সংসদের বাজেট অধিবেশন আজ থেকে শুরু, রাষ্ট্রপতি দ্রৌপদী মুর্মু ভাষণ দেবেন। ১ ফেব্রুয়ারী বাজেট পেশ হবে। অধিবেশন দুই ধাপে চলবে, বিরোধীরা স্বচ্ছতা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছে।
সংসদের বাজেট অধিবেশন: সংসদের বাজেট অধিবেশন আজ থেকে শুরু হচ্ছে। এর সূচনা হবে রাষ্ট্রপতি দ্রৌপদী মুর্মুর ভাষণ দিয়ে, যা পূর্বাহ্ণ ১১ টায় দেওয়া হবে। এরপর অর্থনৈতিক সমীক্ষা পেশ করা হবে। কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রী নির্মলা সীতারমণ ১ ফেব্রুয়ারী কেন্দ্রীয় বাজেট পেশ করবেন। সরকার এই অধিবেশনে ১৬টি বিল পেশ করার পরিকল্পনা করেছে।
বাজেট অধিবেশনের সময়কাল এবং প্রধান কর্মসূচী
বাজেট অধিবেশনের প্রথম ধাপ ১৩ ফেব্রুয়ারী পর্যন্ত চলবে, আর দ্বিতীয় ধাপ ১০ মার্চ থেকে শুরু হয়ে ৪ এপ্রিল পর্যন্ত চলবে। এই সময়ের মধ্যে অনেক গুরুত্বপূর্ণ বিল নিয়ে আলোচনা হবে। সরকার বাজেট অধিবেশনের আগে সর্বদলীয় বৈঠকে সকল দলের কাছে সহযোগিতার আবেদন করেছে। এই বৈঠকে ৩৬টি রাজনৈতিক দলের ৫২ জন নেতা অংশগ্রহণ করেছেন।
কেন্দ্রীয় সংসদীয় কার্যমন্ত্রী কিরেন রিজিজু জানিয়েছেন যে, বছরের প্রথম অধিবেশন হওয়ায় রাষ্ট্রপতি উভয় সদনের যৌথ অধিবেশনকে সম্বোধন করবেন। এরপর অর্থনৈতিক সমীক্ষা পেশ করা হবে এবং ১ ফেব্রুয়ারী কেন্দ্রীয় বাজেট উপস্থাপন করা হবে। বাজেট পেশ হওয়ার পর রাষ্ট্রপতির ভাষণ এবং বাজেট নিয়ে বিস্তারিত আলোচনা হবে।
দিল্লি নির্বাচনের কারণে ৫ ফেব্রুয়ারী সংসদ বন্ধ থাকবে
রিজিজু আরও জানিয়েছেন যে, ৫ ফেব্রুয়ারী দিল্লি বিধানসভা নির্বাচনের ভোটগ্রহণের কারণে সংসদের কার্যক্রম চলবে না। বাজেট অধিবেশনের প্রথম পর্ব ১৩ ফেব্রুয়ারী শেষ হবে এবং এরপর ১০ মার্চ থেকে দ্বিতীয় পর্ব শুরু হবে। এই সময়ের মধ্যে সরকারের ১৬টি বিল এবং ১৯টি সংসদীয় কার্যক্রমের পরিকল্পনা রয়েছে।
বিরোধীদের অভিযোগ
কংগ্রেস নেতা গৌরব গগৈ বলেছেন যে, বিরোধীরা সংসদের একতরফা পরিচালনার বিষয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেছে। তিনি অভিযোগ করেছেন যে, যৌথ সংসদীয় কমিটিতে (জেপিসি) বিরোধীদের প্রস্তাব খারিজ করা হয়েছে, যখন সরকারপক্ষের সংশোধনী গৃহীত হয়েছে।
এছাড়াও, বিরোধীরা সম্প্রতি কুম্ভমেলায় ঘটে যাওয়া দুর্ঘটনার জন্য দুঃখ প্রকাশ করেছে এবং এই বিষয়ে সংসদে আলোচনার দাবি জানিয়েছে। গগৈ বলেছেন যে, বিরোধীরা চায় সরকার সকল পক্ষের মতামত শুনুক এবং গণতান্ত্রিক পদ্ধতির সম্মান করুক।
বাজেট অধিবেশনের সময় পেশ করা হবে এমন প্রধান বিলগুলি
সরকার এই অধিবেশনে ১৬টি বিল পেশ করার পরিকল্পনা করছে। এর মধ্যে কিছু গুরুত্বপূর্ণ বিল হল:
বিচার বিভাগীয় সংস্কার বিল - বিচার প্রক্রিয়াকে দ্রুত ও স্বচ্ছ করার জন্য।
অর্থনৈতিক সংস্কার বিল - অর্থনৈতিক নীতিগুলিকে আরও কার্যকর করার জন্য।
শিক্ষা সংশোধন বিল - নতুন শিক্ষানীতি সংক্রান্ত সংস্কার বাস্তবায়নের জন্য।
স্বাস্থ্য সেবা বিল - স্বাস্থ্য সুবিধা উন্নত করার জন্য।
বাজেট অধিবেশনের সময় বিরোধী ও সরকারের মধ্যে অনেক বিষয় নিয়ে সংঘাতের সম্ভাবনা রয়েছে। সরকারপক্ষ কর্তৃক আনা বিল নিয়ে বিরোধীদের আপত্তি এবং বিভিন্ন জাতীয় বিষয় নিয়ে আলোচনা এই অধিবেশনকে গুরুত্বপূর্ণ করে তুলবে।