রাম মন্দিরে দর্শন করতে আসা ভক্তদের জন্য একটি গুরুত্বপূর্ণ পরিবর্তন আসছে। শ্রদ্ধালুদের সংখ্যা কমে যাওয়ার পরিপ্রেক্ষিতে মন্দির প্রশাসন বেরোনোর পথ পুনর্নির্মাণের সিদ্ধান্ত নিয়েছে।
অযোধ্যা: রাম মন্দিরে দর্শন করতে আসা ভক্তদের জন্য একটি গুরুত্বপূর্ণ পরিবর্তন আসছে। শ্রদ্ধালুদের সংখ্যা কমে যাওয়ার পরিপ্রেক্ষিতে মন্দির প্রশাসন বেরোনোর পথ পুনর্নির্মাণের সিদ্ধান্ত নিয়েছে। এখন রামললার ভক্তরা রামজন্মভূমি পথ দিয়ে মন্দিরে প্রবেশ করবেন, আর বেরোবেন অঙ্গদ টিলা পথ দিয়ে।
ভিড় কমে যাওয়ার পর পথ পরিবর্তন করা হবে
মহাকুম্ভের পর থেকে অযোধ্যায় দর্শনার্থীদের সংখ্যায় উল্লেখযোগ্য হ্রাস পেয়েছে। যেখানে আগে তিন থেকে চার লক্ষ ভক্ত প্রতিদিন রামললার দর্শনের জন্য আসতেন, সেখানে এখন সেই সংখ্যা কমে দুই থেকে আড়াই লক্ষ হয়েছে। এই বিষয়টিকে মাথায় রেখে প্রশাসন শ্রদ্ধালুদের বেরোনোর পুরোনো পথ পুনরায় সচল করার পরিকল্পনা করেছে।
এখন পর্যন্ত শ্রদ্ধালুরা রামজন্মভূমি পথ দিয়ে প্রবেশ করে গেট নম্বর তিন দিয়ে বেরিয়ে যেতেন, কিন্তু নতুন পরিকল্পনার আওতায় গেট নম্বর তিন বন্ধ করে দেওয়া হবে এবং বেরোনোর পথ হবে অঙ্গদ টিলা পথ। এই পরিবর্তন নিয়ে সুরক্ষা বিভাগের কর্মকর্তা এবং শ্রীরাম জন্মভূমি তীর্থ ক্ষেত্র ট্রাস্টের মধ্যে আলোচনা হয়েছে, যার পর এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।
দর্শন ব্যবস্থায় এই পরিবর্তন হবে
* প্রবেশ: শ্রদ্ধালুরা আগের মতো রামজন্মভূমি পথ দিয়ে মন্দিরে প্রবেশ করবেন।
* বেরোনো: দর্শন শেষে ভক্তরা অঙ্গদ টিলার দিকে তৈরি গেট দিয়ে বেরিয়ে যাবেন।
* গেট নম্বর-৩: এই গেটটি আবার বন্ধ করে দেওয়া হবে, যাতে শ্রদ্ধালুদের বেরোনো সহজ এবং সুশৃঙ্খলভাবে হতে পারে।
ভিড় ব্যবস্থাপনায় উন্নতি হবে
প্রবেশ ও বেরোনোর পথের দূরত্ব বেড়ে যাওয়ার ফলে রামপথে চাপ কমবে এবং ভক্তরা সহজে দর্শন করতে পারবেন। এসপি সুরক্ষা বলরামাচারী দুবে জানিয়েছেন, যদি শ্রদ্ধালুদের সংখ্যা এই অবস্থাতেই থাকে, তাহলে সোমবার থেকে নতুন বেরোনোর ব্যবস্থা কার্যকর করা হবে। শনিবার সন্ধ্যা পর্যন্ত দুই লক্ষের বেশি শ্রদ্ধালু রামললার দর্শন করেছেন। প্রশাসনের পক্ষ থেকে ভক্তদের সংখ্যা নিয়মিত পর্যবেক্ষণ করা হচ্ছে এবং তার উপর ভিত্তি করে দর্শন ব্যবস্থায় পরিবর্তন আনা হচ্ছে।
এই পরিবর্তনের ফলে মন্দিরে আসা ভক্তরা কম দূরত্বে দর্শন করার সুযোগ পাবেন এবং অযোধ্যায় যানবাহন চলাচলও আরও সুশৃঙ্খল হবে। ভক্তরা এই নতুন ব্যবস্থায় দর্শন করতে আরাম পাবেন এবং মন্দির চত্বরে ভিড় ব্যবস্থাপনাও আরও উন্নত হবে।