ভারতে নিষিদ্ধ এবং বিপন্ন প্রজাতির টোকায় গেকোর দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার ধূসর বাজারে প্রচুর চাহিদা রয়েছে, অসম পুলিশ ১১টি গিরগিটি জব্দ করল।
ডিব্রুগড়, অসম: অসমের ডিব্রুগড় জেলায় পুলিশ এবং বিশেষ টাস্ক ফোর্স (STF) -এর যৌথ অভিযানে বিরল প্রজাতির ১১টি টোকায় গেকো গিরগিটি উদ্ধার করা হয়েছে। এই ঘটনায় তিনজন চোরাচালানকারীকে গ্রেফতার করা হয়েছে। মোহনবাড়ী এলাকার 'সান ফিস্ট ঢাবা'তে একটি গোপন তথ্যের ভিত্তিতে এই অভিযান চালানো হয়।
গ্রেফতারকৃত চোরাচালানকারীদের পরিচয় ৩৪ বছর বয়সী দেবাশীষ ডোহুটিয়া, ২৮ বছর বয়সী মনাস ডোহুটিয়া এবং ৪০ বছর বয়সী দীপঙ্কর ঘরফলিয়ার হিসেবে পাওয়া গেছে। পুলিশ জানিয়েছে, এই দলটি অরুণাচল প্রদেশ থেকে এই গিরগিটিগুলি আনার পর প্রতিটি ১ লক্ষ টাকায় বিক্রি করার পরিকল্পনা করেছিল।
ভারতে নিষিদ্ধ, বিদেশে প্রচুর চাহিদা
টোকায় গেকো গিরগিটির চাহিদা বিশেষ করে দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার ধূসর বাজারে রয়েছে, যেখানে এটি ঐতিহ্যগত ওষুধ এবং কালো জাদুতে ব্যবহৃত হয়। তবে ভারতে এদের শিকার এবং ব্যবসা ১৯৭২ সালের বন্যপ্রাণী সুরক্ষা আইনের অধীনে সম্পূর্ণ নিষিদ্ধ। এই আইনের অধীনে দোষী সাব্যস্ত হলে ৭ বছর পর্যন্ত কারাদণ্ড হতে পারে।
এভাবেই হল অভিযান
গোপন তথ্যের পর STF এবং স্থানীয় পুলিশের একটি দল পরিকল্পিতভাবে 'সান ফিস্ট ঢাবা'তে নজরদারি শুরু করে। দুজন চোরাচালানকারী সাদা গাড়িতে এবং একজন মোটরসাইকেলে এসেছিল। কিছুক্ষণ পর এক ব্যক্তি গাড়ি থেকে ব্যাগ বের করে ঢাবায় ফিরে আসে, যার পরপরই পুলিশ দল অভিযান চালায় এবং তিনজনকেই গ্রেফতার করে।
ভারতে কোথায় পাওয়া যায় এই গিরগিটি?
টোকায় গেকো প্রজাতির গিরগিটি ভারতে শুধুমাত্র অসম এবং অরুণাচল প্রদেশের নির্দিষ্ট কিছু এলাকায় পাওয়া যায়। এদের সংখ্যা ক্রমাগত কমছে এবং এদের 'অতি বিপন্ন' (Endangered) শ্রেণীভুক্ত করা হয়েছে।
পুলিশ আরও তদন্ত করছে
পুলিশ এখন খুঁজে বের করার চেষ্টা করছে যে এই চোরাচালানে কোনও আন্তঃরাষ্ট্রীয় বা আন্তর্জাতিক নেটওয়ার্ক জড়িত কিনা। পাশাপাশি তদন্ত চলছে যে এর আগে কতবার এই দলটি গিরগিটির লেনদেন করেছে।