এমসিডিতে कार्यকাল শেষ হওয়ার আগেই আপ আন্দোলন ক্ষমতাচ্যুত। মেয়র নির্বাচনে না লড়ার সিদ্ধান্তে পরাজয়ের ভয় নাকি অভ্যন্তরীণ দ্বন্দ্বের জল্পনা তীব্র।
Delhi MCD Elections 2025: দিল্লি (এমসিডি)তে ক্ষমতার পাঁচ বছর পূর্ণ হওয়ার আগেই আপ (আম আদমি পার্টি) মেয়র নির্বাচন থেকে দূরত্ব বজায় রেখেছে। দলের এই সিদ্ধান্তে অনেক প্রশ্ন উঠেছে - কি দল পরাজয় দেখে মাঠ ছেড়ে দিয়েছে নাকি অভ্যন্তরীণ বিভক্তি এড়াতে এই সিদ্ধান্ত নিয়েছে? যেখানে আগে আপের রাজনৈতিক উন্নতি (political rise) দ্রুত ছিল, সেখানে এখন তা পিছিয়ে যাচ্ছে বলে মনে হচ্ছে।
এমসিডিতে ক্ষমতার উত্থান-পতন
আপ ২০১৭ সালে প্রথমবারের মতো এমসিডি নির্বাচনে লড়াই করে বিরোধী দলে চলে গিয়েছিল, কিন্তু ২০২২ সালে ক্ষমতায় এসেছিল। তারপরও, ক্ষমতার কেন্দ্রীকরণের চেষ্টা এবং কমিটি গঠনে বিলম্বের ফলে উন্নয়ন কাজ বন্ধ হয়ে গেছে। এই অসন্তোষের প্রভাব এখন স্পষ্ট দেখা যাচ্ছে।
কেন গঠিত হল না স্থায়ী কমিটি?
এমসিডিতে আঞ্চলিক প্রশাসন (Zonal Governance) এর অধীনে ১২টি অঞ্চল তৈরি হয়েছে এবং অনেক স্থায়ী কমিটি গঠন করা উচিত ছিল। কিন্তু দেড় বছরে শুধুমাত্র ওয়ার্ড কমিটির চেয়ারম্যান নির্বাচিত করা সম্ভব হয়েছে, বাকি বিশেষ কমিটি এবং স্থায়ী কমিটি এখনও গঠিত হয়নি। এর ফলে উন্নয়ন কাজে বাধা পড়েছে এবং দলের ভেতরে অসন্তোষ বেড়েছে।
পার্ষদদের বিভাজন এবং দলে আতঙ্ক
গত দুই বছরে ১৫ জনের বেশি পার্ষদ আপ ছেড়ে বিজেপিতে যোগ দিয়েছেন। এবার দল আশঙ্কা করেছিল যে, যদি নির্বাচনে অংশগ্রহণ করে এবং কাউকে প্রার্থী না করে তাহলে আরও পার্ষদ দল থেকে বিদ্রোহ করতে পারে। এই ভয়েই দল মাঠ ছাড়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে।
হুজুগে ভরা ছিল সদন বৈঠক
গত তিন বছরে ৩০টির বেশি পৌরসভা সদন বৈঠক হয়েছে কিন্তু বেশিরভাগ বৈঠকই হুজুগের কবলে পড়েছে। উন্নয়ন বিষয় নিয়ে আলোচনা হয়নি এবং পার্ষদদের তহবিলের অভাবের সমাধানও হয়নি। দুইবার মেয়র থাকা শৈলী ওবেরয়ও বৈঠক সুষ্ঠুভাবে পরিচালনা করতে পারেননি।
২০২২ এবং ২০২৫ সালের তুলনায় দলের অবস্থা
- ২০২২ সালে আপের ১৩৪ জন পার্ষদ ছিল, এখন কমে ১১৩ জন হয়েছে।
- বিজেপি ১০৪ থেকে বেড়ে ১১৭ তে পৌঁছেছে।
- কাংগ্রেস অল্প হ্রাসের সাথে ৯ থেকে ৮ এ নেমে এসেছে।