মেটা'র নতুন AI ভিডিও এডিটিং টুল: বিনামূল্যে এবং সহজ ব্যবহার

🎧 Listen in Audio
0:00

মেটা একটি নতুন জেনারেটিভ AI ভিডিও এডিটিং টুল লঞ্চ করেছে, যার মাধ্যমে ব্যবহারকারীরা প্রিসেট টেমপ্লেটের সাহায্যে ভিডিওতে ব্যাকগ্রাউন্ড, ইফেক্ট এবং পোশাক পরিবর্তন করতে পারবেন। এই টুল সীমিত সময়ের জন্য বিনামূল্যে পাওয়া যাবে।

প্রযুক্তির দুনিয়ায় দ্রুত বিকাশে মেটা আরও একটি বিপ্লবী পদক্ষেপ নিয়েছে। মেটা সম্প্রতি একটি নতুন আর্টিফিশিয়াল ইন্টেলিজেন্স (AI) ভিত্তিক ভিডিও এডিটিং টুল চালু করেছে, যা টেমপ্লেটের মাধ্যমে শর্ট-ফর্ম ভিডিওকে পেশাদারীভাবে এডিট করার সুবিধা প্রদান করে। বিশেষত, এই টুল সীমিত সময়ের জন্য বিনামূল্যে উপলব্ধ করা হয়েছে।

এই AI-চালিত ভিডিও এডিটিং টুল কি?

এই এডিটিং ফিচার মেটার AI মডেলের উপর ভিত্তি করে তৈরি এবং এটি মেটা AI অ্যাপ, Meta.AI ওয়েবসাইট এবং 'Edits' নামক একটি নতুন অ্যাপের মাধ্যমে অ্যাক্সেস করা যাবে। এই টুলের সবচেয়ে বড় বৈশিষ্ট্য হল এটি ব্যবহারকারীদের ৫০ টিরও বেশি প্রিসেট টেমপ্লেট প্রদান করে, যার মাধ্যমে তারা তাদের ভিডিওতে ব্যাকগ্রাউন্ড, বিষয়বস্তু এবং এমনকি পোশাক পর্যন্ত পরিবর্তন করতে পারে।

কিভাবে কাজ করে?

বর্তমানে এই টুল টেক্সট প্রম্পট সমর্থন করে না, তবে মেটার দাবি, শীঘ্রই এতে টেক্সট-ভিত্তিক কাস্টমাইজেশনের বৈশিষ্ট্য যুক্ত করা হবে। অর্থাৎ, ব্যবহারকারীরা কেবল একটি কমান্ড দিয়ে তাদের ভিডিওকে ইচ্ছামতো এডিট করতে পারবেন। উদাহরণস্বরূপ, আপনি বলতে পারেন, 'আমার এমন একটি ভিডিও দরকার যা টোকিওর রাস্তায় শ্যুট করা হয়েছে', এবং AI ব্যাকগ্রাউন্ডটিকে তেমন করে তৈরি করবে।

সীমিত ক্ষমতার সাথে লঞ্চ

বর্তমানে ব্যবহারকারীরা কেবলমাত্র ভিডিওর প্রথম ১০ সেকেন্ডই এডিট করতে পারেন। কিন্তু এই সংক্ষিপ্ত সময়ের এডিটিং উইন্ডোর মধ্যেও মেটা ব্যবহারকারীদের এমন টেমপ্লেট দিয়েছে, যার মাধ্যমে ভিডিওকে মরুভূমি, বরফাক্ত এলাকা, ফ্যান্সি পার্টি, কার্টুন ওয়ার্ল্ড অথবা কোনো সায়েন্স ফিকশন মুডে পরিবর্তন করা যাবে।

কোন দেশগুলিতে উপলব্ধ?

মেটা এই সুবিধাটি এখন পর্যন্ত মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র সহ বিশ্বের কিছু নির্বাচিত দেশে চালু করেছে। কোম্পানি স্পষ্ট করে বলেনি যে ভারত এই দেশগুলির মধ্যে অন্তর্ভুক্ত কিনা। তবে, মেটার দাবি, আগামী মাসগুলিতে এটি আরও বেশি দেশে বিস্তার করা হবে।

মেটা AI অ্যাপ এবং Edits অ্যাপ থেকে সরাসরি শেয়ারিংয়ের সুবিধা

আরেকটি আকর্ষণীয় দিক হল, এই AI টুলের মাধ্যমে এডিট করা ভিডিওগুলি ব্যবহারকারীরা সরাসরি ফেসবুক, ইনস্টাগ্রাম এবং মেটার ডিসকাভার ফিডে শেয়ার করতে পারবেন। এর ফলে কন্টেন্ট ক্রিয়েটররা কেবলমাত্র পেশাদারী স্তরের এডিটিং অভিজ্ঞতা পাবে না, বরং সময়ও বাঁচবে এবং সোশ্যাল মিডিয়ায় তাদের প্রভাবও বৃদ্ধি পাবে।

কন্টেন্ট ক্রিয়েটরদের জন্য বরদান

আজকের সময়ে যখন ভিডিও কন্টেন্ট সবচেয়ে জনপ্রিয়, এই টুল ইউটিউব শর্টস, ইনস্টাগ্রাম রিলস এবং ফেসবুক ভিডিও নির্মাতাদের জন্য কোনও বরদানের চেয়ে কম নয়। এখন তাদের আর ব্যয়বহুল এডিটিং সফ্টওয়্যার বা পেশাদার এডিটরের প্রয়োজন হবে না।

আগামী আপডেটে কি পাওয়া যাবে?

মেটা ইঙ্গিত করেছে যে আগামী সময়ে এতে:

  • কাস্টমাইজড টেক্সট প্রম্পট
  • পুরো ভিডিও এডিটিং
  • মাল্টিপল লেয়ার সাপোর্ট
  • অডিও এডিটিং ফিচার

এবং আরও অনেক AI টেমপ্লেট যুক্ত করা হবে।

Leave a comment