নয়া দিল্লি: ভারতের উত্তর-পূর্বাঞ্চলীয় রাজ্যগুলির অর্থনীতিকে শক্তিশালী করার দিকে অদানি গ্রুপ একটি বড় পদক্ষেপ নিয়েছে। গ্রুপের চেয়ারম্যান গৌতম অদানি রাইজিং নর্থ ইস্ট ইনভেস্টর্স সামিটের সময় ঘোষণা করেছেন যে আগামী ১০ বছরে কোম্পানি উত্তর-পূর্বাঞ্চলীয় অঞ্চলে প্রায় ১ লক্ষ কোটি টাকা বিনিয়োগ করবে।
এই বিনিয়োগ শুধুমাত্র মৌলিক অবকাঠামো উন্নয়নের জন্য নয়, বরং সমগ্র অঞ্চলকে অর্থনৈতিক ও সামাজিকভাবে সবল করার দিকে একটি দৃঢ় প্রয়াস। গৌতম অদানি এই উপলক্ষে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর 'অ্যাক্ট ইস্ট' এবং 'অ্যাক্ট ফাস্ট' ভিশনের উল্লেখ করে বলেছেন যে উত্তর-পূর্বাঞ্চলের উন্নতি এই চিন্তাধারার ফল।
বিনিয়োগের প্রাথমিকতা কী কী হবে?
এই বিনিয়োগে অদানি গ্রুপের প্রাথমিকতাগুলি হবে:
- গ্রিন এনার্জি এবং গ্রিন ইনফ্রাস্ট্রাকচার
- বিমানবন্দর উন্নয়ন এবং এয়ারো সিটি
- সিটি গ্যাস বিতরণ এবং ট্রান্সমিশন নেটওয়ার্ক
- সিমেন্ট প্ল্যান্ট এবং শিল্প উন্নয়ন
- পর্যটন, অতিথিপরিচর্যা এবং কৃষি প্রক্রিয়াজাতকরণ ইত্যাদি ক্ষেত্রের সম্প্রসারণ
এর আগে, ২০২৫ সালের ফেব্রুয়ারিতে অদানি গ্রুপ অসমে ৫০,০০০ কোটি টাকা বিনিয়োগের ঘোষণা করেছিল, যার মধ্যে বিমানবন্দর, সড়ক নির্মাণ, গ্যাস বিতরণ এবং সিমেন্ট উৎপাদন ইত্যাদি প্রকল্প অন্তর্ভুক্ত ছিল।
"উত্তর-পূর্বাঞ্চল ভারতের উন্নয়নের নতুন কাহিনী লিখছে" — গৌতম অদানি
গৌতম অদানি সামিটের সময় বলেছেন, “গত এক দশকে উত্তর-পূর্বাঞ্চলের পাহাড় ও উপত্যকা ভারতের উন্নয়নের গাথায় নতুন অধ্যায় যুক্ত করেছে। এখন সময় এসেছে এই অঞ্চলকে জাতীয় উন্নয়ন যাত্রায় কেন্দ্রে আনার।”
তিনি এটাও স্পষ্ট করেছেন যে এই অঞ্চলের কৌশলগত (strategic) এবং ভৌগোলিক (geographical) অবস্থান ভারতের জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ, এবং সেখানে অবকাঠামো উন্নয়নের ফলে শুধুমাত্র স্থানীয় নয়, জাতীয় সুবিধাও পাওয়া যাবে।
সরকার এবং বেসরকারি খাতের অংশীদারিত্ব
রায়জিং নর্থ ইস্ট সামিটের আয়োজন কেন্দ্রীয় সরকার এবং উত্তর-পূর্বাঞ্চলীয় রাজ্যগুলির যৌথ উদ্যোগে হয়েছে, যার উদ্দেশ্য অঞ্চলের বিনিয়োগ বাড়ানো এবং কর্মসংস্থানের সুযোগ সৃষ্টি করা। এই সামিটে কৃষি, পর্যটন, অতিথিপরিচর্যা, আইটি, বিনোদন এবং খেলাধুলা ইত্যাদি ক্ষেত্রে বিশেষ ফোকাস ছিল।
অদানি গ্রুপের এই বিনিয়োগ উত্তর-পূর্বাঞ্চলীয় ভারতের জন্য একটি গেম চেঞ্জার হতে পারে। এতে শুধুমাত্র স্থানীয় অবকাঠামো শক্তিশালী হবে না, বরং তরুণদের কর্মসংস্থান, ব্যবসায়ীদের নতুন সুযোগ এবং রাজ্য সরকারদের রাজস্ব বৃদ্ধিও দেখা যাবে।