দিল্লি নগর নিগমে মেয়র নির্বাচনের পর বিজেপি ওয়ার্ড কমিটি ও স্থায়ী কমিটি গঠনের প্রস্তুতি নিচ্ছে, পরবর্তী সপ্তাহে নির্বাচনের ঘোষণা হতে পারে।
Delhi Election: দিল্লি নগর নিগম (MCD) -এর মেয়র নির্বাচনের পর এবার ওয়ার্ড কমিটি এবং স্থায়ী কমিটি গঠনের প্রক্রিয়া শুরু হচ্ছে। এইবারের নির্বাচন বেশ গুরুত্বপূর্ণ, কারণ এটি ঠিক করবে দিল্লির রাজনীতিতে আপ (AAP) নাকি বিজেপি (BJP) -এর প্রভাব বেশি থাকবে। পরবর্তী সপ্তাহে এই নির্বাচনের তারিখ এবং মনোনয়নের ঘোষণা হতে পারে, এর পর MCD-র সবচেয়ে শক্তিশালী স্থায়ী কমিটি গঠন করা হবে, যা গত দেড় বছর ধরে বন্ধ রয়েছে।
মেয়র নির্বাচনের পর এবার ওয়ার্ড কমিটি গঠন
দিল্লি নগর নিগমের মেয়র নির্বাচনের পর এবার ওয়ার্ড কমিটির নির্বাচনের পালা। এই নির্বাচনে ওয়ার্ড কমিটির চেয়ারম্যান এবং ডেপুটি চেয়ারম্যান নির্বাচিত হবেন। পরবর্তী সপ্তাহে এই নির্বাচনের তারিখ এবং মনোনয়নের ঘোষণা করা হতে পারে। মেয়র নির্বাচন ইতিমধ্যেই সম্পন্ন হয়েছে এবং এখন ওয়ার্ড কমিটির নির্বাচনের মাধ্যমে পরবর্তী প্রক্রিয়া শুরু হবে। নির্বাচনের পর স্থায়ী কমিটি গঠনও করতে হবে, যা নিয়ে দীর্ঘদিন ধরে রাজনীতি চলছে।
স্থায়ী কমিটি গঠন এবং তার ক্ষমতা
দিল্লি নগর নিগমের স্থায়ী কমিটিকে নিগমের সবচেয়ে শক্তিশালী কমিটি বলে মনে করা হয়। এর কাছে ৫ কোটি টাকা পর্যন্ত পরিকল্পনার অনুমোদন দেওয়ার ক্ষমতা রয়েছে, এবং তার বেশি অঙ্কের পরিকল্পনার অনুমোদনের অধিকার শুধুমাত্র স্থায়ী কমিটির কাছে। এছাড়াও, এই কমিটি সংস্থাগুলিকে টেন্ডার দেওয়া থেকে শুরু করে লে-আউট প্ল্যান পর্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। গত দেড় বছর ধরে স্থায়ী কমিটি গঠন বন্ধ থাকার কারণে রাজনৈতিক চাপ তৈরি হয়েছে।
ওয়ার্ড কমিটিতে কার সংখ্যাগরিষ্ঠতা?
দিল্লি নগর নিগমের মোট ১২ টি ওয়ার্ড কমিটির মধ্যে ৭ টিতে বিজেপির সংখ্যাগরিষ্ঠতা রয়েছে, এবং ৫ টিতে আপের। মেয়র নির্বাচনে ক্ষমতার উল্টোপাল্টা হওয়া সত্ত্বেও এই অবস্থা অব্যাহত রয়েছে। এখন দেখার বিষয় হলো ওয়ার্ড কমিটির চেয়ারম্যান ও ডেপুটি চেয়ারম্যানের নির্বাচনে কোন দল জয়ী হবে। এই নির্বাচনের ফলাফল নিগমের আগামী দুই বছরের রাজনৈতিক দিকনির্দেশনা নির্ধারণ করবে।
পূর্বে, স্থায়ী কমিটি গঠনে বেশ কিছু বিতর্কও উঠেছিল। যখন ১৮তম সদস্য সুন্দর সিংহের নির্বাচন করা হয়েছিল, তখন মেয়র অস্বাভাবিকভাবে সভার বৈঠক স্থগিত করে দিয়েছিলেন, যার ফলে উপ-রাজ্যপাল অতিরিক্ত কমিশনারকে সভাপতি নিযুক্ত করেছিলেন। এই সিদ্ধান্ত নিয়ে শৈলী ওবেরয় (পূর্ব মেয়র) সুপ্রিম কোর্টে আবেদন করেছিলেন। এই বিতর্কের কারণে প্রায় দুই বছর ধরে স্থায়ী কমিটি গঠন বন্ধ ছিল।