বিহারের ভোজপুর জেলার অপরাধীদের সাহস এখন আকাশছোঁয়া। সোমবার দিনদুপুরে নগর থানা এলাকার গোপালী চৌকস্থিত তনিষ্ক শোরুম থেকে 25 কোটি টাকার বেশি মূল্যের অলংকার লুট হয়েছে। ৬ থেকে ৮ জন অস্ত্রধারী দুষ্কৃতী মাত্র ২০ মিনিটের মধ্যে এই ঘটনা ঘটিয়ে পালিয়ে গেছে।
পাটনা: বিহারের ভোজপুর জেলার আরার গোপালী চৌকে অবস্থিত তনিষ্ক শোরুমে দিনদুপুরে 25 কোটি টাকার বেশি মূল্যের ডাকাতি হয়েছে। ডাকাতরা নিরাপত্তা রক্ষী ও কর্মীদের বন্দী করে রেখেছিল এবং প্রতিবাদ করার সময় একজন বিক্রয়কর্মীর উপরও হামলা চালিয়েছে। দুষ্কৃতীরা মাস্ক ছাড়াই লুটপাট করে এবং মোটরসাইকেলে করে পালিয়ে গেছে। ঘটনাটি সিসিটিভি ক্যামেরায় ধরা পড়েছে। পুলিশ পুরো জেলায় নাকাবন্দী করে তদন্ত ত্বরান্বিত করেছে এবং অপরাধীদের দ্রুত গ্রেফতারের দাবি করেছে।
গুলীর শব্দ ও আতঙ্কে কর্মচারীরা
প্রত্যক্ষদর্শীদের মতে, সকালে শোরুম খোলার সাথে সাথেই দুইজন দুষ্কৃতী গ্রাহক সেজে প্রবেশ করে নিরাপত্তা রক্ষীকে আটকে রাখে। এরপর অন্যান্য দুষ্কৃতীরাও ভেতরে ঢুকে অস্ত্রের মুখে কর্মীদের বন্দী করে রাখে। গয়না সম্পর্কে জিজ্ঞাসা করার সময় প্রতিবাদ করায় একজন বিক্রয়কর্মীর উপর হামলাকারীরা বন্দুকের বাট দিয়ে আঘাত করে।
নির্ভীক দুষ্কৃতী, উন্মুক্ত মুখ আর পরিকল্পিত লুট
ডাকাতরা এতটাই নির্ভীক ছিল যে কেউই নিজের মুখ ঢাকার প্রয়োজনীয়তা বোধ করেনি। তারা দোকানে থাকা সোনা-হীরার গয়না সংগ্রহ করে আরামে মোটরসাইকেলে চেপে বিভিন্ন দিকে পালিয়ে যায়। শোরুমে স্থাপিত সিসিটিভি ক্যামেরায় পুরো ঘটনা ধরা পড়েছে। পুলিশ সিসিটিভি ফুটেজ জব্দ করেছে এবং জেলা জুড়ে নাকাবন্দী করে দুষ্কৃতীদের খোঁজ শুরু করেছে। পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, কিছু দুষ্কৃতীকে ছাপড়ার দিকে পালিয়ে যাওয়ার সময় দেখা গেছে।
শোরুমে 50 কোটি টাকার গয়না, অর্ধেক নিয়ে গেল অপরাধীরা
শোরুমের ম্যানেজার কুমার মৃত্যুঞ্জয় জানিয়েছেন, দোকানে প্রায় 50 কোটি টাকার মূল্যবান গয়না ছিল, যার মধ্যে 25 কোটি টাকার বেশি মূল্যের গয়না দুষ্কৃতীরা লুট করে নিয়ে গেছে। ঘটনার সময় দোকানে 25 জনের বেশি কর্মী উপস্থিত ছিল। বিহারে সম্প্রতি অপরাধ বৃদ্ধি পাচ্ছে। এই বৃহৎ ডাকাতির ঘটনা রাজ্যের আইন-শৃঙ্খলা পরিস্থিতির উপর গুরুতর প্রশ্ন তুলে ধরেছে। পুলিশের জন্য এটি একটি বড় চ্যালেঞ্জ হয়ে উঠেছে। বর্তমানে, অনেক এলাকায় অভিযান চলছে, এবং অপরাধীদের গ্রেফতারের জন্য বিশেষ দল গঠন করা হয়েছে।
