দক্ষিণ ভারতীয় চলচ্চিত্র শিল্পে শোকের ছায়া নেমে এসেছে, কারণ বিখ্যাত চলচ্চিত্র পরিচালক গুরুপ্রসাদ আত্মহত্যা করেছেন। তার এই আত্মঘাতী পদক্ষেপটি শিল্পকে কাঁপিয়ে তুলেছে। গুরুপ্রসাদ বহু সফল চলচ্চিত্র পরিচালনা করেছেন এবং তার কাজ দর্শক ও সমালোচকদের দ্বারা প্রশংসিত হয়েছিল। তার মৃত্যুর খবর শুনে তার সহকর্মী, ভক্ত এবং চলচ্চিত্র শিল্পের অন্যান্য সদস্যদের মধ্যে গভীর শোকের ছাপ পড়েছে।
বিনোদন: দক্ষিণ ভারতীয় চলচ্চিত্র শিল্প, বিশেষ করে কন্নড় চলচ্চিত্রের জন্য একটি অত্যন্ত দুঃখজনক সংবাদ এসেছে। বিখ্যাত চলচ্চিত্র নির্মাতা গুরুপ্রসাদ (৫২), আত্মহত্যা করেছেন। ঘটনাটি তার বাড়িতে ঘটেছে, যেখানে তিনি ছাদের পঙ্খা থেকে ঝুলন্ত অবস্থায় মৃত পাওয়া গেছে। গুরুপ্রসাদের আকস্মিক মৃত্যু তার ভক্ত এবং চলচ্চিত্র শিল্পের মানুষদের জন্য একটা বড় ধাক্কা। তিনি বহু গুরুত্বপূর্ণ এবং সফল চলচ্চিত্র নির্মাণ করেছেন, যা দর্শকদের কাছে বেশ জনপ্রিয় ছিল। তার মৃত্যুতে শিল্পে শোকের মাঝে তার প্রিয়জনরা গভীর শোকে বিহ্বল।
আপার্টমেন্টে পঁচা অবস্থায় পাওয়া গেল পরিচালকের মৃতদেহ
মাধ্যমের প্রতিবেদন অনুযায়ী, কন্নড় চলচ্চিত্র পরিচালক গুরুপ্রসাদের মৃতদেহ তার বাড়িতে পঁচা অবস্থায় পাওয়া গেছে। ঘটনাটি কর্ণাটকের মাদানায়কনহল্লি এলাকায় ঘটেছে, যেখানে গত প্রায় আট মাস ধরে তিনি বাস করছিলেন। পার্শ্ববর্তী বাড়ির বাসিন্দারা সম্প্রতি তার বাড়ি থেকে দুর্গন্ধ আসার ব্যাপারে অভিযোগ করেছিলেন, যার পর পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছে তদন্ত শুরু করে। অফিসাররা যখন বাড়িটি তল্লাশি করে, তখন তারা পরিচালকের মৃতদেহ পান। এই ঘটনা তার মৃত্যুর সময় ও কারণ নিয়ে অনেক প্রশ্ন তুলে ধরেছে।
এই ঘটনাটি শুধুমাত্র তার পরিবার ও বন্ধুদের জন্য নয়, কন্নড় চলচ্চিত্র শিল্পের জন্যও একটা বড় ধাক্কা। গুরুপ্রসাদের আকস্মিক মৃত্যু এবং তার মৃতদেহের অবস্থা অনেককে চিন্তিত করে তুলেছে।
কী ছিল পরিচালকের আত্মহত্যার পেছনে বড় কারণ?
পুলিশ জানিয়েছে যে কন্নড় চলচ্চিত্র পরিচালক গুরুপ্রসাদের মৃতদেহ তার বাড়িতে ছাদের পঙ্খা থেকে ঝুলন্ত অবস্থায় পাওয়া গেছে। প্রাথমিক তদন্তে জানা গেছে, তার আত্মহত্যা কয়েকদিন আগেই হয়েছিল, কারণ তার দেহ পচে যাওয়া শুরু হয়েছিল। অনুমান করা হচ্ছে গুরুপ্রসাদ আর্থিক সঙ্কট এবং ঋণের তলায় চাপে পড়ে এই পদক্ষেপ নিয়েছেন।
কথিত আছে, তার সাম্প্রতিক চলচ্চিত্রটি বক্স অফিসে ব্যর্থ হয়েছে, যার ফলে তিনি গুরুতর আর্থিক সঙ্কটের মুখোমুখি হন। এই অবস্থা বিবেচনা করে মনে হচ্ছে তিনি এই চাপ সহ্য করতে পারেননি এবং আত্মহত্যার পথ অবলম্বন করেছেন। পুলিশ এই ঘটনায় মামলা দায়ের করেছে এবং গুরুপ্রসাদের মৃত্যুর সঠিক কারণ তদন্ত করা হচ্ছে। এই ঘটনা চলচ্চিত্র শিল্পের জন্য একটা বড় ধাক্কা।