পাকিস্তানের সাথে উত্তেজনার মধ্যে পররাষ্ট্র সচিব বিক্রম মিস্রির কঠোর বার্তা, কিন্তু যুদ্ধবিরতির পর সোশ্যাল মিডিয়ায় ট্রোলদের আক্রমণ; এবার ওয়াইসির তীব্র প্রতিক্রিয়া।
ওয়াইসি বিক্রম মিস্রির সমর্থনে: ভারত ও পাকিস্তানের মধ্যে উত্তেজনার মধ্যে পররাষ্ট্র সচিব বিক্রম মিস্রি পাকিস্তানকে কঠোর ভাষায় ভারতের বার্তা দিয়েছিলেন। কিন্তু যুদ্ধবিরতির পর তাকে সোশ্যাল মিডিয়ায় লক্ষ্যবস্তু করা হয় এবং ট্রোলরা তার পুরোনো ছবি ও পরিবার নিয়ে আপত্তিকর মন্তব্য করে। এই বিষয়ে এখন আসাদুদ্দিন ওয়াইসি ও কংগ্রেস নেতারা বিক্রম মিস্রির সমর্থন করে ট্রোলদের তীব্র ভৎর্সনা করেছেন।
সোশ্যাল মিডিয়ায় ট্রোলিংয়ের শিকার বিক্রম মিস্রি
ভারত ও পাকিস্তানের মধ্যে বাড়তে থাকা উত্তেজনার মধ্যে পররাষ্ট্র সচিব বিক্রম মিস্রি পাকিস্তানকে কঠোর বার্তা দিয়েছিলেন। এরপর যুদ্ধবিরতি ঘোষণার পর সোশ্যাল মিডিয়ায় বিক্রম মিস্রিকে ট্রোল করা শুরু হয়। ট্রোলরা কেবল তার পুরোনো ছবি ও পরিবারকেই লক্ষ্যবস্তু করেনি, তার উদ্দেশ্য নিয়েও প্রশ্ন তোলে। এতে বিরক্ত হয়ে বিক্রম মিস্রি তার X (পূর্ব টুইটার) অ্যাকাউন্ট প্রোটেক্ট করে দেন, যাতে তিনি নির্বাচিত ব্যক্তিদের কাছেই তার পোস্ট দেখাতে পারেন।
ওয়াইসির বিক্রম মিস্রির সমর্থনে বক্তব্য
এই বিষয়ে AIMIM প্রধান আসাদুদ্দিন ওয়াইসি স্পষ্টভাষায় মতামত দিয়েছেন। ওয়াইসি বিক্রম মিস্রিকে একজন সৎ ও পরিশ্রমী কূটনীতিক বলে অভিহিত করে ট্রোলদের জবাব দিয়েছেন। তিনি বলেছেন, "বিক্রম মিস্রি একজন ভদ্র ও সৎ ব্যক্তি, যিনি ভারতের জন্য অক্লান্ত পরিশ্রম করছেন। আমাদের সিভিল সার্ভেন্টরা সরকারের নির্দেশ অনুযায়ী কাজ করে, তাদের কোনও রাজনৈতিক সিদ্ধান্তের জন্য দোষী করা যায় না।"
কংগ্রেসেরও সমর্থন, সালমান আনিস সোজের বক্তব্য
এছাড়াও কংগ্রেস নেতা সালমান আনিস সোজও বিক্রম মিস্রির পক্ষে কথা বলেছেন। তিনি সোশ্যাল মিডিয়ায় ট্রোলিংয়ের নিন্দা করে লিখেছেন, "বিক্রম মিস্রি একজন কাশ্মীরি, এবং তিনি দেশকে গর্বিত করেছেন। কোনও ধরনের ট্রোলিং তার কাজ ও দেশের প্রতি তার সেবাকে কমাতে পারবে না। যদি আমরা তার কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করতে না পারি, তাহলে অন্তত চুপ থাকা উচিত।"
বিক্রম মিস্রির পরিচয়
বিক্রম মিস্রির ভারতের পররাষ্ট্র সচিব হিসেবে দীর্ঘ ও সম্মানজনক কর্মজীবন রয়েছে। তিনি দিল্লির হিন্দু কলেজ থেকে পড়াশোনা করেছেন এবং পরে Indian Foreign Service (IFS) -এ যোগদান করেন। মিস্রি বিভিন্ন দেশে ভারতের রাষ্ট্রদূতাবাসে সেবা দিয়েছেন, যার মধ্যে চীন, মায়ানমার এবং স্পেন অন্তর্ভুক্ত। তাকে ২০২৩ সালের জুলাই মাসে পররাষ্ট্র সচিব নিযুক্ত করা হয়।