ব্রিটেনে অনুষ্ঠিত কাবাডি বিশ্বকাপ ২০২৫ কেন্দ্র করে বিতর্কের সৃষ্টি হয়েছে। আন্তর্জাতিক কাবাডি ফেডারেশন (IKF) এই টুর্নামেন্টকে অনधिकৃত বলে ঘোষণা করে তীব্র আপত্তি জানিয়েছে।
খেলাধুলার সংবাদ: কাবাডি বিশ্বকাপ ২০২৫-এর আয়োজন ইংল্যান্ডের ওয়েস্ট মিডল্যান্ডসে ১৭ থেকে ২৩ মার্চের মধ্যে হচ্ছে। ইংল্যান্ড কাবাডি সংঘ এবং ব্রিটিশ কাবাডি লীগ, বিশ্ব কাবাডি ফেডারেশন (WKF)-এর অধীনে এই টুর্নামেন্টের আয়োজন করেছে। WKF কাবাডির একটি সমান্তরাল বিশ্বব্যাপী সংস্থা হিসেবে কাজ করে।
তবে, আন্তর্জাতিক কাবাডি ফেডারেশন (IKF)ও তাদের আলাদা কাবাডি বিশ্বকাপের আয়োজন করে, যার ফলে দর্শকদের দুটি আলাদা বিশ্বকাপ দেখার সুযোগ হচ্ছে।
বিতর্কের কারণ কী?
বিতর্ক তখন আরও তীব্র হয় যখন জানা যায় যে কাবাডি বিশ্বকাপ ২০২৫-এর আয়োজন বিশ্ব কাবাডি ফেডারেশন (WKF)-এর তত্ত্বাবধানে হচ্ছে, যা IKF কর্তৃক স্বীকৃত নয়। IKF-কে অলিম্পিক কাউন্সিল অফ এশিয়া (OCA) এবং এশিয়ান কাবাডি ফেডারেশন (AKF) কর্তৃক অনুমোদিত আন্তর্জাতিক কাবাডি সংস্থা হিসেবে বিবেচনা করা হয়, অন্যদিকে WKF-কে বিশ্বব্যাপী স্বীকৃতি দেওয়া হয়নি।
এই কারণেই IKF এই টুর্নামেন্টকে অবৈধ বলে ঘোষণা করে ভারতীয় কাবাডি ফেডারেশনকে নির্দেশ দিয়েছে যাতে তারা এই টুর্নামেন্টে অংশগ্রহণকারী ভারতীয় দলের বিরুদ্ধে যথাযথ ব্যবস্থা নেয়।
ভারতীয় দলের উপর নিষেধাজ্ঞা আরোপিত হতে পারে কি?
IKF-এর প্রধান কর্মকর্তা বিনোদ কুমার তিওয়ারী বলেছেন যে, এই টুর্নামেন্টে অংশগ্রহণকারী ভারতের দল অ্যামেচার কাবাডি ফেডারেশন অফ ইন্ডিয়া (AKFI) বা খেলাধুলা মন্ত্রণালয় থেকে কোনও আনুষ্ঠানিক অনুমতি পায়নি। ফলে, এই দলের বৈধতা নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে। এর আগে ২০২০ সালেও একটি ভারতীয় দল পাকিস্তানে আয়োজিত কাবাডি বিশ্বকাপে অংশগ্রহণ করেছিল, যা AKFI কর্তৃক অস্বীকৃত হয়েছিল। এর ফলে ভারতে কাবাডির প্রশাসনিক বিষয় নিয়ে ব্যাপক সংকটের সৃষ্টি হয়েছিল।
এর প্রভাব কী হতে পারে?
IKF ইঙ্গিত করেছে যে, যদি ভারতীয় কাবাডি ফেডারেশন এই বিষয়টিকে গুরুত্বের সাথে না নেয়, তাহলে ভারতের উপর আনুষ্ঠানিক আন্তর্জাতিক টুর্নামেন্টে অংশগ্রহণের উপর নিষেধাজ্ঞা আরোপ করা হতে পারে। ভারতে অনুষ্ঠিতব্য আগামী কাবাডি লীগ এবং আন্তর্জাতিক আয়োজনগুলিতে এই অননুমোদিত টুর্নামেন্টে অংশগ্রহণকারী খেলোয়াড়দের উপর নিষেধাজ্ঞা আরোপ করা হতে পারে।
AKFI এর উপর ইতিমধ্যেই ২০২৪ সালে নির্বাচন না করার জন্য নিষেধাজ্ঞা আরোপ করা হয়েছে, এবং এই ঘটনা সংস্থার অবস্থাকে আরও দুর্বল করে তুলতে পারে। AKFI-র পক্ষ থেকে এখনও কোনও আনুষ্ঠানিক বিবৃতি আসেনি, তবে সূত্র অনুযায়ী, সংস্থা এই বিষয়টি তদন্ত করছে এবং শীঘ্রই এর উপর সিদ্ধান্ত নেওয়া হতে পারে। যদি ভারতীয় কাবাডি ফেডারেশন এই বিষয়ে নীরব থাকে, তাহলে এই বিতর্ক আরও গভীর হতে পারে।