বীরভূমে ইন্টারনেট সেবা স্থগিত

বীরভূমে ইন্টারনেট সেবা স্থগিত
সর্বশেষ আপডেট: 15-03-2025

পশ্চিমবঙ্গের বীরভূম জেলার সাঁথিয়া শহরে ১৪ থেকে ১৭ মার্চ পর্যন্ত ইন্টারনেট সেবা স্থগিত করা হয়েছে। এই সিদ্ধান্ত সম্প্রতি ঘটে যাওয়া পাথর ছোড়ার ঘটনার পরে নেওয়া হয়েছে, যার ফলে এলাকায় উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়েছে।

নয়াদিল্লি: পশ্চিমবঙ্গের বীরভূম জেলার সাঁথিয়া শহর এবং আশপাশের পাঁচটি গ্রাম পঞ্চায়েত এলাকায় ১৪ মার্চ থেকে ১৭ মার্চ পর্যন্ত ইন্টারনেট এবং ভয়েস-ওভার-ইন্টারনেট টেলিফোনি সেবা স্থগিত থাকবে। এই পদক্ষেপ গুজব এবং অবৈধ কার্যকলাপ রোধ করার জন্য নেওয়া হয়েছে, বিশেষ করে সম্প্রতি ঘটে যাওয়া পাথর ছোড়ার ঘটনার পর। প্রভাবিত এলাকাগুলিতে পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে।

গুজব রোধ করার জন্য ইন্টারনেট সেবায় নিষেধাজ্ঞা

রাষ্ট্রের গৃহ ও পাহাড়ি বিভাগ একটি আনুষ্ঠানিক আদেশ জারি করে ইন্টারনেট এবং ভয়েস-ওভার-ইন্টারনেট টেলিফোন সেবা স্থগিত করার নির্দেশ দিয়েছে। আদেশে স্পষ্ট করা হয়েছে যে এই পদক্ষেপ এলাকায় শান্তি বজায় রাখা এবং যেকোনো অবৈধ কার্যকলাপ রোধ করার জন্য নেওয়া হয়েছে। তবে, ভয়েস কল এবং SMS সেবা স্বাভাবিকভাবে চালু থাকবে যাতে প্রয়োজনীয় যোগাযোগ ব্যাহত না হয়।

পাথর ছোড়ার ঘটনার পর স্থানীয় প্রশাসন সম্পূর্ণ সতর্ক অবস্থায় রয়েছে। প্রভাবিত এলাকাগুলিতে অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে যাতে কোনো অপ্রীতিকর ঘটনা এড়ানো যায়। বীরভূম জেলার পুলিশ কর্মকর্তারা জনগণের কাছে আবেদন করেছেন যাতে তারা গুজবে কান না দেয় এবং কোনো সন্দেহজনক কার্যকলাপের তথ্য অবিলম্বে প্রশাসনকে জানায়।

কোন কোন এলাকায় নিষেধাজ্ঞা থাকবে?

ইন্টারনেট নিষেধাজ্ঞা মূলত সাঁথিয়া এবং তার আশপাশের এলাকাগুলিতে প্রযোজ্য। এগুলির মধ্যে রয়েছে হাটোরা গ্রাম পঞ্চায়েত, মঠপালসা জিপি, হরিসরা জিপি, দরিয়াপুর জিপি এবং ফুলুর জিপি। প্রশাসন স্পষ্ট করেছে যে ইন্টারনেট নিষেধাজ্ঞার উদ্দেশ্য কেবলমাত্র ভুল তথ্যের প্রচার রোধ করা। সমাচারপত্র, টেলিভিশন চ্যানেল এবং অন্যান্য ঐতিহ্যবাহী যোগাযোগ মাধ্যমের মাধ্যমে তথ্য আদান-প্রদান স্বাভাবিকভাবে চালু থাকবে। এছাড়াও, ব্যাংকিং এবং হাসপাতালের মতো প্রয়োজনীয় সেবাগুলিতে কোনো প্রভাব পড়বে না।

স্থানীয় বাসিন্দাদের কাছে প্রশাসনের আবেদন

বীরভূম প্রশাসন জনগণের কাছে শান্তি বজায় রাখার এবং কোনো গুজবে বিশ্বাস না করার আবেদন জানিয়েছে। কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে যে, যদি কেউ গুজব ছড়াতে দেখা যায়, তাহলে তার বিরুদ্ধে কঠোর আইনি ব্যবস্থা নেওয়া হবে। ইন্টারনেট নিষেধাজ্ঞা ১৭ মার্চ পর্যন্ত কার্যকর থাকবে এবং পরিস্থিতি স্বাভাবিক হলে সেবা পুনরায় চালু করা হবে।

Leave a comment