ছায়া কাদমের বিরুদ্ধে বন্যপ্রাণীর মাংস খাওয়ার অভিযোগ

ছায়া কাদমের বিরুদ্ধে বন্যপ্রাণীর মাংস খাওয়ার অভিযোগ
সর্বশেষ আপডেট: 05-05-2025

ছায়া কাদম, যিনি ‘লাপতা লেডিজ’, ‘মাদগাঁও এক্সপ্রেস’ এবং ‘অল উই ইমেজিন অ্যাজ লাইট’-এর মতো ছবিতে অসাধারণ অভিনয়ের জন্য পরিচিত, বর্তমানে এক বিতর্কে জড়িয়ে পড়েছেন। তাঁর উপর অভিযোগ উঠেছে যে তিনি বন্যপ্রাণীর মাংস খেয়েছেন।

ছায়া কাদমের বিরুদ্ধে অভিযোগ: বলিউড অভিনেত্রী ছায়া কাদম, যিনি ‘লাপতা লেডিজ’, ‘মাদগাঁও এক্সপ্রেস’ এবং ‘অল উই ইমেজিন অ্যাজ লাইট’-এর জন্য পরিচিত, এখন এক গুরুতর বিতর্কে জড়িয়ে পড়েছেন। তাঁর উপর অভিযোগ উঠেছে যে তিনি বন্যপ্রাণীর মাংস খেয়েছেন, যার ফলে মুম্বাইয়ের একটি প্রাণী অধিকার সংগঠন তাঁর বিরুদ্ধে অভিযোগ দায়ের করেছে। এই ঘটনাটি এখন বন বিভাগে পৌঁছে গেছে এবং অভিনেত্রীকে জবানবন্দি দিতে ডাকা হয়েছে।

সম্পূর্ণ ঘটনা কী?

অভিনেত্রী ছায়া কাদম সম্প্রতি একটি সোশ্যাল মিডিয়া সাক্ষাৎকারে বলেছিলেন যে তিনি বেশ কিছু সংরক্ষিত বন্যপ্রাণীর মাংস খেয়েছেন, যার মধ্যে রয়েছে হরিণ, সাহি, খরগোশ, বন্য শুয়োর এবং মনিটর গিরগিটি। এই বক্তব্যটি এখন তাঁর জন্য ঝামেলার কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে, কারণ এটি ১৯৭২ সালের বন্যপ্রাণী সংরক্ষণ আইন এবং ২০০২ সালের জীববৈচিত্র্য আইন লঙ্ঘন করতে পারে।

এই বক্তব্যের পর প্রাণী অধিকার সংগঠনগুলি তীব্র প্রতিক্রিয়া ব্যক্ত করে এবং অভিনেত্রীর বিরুদ্ধে অভিযোগ দায়ের করে। প্ল্যান্ট অ্যান্ড অ্যানিম্যাল ওয়েলফেয়ার সোসাইটি, ওআইপিএ এবং আম্মা কেয়ার ফাউন্ডেশনের মতো প্রধান এনজিওগুলি ছায়া কাদমের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়ার দাবি জানিয়েছে। এই সংগঠনগুলির দাবি, এই ধরণের বক্তব্য অসতর্কতাপূর্ণ এবং এটি বন্যপ্রাণীর সুরক্ষাকে ঝুঁকির মধ্যে ফেলতে পারে।

বন বিভাগ জবানবন্দি দেওয়ার নির্দেশ দিয়েছে

এই অভিযোগগুলির ভিত্তিতে মহারাষ্ট্রের বন বিভাগ ছায়া কাদমকে থানের উপ বন সংরক্ষকের সামনে জবানবন্দি দেওয়ার জন্য ডেকে পাঠিয়েছে। এই ঘটনায় বন্যপ্রাণী সংরক্ষণ আইনের অধীনে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া যেতে পারে, কারণ এই আইনের অধীনে সংরক্ষিত প্রজাতির শিকার এবং তাদের মাংস খাওয়া অবৈধ। এনজিও কর্মী সুনীশ এন. কুঞ্জু বলেছেন, যদি অভিনেতা এবং বিখ্যাত ব্যক্তিরা এই ধরণের বক্তব্য দেন, তাহলে সমাজে ভুল বার্তা যাবে এবং বনে অবৈধ শিকার বৃদ্ধি পেতে পারে। এই ধরণের বক্তব্য বন্যপ্রাণীর সুরক্ষা ও সংরক্ষণের উপর প্রতিকূল প্রভাব ফেলতে পারে।

এনজিও কর্তৃক উত্থাপিত প্রশ্ন

এনজিও কর্মীরা এই প্রশ্নও উত্থাপন করেছেন যে কি কোনও অভিনেতার দায়িত্ব নয় যে তারা তাদের জনসম্মুখে সঠিক বার্তা দেবে, বিশেষ করে যখন তারা সমাজের এক বিরাট অংশের জন্য অনুপ্রেরণার উৎস। তাদের মতে, ছায়া কাদমের বক্তব্য বন্যপ্রাণীর সংরক্ষণের প্রতি উদাসীন মনোভাব প্রকাশ করে এবং এটি উপেক্ষা করা যায় না।

তদুপরি, এই ঘটনার পর বন্যপ্রাণী সংরক্ষণ আইনের কঠোরতাকে নিয়ে আলোচনা শুরু হয়েছে। জীববৈচিত্র্য এবং বন্যপ্রাণীর সংরক্ষণের জন্য তৈরি আইন লঙ্ঘন করলে কঠোর শাস্তি ও দণ্ড হতে পারে।

অভিনেত্রী এখনও কোনও প্রতিক্রিয়া দেননি

বর্তমানে, ছায়া কাদম এই বিষয়ে কোনও ধরণের জনসম্মুখে প্রতিক্রিয়া দেননি। তাঁর বিরুদ্ধে অভিযোগ দায়ের হওয়ার পর থেকে তিনি নীরব রয়েছেন। এখন দেখার বিষয় হলো অভিনেত্রী কি এই বিষয়ে তাঁর অবস্থান স্পষ্ট করবেন এবং বন বিভাগ কি আরও কোনও ব্যবস্থা নেবে।

Leave a comment