একটি গোলাপ জ্বালিয়ে ধরে আছেন, যা হর্ষবর্ধন রাণে ধরে আছেন। দুজনের চোখে আবেগের ঝড়। হর্ষবর্ধনের মুখে ব্যথা এবং রক্তাক্ত চোখের মেকআপ তার চরিত্রের গভীরতা প্রকাশ করে, অন্যদিকে সোনমের চোখে জল এবং রাগের মিশ্রণ তার জটিল চরিত্রের ইঙ্গিত দেয়।
প্রথমবার একসাথে দেখা যাবে হর্ষবর্ধন এবং সোনমকে
এই ছবিটি বিশেষ কারণ এতে প্রথমবারের মতো হর্ষবর্ধন রাণে এবং পাঞ্জাবি চলচ্চিত্রের তারকা সোনম বাজওয়া একসাথে কাজ করছেন। দুই অভিনেতারই আলাদা ভক্ত অনুসারী আছে, এবং এখন দেখার বিষয় হলো তাদের অন-স্ক্রিন রসায়ন দর্শকদের কতটা মুগ্ধ করবে। হর্ষবর্ধন রাণে ‘সনম তেরি কসম’ ছবি দিয়ে ব্যাপক জনপ্রিয়তা পেয়েছিলেন, অন্যদিকে সোনম বাজওয়া তার সৌন্দর্য এবং অভিনয়ের দক্ষতায় পাঞ্জাবি এবং দক্ষিণ ভারতীয় চলচ্চিত্র শিল্পে বিশেষ স্থান করে নিয়েছেন। দুজনের জুটি দর্শকদের জন্য একটি নতুন অভিজ্ঞতা নিয়ে আসবে।
গল্পে থাকবে প্রেম ও উন্মাদের মেলবন্ধন
‘এক দিওয়ানে কি দিওয়ানিয়ত’ একটি রোমান্টিক ড্রামা, কিন্তু এটি কোন সাধারণ প্রেমকাহিনী নয়। ছবির থিমে প্রেম, পাগলামি, ঘৃণা এবং প্রতিশোধের অনন্য মিশ্রণ রয়েছে। নির্মাতারা দাবি করছেন এ গল্প দর্শকদের অন্তরে ছোঁয়ার সাথে সাথে তাদের কাঁপিয়েও তুলবে। ছবির সূত্র অনুযায়ী, এটি একজন এমন পাগলের গল্প যার প্রেম পেতে সে সবসীমা অতিক্রম করে, আর এই পাগলামিতে সে প্রেম ও ঘৃণার সীমা অতিক্রম করে।
ছবিটির পরিচালনা করেছেন অদিত্য স্বরূপ, যিনি এর আগে অনেক ছোট ছবি এবং ওয়েব সিরিজে তার প্রতিভা প্রমাণ করেছেন। এটি তার প্রথম মেইনস্ট্রিম ফিচার ফিল্ম হবে। ছবির চিত্রগ্রহণ ও সঙ্গীতেও বিশেষ নজর দেওয়া হয়েছে। বলা হচ্ছে, ছবিতে সঙ্গীতের বিশেষ স্থান থাকবে, যা গল্পের আবেগগত দিকগুলোকে আরও প্রভাবশালী করে তুলবে।
