দিল্লি বিধানসভা নির্বাচনে উত্তেজনা বৃদ্ধি পাচ্ছে। তৃণমূল কংগ্রেস ও সমাজবাদী দল কেজরিওয়ালের সমর্থনে দাঁড়িয়ে আছেন, অন্যদিকে কংগ্রেস ও বিজেপি आम आदमी पार्टीর বিরুদ্ধে কঠোর সমালোচনা করছে।
দিল্লি নির্বাচন ২০২৫: দিল্লি বিধানসভা নির্বাচনের তারিখ ঘোষণা হয়ে গেছে। ৫ ফেব্রুয়ারি এক পর্যায়ে ভোটগ্রহণ হবে এবং ৮ ফেব্রুয়ারি ভোট গণনা শেষে ফলাফল প্রকাশিত হবে। নির্বাচনী পরিবেশ উত্তপ্ত হয়ে উঠেছে এবং রাজনৈতিক দলগুলির মধ্যে বাকযুদ্ধ তীব্র হয়েছে। কংগ্রেস, বিজেপি এবং आम आदमी पार्टी (AAP) এর মধ্যে সরাসরি লড়াই দেখা যাচ্ছে।
কংগ্রেস ও AAP-এর মধ্যে মতবিরোধ:
বিরোধী দল I.N.D.I.A. জোটের ঐক্য নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে। গতকাল পর্যন্ত বিজেপির বিরুদ্ধে একসাথে লড়াই করার কথা বলা কংগ্রেস ও AAP এখন পরস্পরের বিরুদ্ধে মোকাবিলা করছে। কংগ্রেসের জন্য এটি একটি জটিল পরিস্থিতি, অন্যদিকে AAP নিজেদের অবস্থান মজবুত করতে ব্যস্ত।
মমতা ও অখিলেশের স্পষ্ট সমর্থন:
I.N.D.I.A. জোটের অনেক দল এই নির্বাচনে জড়িয়ে পড়েছে। তবে, সমাজবাদী দলের নেতা অখিলেশ যাদব স্পষ্টভাবে AAP-এর সমর্থনে দাঁড়িয়েছেন। তৃণমূল কংগ্রেসের নেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ও নৈতিক সমর্থন প্রকাশ করেছেন।
উদ্ধব ঠাকুরের অবস্থান অনিশ্চিত:
উদ্ধব ঠাকুর নেতৃত্বাধীন শিৱসেনা (UBT) এখনও কোনও পক্ষের প্রতি তাদের অবস্থান স্পষ্ট করতে পারেনি। দলের জ্যেষ্ঠ নেতা সংজয় রাউত কংগ্রেস ও AAP-কে নির্বাচনে শৃঙ্খলা বজায় রাখার পরামর্শ দিয়েছেন। অন্যদিকে, রাষ্ট্রীয় জনতা দল (RJD) এর নেতা তেজস্বী যাদব বলেছেন যে I.N.D.I.A. জোট শুধুমাত্র লোকসভা নির্বাচনের জন্য গঠিত হয়েছিল এবং রাজ্যের নির্বাচনে এর প্রযোজ্যতা নেই।
প্রথ্বীরাজ চওয়ানের মন্তব্য নিয়ে বিতর্ক:
মহারাষ্ট্রের সাবেক মুখ্যমন্ত্রী ও কংগ্রেস নেতা প্রথ্বীরাজ চওয়ান তাঁর এক বক্তব্যে বলেছেন যে, দিল্লিতে অরবিন্দ কেজরিওয়াল জয়ী হতে পারেন। তবে, এই মন্তব্যের বিতর্কের পর তিনি স্পষ্ট করেছেন যে তাঁর বক্তব্যকে ভুলভাবে ব্যাখ্যা করা হয়েছে।
ত্রিকোণীয় লড়াইয়ে প্রস্তুতি:
দিল্লি বিধানসভা নির্বাচনে ত্রিকোণীয় লড়াই অনিবার্য। কংগ্রেস অরবিন্দ কেজরিওয়ালের বিরুদ্ধে নতুন দিল্লী আসনে সন্দীপ দীক্ষিতকে মনোনীত করেছে, অন্যদিকে বিজেপি একই আসনে প্রবেশ বর্মা কে মনোনীত করেছে।
কংগ্রেস বনাম I.N.D.I.A. এর লড়াই?
এখন সবচেয়ে বড় প্রশ্ন হল, দিল্লিতে কংগ্রেস ও I.N.D.I.A. জোটের মধ্যে সরাসরি সংঘর্ষ হবে কি? মমতা ও অখিলেশ AAP-কে সমর্থন করে কংগ্রেসের অবস্থা আরও জটিল করে তুলেছেন। এখন সবার দৃষ্টি উদ্ধব ঠাকুরের সিদ্ধান্তের দিকে। তিনি কি AAP-এর পাশে থাকবেন, নাকি কংগ্রেসের সমর্থনে দাঁড়াবেন, তা দেখার জন্য অপেক্ষা করতে হবে।