দিল্লি বিধানসভা নির্বাচনের পূর্বে আপের ৭ জন বিধায়ক পদত্যাগ করেছেন। টিকিট কাটায় ক্ষুব্ধ হয়ে তারা দলের উপর দুর্নীতি ও ভোটব্যাংকের রাজনীতির অভিযোগ এনেছেন।
Delhi Election 2025: দিল্লি বিধানসভা নির্বাচন উপক্রমে আসতেই आम आदमी पार्टी (AAP)-তে পদত্যাগের ঝড় উঠেছে। শুক্রবার, ৩১ জানুয়ারী দলের সাতজন বিধায়ক পদত্যাগ করেছেন। এই ঘটনাটি নির্বাচনের মাত্র পাঁচ দিন আগে ঘটেছে। পদত্যাগকারী বিধায়কদের মধ্যে ত্রিলোকপুরীর বিধায়ক রোহিত কুমার, মেহরৌলীর বিধায়ক নরেশ যাদব, কস্তুরবা নগরের বিধায়ক মদনলাল, পালমের বিধায়ক ভাবনা গৌড়, জনকপুরীর বিধায়ক রাজেশ ঋষি, বিজয়বসনের বিধায়ক বি.এস. জুন এবং আদর্শ নগরের বিধায়ক পবন শর্মা রয়েছেন। সকলেই তাদের অসন্তোষের কারণ হিসেবে দল কর্তৃক তাদের টিকিট কাটা হওয়াকে দায়ী করেছেন।
বিধায়কদের পদত্যাগের কারণ
এই বিধায়কদের এইবারের বিধানসভা নির্বাচনে आम आदमी पार्टी টিকিট দেয়নি, যার ফলে তারা ক্ষুব্ধ হয়েছেন। টিকিট কাটা হওয়ার পর এই বিধায়করা দল ত্যাগ করে পদত্যাগ করেছেন। এই পদত্যাগ থেকে স্পষ্ট হয়েছে যে দলে অভ্যন্তরীণ অসন্তোষ বৃদ্ধি পাচ্ছে।
রোহিত কুমারের গুরুত্বপূর্ণ অভিযোগ
রোহিত কুমার তার পদত্যাগপত্রে দলের প্রতি তার অসন্তোষ প্রকাশ করে গুরুত্বপূর্ণ অভিযোগ এনেছেন। তিনি বলেছেন, "আপনার কথায় বিশ্বাস করে আমার সমাজ একতরফা আপনাকে সমর্থন দিয়েছে, কিন্তু না তো ঠিকাদারি প্রথা বন্ধ হয়েছে, না তো অস্থায়ী চাকরি করা লোকদের চাকরি স্থায়ী করা হয়েছে। রাজনৈতিক উচ্চাকাঙ্ক্ষার জন্য আমার সমাজকে কেবল ভোটব্যাংক হিসেবে ব্যবহার করা হয়েছে।"
ভাবনা গৌড় এবং মদনলালও দল ত্যাগ করেছেন
ভাবনা গৌড় কেজরিওয়ালকে চিঠি লিখে বলেছেন, "আমি आम आदमी पार्टी-র প্রাথমিক সদস্যপদ থেকে পদত্যাগ করছি, আমার আপ এবং দলের উপর বিশ্বাস শেষ হয়ে গেছে।" অন্যদিকে, মদনলাল বিধানসভা স্পীকার রামনিবাস গোয়েলকে লিখিত চিঠিতে বলেছেন, "আমি দিল্লি বিধানসভার সদস্যপদ ত্যাগ করার সিদ্ধান্ত নিয়েছি। আমি আমার কর্মজীবনে পাওয়া সহযোগিতার জন্য কৃতজ্ঞতা জানাই।"
রাজেশ ঋষির দুর্নীতির অভিযোগ
জনকপুরীর বিধায়ক রাজেশ ঋষিও দলের উপর দুর্নীতির অভিযোগ এনে পদত্যাগপত্রে লিখেছেন, "অরবিন্দ কেজরিওয়াল কর্তৃক গঠিত आम आदमी पार्टी, যা এখন দুর্নীতিতে ডুবে গেছে, আমি দুঃখের সাথে দলের প্রাথমিক সদস্যপদ এবং পদ থেকে পদত্যাগ করছি।"
নরেশ যাদবের অভিযোগ
মেহরৌলীর বিধায়ক নরেশ যাদব তার পদত্যাগপত্রে লিখেছেন, "আমি आम आदमी पार्टी-কে ইমানদারী রাজনীতির জন্য যোগ দিয়েছিলাম, কিন্তু আজ কোথাও ইমানদারী দেখা যাচ্ছে না। দিল্লির জনতা জানে যে আপ দুর্নীতির কাদায় ডুবে গেছে।"
এই পদত্যাগগুলি आम आदमी पार्टी-র অভ্যন্তরীণ অবস্থার উপর প্রশ্ন তুলেছে। অনেক নেতার মতে দলে বর্ধমান অসন্তোষ এবং টিকিট বিতরণে অসমতা দলকে নির্বাচনী প্রস্তুতির জন্য প্রস্তুত করতে পারছে না।