এবার গাড়ি চালানোর জন্য আর স্টিয়ারিং-এর দরকার নেই, কোনও বোতাম টিপতে হবে না! ভারতের স্টার্টআপ কোম্পানি Nav-Elektro Mobility এমন এক অসাধারণ কাজ করে দেখিয়েছে যার জন্য বিশ্বজুড়ে প্রশংসা হচ্ছে। ভারতের প্রথম সম্পূর্ণ ভয়েস-কন্ট্রোল্ড ইলেকট্রিক কার লঞ্চ হয়ে গেছে! এই গাড়িটি শুধুমাত্র কথা বলে চালানো যাবে – স্টার্ট, ব্রেক, গিয়ার, ন্যাভিগেশন, মিউজিক, এয়ারকন্ডিশন সবকিছুই শুধু আপনার কণ্ঠস্বরের মাধ্যমে! আর আশ্চর্যের বিষয় হল এই সিস্টেমটি যেকোনও স্থানীয় ভাষাকে চিনতে পারে – হিন্দি, মারাঠি, তামিল, বাংলা, পাঞ্জাবি, ইংরেজি সব!
কীভাবে কাজ করে এই ভয়েস কার?
Nav-Elektro-র এই বিপ্লবী গাড়িতে একটি AI-চালিত ভয়েস OS (NAVI OS) রয়েছে যা Natural Language Processing (NLP) এবং Machine Learning-এর মাধ্যমে আপনার কথা বুঝতে পারে এবং রিয়েল টাইমে এক্সিকিউট করে।
উদাহরণ
- ন্যাভি, গাড়িটা স্টার্ট করো → গাড়ি চালু হবে
- ন্যাভি, পাওয়ার মোড অন করো → স্পোর্টি ড্রাইভ
- ন্যাভি, রাজীব চৌক পর্যন্ত নিয়ে যাও → Google Maps স্বয়ংক্রিয়ভাবে সক্রিয় হবে
- ন্যাভি, ঠান্ডা করো → AC অন হবে এবং তাপমাত্রা হবে 20°C
স্পেসিফিকেশন একঝলক
- পরিধি: 410 কিমি/পুরোপুরি চার্জ
- ব্যাটারি: 70 kWh ফাস্ট-চার্জ (30 মিনিট = 80%)
- সর্বোচ্চ গতি: 140 কিমি/ঘণ্টা
- চার্জিং পোর্ট: ইউনিভার্সাল + ছাদে সোলার প্যানেল (ঐচ্ছিক)
- ভাষা সমর্থন: 10+ ভারতীয় ভাষা
- ফেস আইডি আনলক + ভয়েস বায়োমেট্রিক অ্যাক্সেস
- 360° AI সার্ভিল্যান্স ক্যামেরা
- লেভেল 3 স্বয়ংক্রিয় প্রস্তুত
কেন বিশেষ এই ভারতীয় উদ্ভাবন?
ভারতে ইভি-র সংখ্যা বেড়েই চলেছে, কিন্তু এটাই প্রথমবার যখন প্রযুক্তিটিকে ভাষা এবং সংস্কৃতির সাথে মানিয়ে নেওয়া হয়েছে। এই গাড়িটি গ্রামেও বুঝবে ‘চলো ভাই, চলো খেত পর্যন্ত’ – এবং শহরেও ‘Take me to Cyber Hub’, বলেন CEO প্রশান্ত কুলকর্ণি।
মূল্য এবং উপলব্ধতা
- মডেল V-One মূল্য: ₹13.99 লক্ষ (প্রারম্ভিক)
- সাবসিডি-র পর কিছু রাজ্যে: ₹11.2 লক্ষ পর্যন্ত
- বুকিং খোলা: Navi অ্যাপ এবং ওয়েবসাইটে
- ডেলিভারি: আগস্ট 2025 থেকে শুরু
কিছু ঝুঁকি বা চ্যালেঞ্জ কি?
- অধিক ট্র্যাফিকে ভয়েস কন্ট্রোলে মিসফায়ারের ঝুঁকি
- পটভূমি শব্দে সঠিকভাবে কণ্ঠস্বর চেনার চ্যালেঞ্জ
- এখনও মানুষকে বিশ্বাস দান করতে হবে যে হ্যান্ডেলবিহীন গাড়িটি নির্ভরযোগ্য
- পরিবহন বিভাগের অনুমোদন প্রক্রিয়া (কিছু রাজ্যে দীর্ঘায়িত হতে পারে)
- কিন্তু কোম্পানি দাবি করেছে যে তারা Noise Cancellation AI এবং Emergency Physical Override বোতাম যুক্ত করেছে।
এবার গাড়িতে উঠুন এবং বলুন, বাকি কাজগুলো সে নিজেই করবে! এই ভারতীয় উদ্ভাবন শুধু একটি গাড়ি নয়, ড্রাইভিংয়ের নতুন যুগ। এখন ড্রাইভিং শুধু দক্ষতা নয়, কণ্ঠস্বরের আদেশ।