২০৩০ সালের ৭ টি ক্রান্তিকারী প্রযুক্তি যা পুরো বিশ্বকে বদলে দিতে পারে

 ২০৩০ সালের ৭ টি ক্রান্তিকারী প্রযুক্তি যা পুরো বিশ্বকে বদলে দিতে পারে
সর্বশেষ আপডেট: 08-04-2025

প্রযুক্তির গতি এত দ্রুত যে প্রতিদিনই নতুন কিছু দেখা যাচ্ছে। কিন্তু আগামী কয়েক বছরের মধ্যে, বিশেষ করে ২০৩০ সালের মধ্যে, কিছু এমন প্রযুক্তি আমাদের জীবনের অংশ হয়ে উঠতে পারে যা আজকের দিনে কোনও বিজ্ঞান কল্পকাহিনী থেকে কম নয়। এগুলি কেবলমাত্র আমাদের কাজের অভ্যাসগুলিই পরিবর্তন করবে না, বরং চিন্তা-ভাবনার দৃষ্টিভঙ্গিও সম্পূর্ণ নতুন করে গড়ে তুলবে। আসুন জেনে নিই সেই ৭ টি ক্রান্তিকারী প্রযুক্তির কথা যা ২০৩০ সালের মধ্যে পুরো বিশ্বকে বদলে দিতে পারে।

এখন রোবট নিজেই সিদ্ধান্ত নেবে

যেখানে আগে রোবট কেবল মানুষের মতো দেখতে বা তাদের কাজের অনুকরণ করতে সীমাবদ্ধ ছিল, সেখানে ২০৩০ সালের মধ্যে তারা নিজেরাই সিদ্ধান্ত নেওয়ার ক্ষমতা রাখবে। স্মার্ট সেন্সর এবং AI-এর সাহায্যে এই রোবট কারখানা, হাসপাতাল বা লজিস্টিক্সের মতো ক্ষেত্রগুলিতে পরিবেশ বুঝে দ্রুত সিদ্ধান্ত নিতে পারবে। অনুমান করা হচ্ছে আগামী বছরগুলিতে রোবোটিক্স শিল্পের আকার ২৫০ বিলিয়ন ডলারের বেশি হতে পারে।

স্পেশিয়াল কম্পিউটিং দূর করবে ভার্চুয়াল এবং বাস্তবের পার্থক্য

স্পেশিয়াল কম্পিউটিং এমন একটি প্রযুক্তি যা ডিজিটাল এবং বাস্তব দুনিয়াকে এতটাই সংযুক্ত করবে যে তাদের সীমানা মুছে যাবে। সেন্সর, ক্যামেরা এবং উন্নত ডেটা প্রসেসিং এর মেরুদণ্ড হবে। এর প্রভাব বিশেষ করে গেমিং, রিমোট ওয়ার্কিং এবং ভার্চুয়াল মিটিংয়ে দেখা যাবে। এর বিশ্বব্যাপী বাজার ২০৩০ সালের মধ্যে ১০০ বিলিয়ন ডলার ছাড়িয়ে যেতে পারে।

AI থেকে AI-এর আলাপচারিতা: মানুষ থাকবে বাইরে

ভবিষ্যতে মানুষের AI-এর সাথে কথা বলার প্রয়োজন হবে না, কারণ AI নিজেই একে অপরের সাথে যোগাযোগ করতে শুরু করবে। যেমন, ড্রোন, আবহাওয়া বা ট্র্যাফিকের তথ্য একে অপরের সাথে ভাগ করে নেবে এবং আরও ভাল সিদ্ধান্ত নেবে। এর ফলে অটোমেশন আরও দ্রুত এবং সঠিক হবে।

AI TRiSM: বিশ্বস্ত হবে আর্টিফিশিয়াল ইন্টেলিজেন্স

AI TRiSM (Artificial Intelligence Trust, Risk and Security Management) এমন একটি ব্যবস্থা যা AI-তে হচ্ছে এমন বৈষম্য, ডেটা চুরি এবং নিরাপত্তার ত্রুটিগুলি চিহ্নিত করে তা দূর করার উপর ফোকাস করবে। ভবিষ্যতে কোম্পানিগুলির জন্য বিশ্বস্ত AI তৈরি করা এই প্রযুক্তির প্রধান দায়িত্ব হবে।

কোয়ান্টাম এবং AI-এর হবে জোরালো মিলন

কোয়ান্টাম কম্পিউটিং যখন AI-এর সাথে মিলিত হবে তখন এটি ডেটা প্রসেসিংয়ের গতি অনেক গুণ বৃদ্ধি করবে। এর ফলে স্বাস্থ্যসেবা, সাইবার সিকিউরিটি এবং অর্থনীতির মতো ক্ষেত্রগুলি সম্পূর্ণরূপে রূপান্তরিত হতে পারে। প্রতিবেদন অনুসারে, এই ক্ষেত্রের বাজার ২০৩০ সালের মধ্যে ১৫ বিলিয়ন ডলারের বেশি হতে পারে।

এজ কম্পিউটিং এবং 6G নেটওয়ার্কের শক্তি

এজ কম্পিউটিংয়ের অর্থ হল ডেটা সেখানেই প্রসেস করা হবে যেখান থেকে তা উৎপন্ন হয়েছে। যখন এটি 5G এবং 6G-এর মতো পরবর্তী প্রজন্মের নেটওয়ার্ক প্রযুক্তির সাথে যুক্ত হবে, তখন এটি ব্যবহারকারীদের রিয়েল টাইমে আরও ভাল অভিজ্ঞতা দেবে, এমনকি লেগ বা ইন্টারনেটের উপর নির্ভর না করেও।

বায়োটেকনোলজি এবং জেনেটিক এডিটিং থেকে নতুন জীবন

CRISPR-এর মতো জিন এডিটিং প্রযুক্তির সাহায্যে এখন বিজ্ঞানীরা DNA-কে অত্যন্ত নির্ভুলতার সাথে সংশোধন করছেন। এই প্রযুক্তি রোগের চিকিৎসার পাশাপাশি ফসল উৎপাদন এবং পুষ্টি উন্নত করতে সহায়ক হিসাবে প্রমাণিত হচ্ছে। ২০৩০ সালের মধ্যে এই প্রযুক্তি স্বাস্থ্য এবং কৃষি শিল্পে বিপ্লব আনতে পারে।

ফলাফল স্পষ্ট – আগামী দশক প্রযুক্তির নামে থাকবে।

২০৩০ সালের মধ্যে বিশ্ব সেই রূপ ধারণ করবে যার কথা আমরা কখনো কল্পনাও করিনি। এই প্রযুক্তিগুলির সাহায্যে কেবলমাত্র আমাদের কাজ সহজ হবে না, বরং একটি নিরাপদ, স্মার্ট এবং সংযুক্ত বিশ্বের ভিত্তিও প্রস্তুত হবে।

Leave a comment